অজুহাত দেওয়ার কোনো সুযোগ দেখেন না মিরাজ
বাংলাদেশের প্রায় সব জয়ে মূল অবদানটা থাকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের। অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধ তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানদের তাই চাওয়া ছিল, তুলনামূলক অনভিজ্ঞ ও তরুণরা যেন এগিয়ে আসেন। সিনিয়রদের ব্যর্থতার দিনে যেন জুনিয়ররা দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। সেই চাওয়া পূরণের আভাস মিলেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান সিরিজে। এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তোলার ক্ষেত্রে লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেন রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। নিজেদের দায়িত্বের কথা তুলে ধরে স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ জানালেন, সিনিয়র-জুনিয়র অজুহাত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পারফর্ম করেই টিকে থাকতে হবে দলে।
আগামীকাল সোমবার সফরকারী আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সকাল ১১টায়। জিতলে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা টাইগারদের নামের পাশে যোগ হবে আরও ১০ পয়েন্ট।
তৃতীয় ওয়ানডের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, কেবল তরুণ বলেই পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই, পারফর্ম করেই ধরে রাখতে হবে জায়গা, 'আসলে প্রতিযোগিতা প্রতিটা সময়ই। জাতীয় দলে পারফর্ম করেই খেলতে হবে। চ্যালেঞ্জটা হলো... হ্যাঁ, তরুণ বলতে অভিজ্ঞতার দিক থেকে তরুণ কিন্তু জাতীয় দলে জুনিয়র-সিনিয়র কোনো অজুহাত দিতে পারবেন না। আমি যদি পারফর্ম না করি, তাহলে আমরা জায়গায় অন্য কেউ আসবে। দিন শেষে নিজেকে যত জলদি গুছিয়ে নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিব, তত জলদি আমি সফল হব ও আমার ক্যারিয়ারও বড় হবে।'
অভিজ্ঞতা, বয়স নির্বিশেষে ক্রিকেটাররা পারফর্ম করলে বাংলাদেশ দলের জন্যই মঙ্গল হবে জানান তিনি, 'অবশ্যই, সিনিয়ররা আমাদের ব্যাক-আপ করে, কথা বলে। ওনারা চায়, আমরা জুনিয়ররা যেন পারফর্ম করি। তাহলে ওনাদের কাজ সহজ হয়। আমরা জুনিয়ররা পারফর্ম করলে দলের রেজাল্টের ব্যাপারটা ভালো হয়। তারা সব সময়ই ভালো খেলছেন, ভালো করবেনও। তো আমরাও যদি তাদের সঙ্গে ভালো খেলতে পারি, তাহলে দলের জন্য ভালো হবে। দেখেন, আমি, লিটন, মোস্তাফিজ অলমোস্ট ৫-৬ বছর খেলে ফেলেছি, কিছু অভিজ্ঞতা তো হয়েছে। চেষ্টা করব, যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য।'
সাকিব, তামিমদের দেখে শিখলে সেটা তরুণদের ক্যারিয়ারের জন্য উপকারী হবে বলে মত মিরাজের, 'তাদেরকে দেখেই তো শিখি। যারা অভিজ্ঞ আছেন, তারা বাংলাদেশকে অনেক বড় অর্জন এনে দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশের যে অবস্থান আছে, এটাতে অবশ্যই তাদের অবদান দিতে হবে। তারা যেভাবে বাংলাদেশকে এক ধাপ ওপরে নিয়েছেন। তো আমরা তাদের দেখেই শিখি। যতটা তাদের দেখে শিখব, সেটা আমাদের ক্যারিয়ারের জন্যই ভালো। অবশ্যই তারা অনেক এমন ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমরা ওই সময় চিন্তা করতাম, আমরাও যদি সুযোগ পাই, তবে আমরাও চেষ্টা করব, ম্যাচ জেতাতে পারব। তো ওই আত্মবিশ্বাস ছিল মাঠের মধ্যে।'
Comments