মুন্সিগঞ্জে পদ্মায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

মুন্সিগঞ্জে লৌহজংয়ে মাছের আড়তগুলোতে ইলিশের সমারোহ। ছবি: স্টার

মুন্সিগঞ্জে পদ্মা নদীতে এক সপ্তাহে ইলিশের আহরণ তিন গুণ বেড়েছে। বাজারে যোগান বাড়ায় দামও কমেছে।

গত ১ মার্চ থেকে দেশের ৬টি অভয়ারণ্যে ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হলেও মুন্সিগঞ্জে অভয়াশ্রম না থাকায় ইলিশ ধারায় নিষেধাজ্ঞা নেই। জেলার মধ্যে লৌহজংয়ে তুলনামূলক বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে।

লৌহজংয়ের মাছের আড়ৎদাররা জানান, সরবরাহ অনুযায়ী ইলিশের দাম বাড়ে-কমে। সোয়া এক কেজি থেকে দেড় কেজি আকারের ইলিশ আগে প্রতি কেজি দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হতো। সেই ইলিশ এখন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ আগে ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আড়তের সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে পদ্মা নদীতে জেলেরা প্রচুর ইলিশ পাচ্ছেন। বরিশাল ও এর আশপাশের জেলার নদীগুলোতে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সরকার দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষণার আগেই জেলেরা কারেন্ট জাল দিয়ে নদীগুলো ঘেরাও করে রাখেন। ফলে পদ্মায় ইলিশ আসতে পারে না।'

তিনি জানান, গতকাল রোববার তিনি ১৫ মণ ইলিশ বিক্রি করেছেন। এক কেজি বা এর চেয়ে বড় আকারের ইলিশ আগে বিক্রি হয়েছিল ১৫০০-১৬০০ টাকা কেজি দরে। তবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেটা কমে হয়েছে ১২০০-১৩০০ টাকা।

পদ্মার জেলে আখলাক হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে শিকার বন্ধ থাকায় সেখান থেকে বিনা বাধায় ইলিশ মুন্সিগঞ্জের পদ্মা নদীতে এসে পড়ছে। ছোট–বড় সব আকারের ইলিশ জালে ধরা পড়ছে।

লৌহজং উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, লৌহজং উপজেলার এক হাজার ২৬০ জন নিবন্ধিত জেলে ইলিশ শিকার করেন। আরও ২০০ জন ইলিশ শিকারি জেলে নিবন্ধন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। ইলিশ মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জোরালোভাবে বাস্তবায়ন করায় ইলিশ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুল করিম সাংবাদিকদের জানান, ১ মার্চ থেকে অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ইলিশের ঝাঁক দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তর দিকের নদীগুলোতে আসতে পারছে। ফলে ইলিশের আহরণ তিন গুণ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে যেখানে পুরো জেলায় গড়ে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ছিল এক মেট্রিক টন। সেখানে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তিন মেট্রিক টন।

Comments

The Daily Star  | English

Extortion will no longer be tolerated: DMP chief

He urged rickshaw drivers to provide the names of the extortionists and promised strict action

18m ago