ইয়াসিরের আউটই টার্নিং পয়েন্ট: মুশফিক
আন্দ্রে ফ্লেচারের সঙ্গে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাতে ইমারত গড়তেই পারতেন পরের ব্যাটাররা। ফ্লেচারের সঙ্গে সে কাজটা প্রায় করে ফেলেছিলেন ইয়াসির আলী। তার ব্যাট ম্যাচ একসময় খুলনার দিকেই হেলে পড়েছিল। কিন্তু ইয়াসির আউট হতেই বদলে যায় পাশা। ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সই।
রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে। আরও একবার ব্যর্থ হলেন বিপিএলে। ঘরোয়া শিরোপা দেখার অপেক্ষাটা আরও বাড়ল তার। ম্যাচ শেষে ইয়াসির আউটকে টার্নিং পয়েন্ট বলে উল্লেখ করেন অধিনায়ক।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এলিমিনেটর পর্বের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৭ রানে হেরে যায় খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করে খুলনা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের বেশি করতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের দল।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আক্ষেপই ঝরে মুশফিকের কণ্ঠে, 'এতো বড় লক্ষ্য তাড়ায় আমাদের প্রতি ওভারেই বাউন্ডারির প্রয়োজন ছিল। ইয়াসির দারুণ খেলেছে এবং তার উইকেটই টার্নিং পয়েন্ট।'
মুশফিকের বিদায়ের পর এদিন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ইয়াসির। অসাধারণ ব্যাটিং করে ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন বেনি হাওয়েলের হাতে।
এছাড়া বোলারদের কাঠগড়ায় তুলেছেন খুলনা অধিনায়ক, 'আমার মনে হয় যখন তারা (চট্টগ্রাম) চার উইকেট হারায় তখন আমরা কিছু সহজ বল দিয়েছি তাদের। নকআউট পর্বে ১৮০ রানের বেশি রান তাড়া করা সহজ নয়। আমরা ভালোই করেছি। তবে আমরা তাদের ১৭০ এর মধ্যে আটকে রাখতে পারতাম।'
এদিন ম্যাচে এক সময় মনে হয়েছিল সহজ জয়ই পেতে যাচ্ছে খুলনা। বিশেষ করে ফ্লেচার ও মুশফিক যখন ব্যাট করছিলেন। এরপর ফ্লেচারের সঙ্গে ইয়াসিরের জুটিও একই কথা বলে। কিন্তু পুরো ম্যাচে লড়াইয়ে রেখে শেষ দিকে পেরে ওঠেননি ফ্লেচার। হারতেই হয় খুলনাকে।
Comments