বাংলাদেশকে আরও বেশি বাণিজ্য সুবিধা দেবে অস্ট্রেলিয়া
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নে গত বছর ১৫ সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টের (টিফা) আওতায় একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় এই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, পণ্য ও সেবা সংক্রান্ত বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
এছাড়া দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গতিশীলতার লক্ষ্যে সমীক্ষা করার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া আগ্রহ প্রকাশ করে সভায়।
দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ বাণিজ্যিক সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ বৃদ্ধি উৎসাহিত করার বিষয়েও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ সম্মত হয়।
অস্ট্রেলিয়ার কাঁচামাল, যেমন তুলা, উল, চামড়া ব্যবহার করে বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করে তা তৃতীয় কোনো দেশের বাজারে এবং অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাইব্যাক ব্যবস্থার মাধ্যমে রপ্তানির সুযোগ পরীক্ষা করার বিষয়েও উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এ ক্ষেত্রে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় সহযোগিতা এবং দেশের শিক্ষা প্রোফাইল উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন সে দেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান।
আলোচনায় আরও অংশ নেন-অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের অ্যাসোসিয়েট সেক্রেটারি টিম ইয়ান, অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরিমি ব্রুয়ার প্রমুখ।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments