ডু প্লেসির সেঞ্চুরিতে খুলনার সামনে কঠিন লক্ষ্য
আগের দিন খুলনা টাইগার্সের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছিলেন মঈন আলী। এবার বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন ফাফ ডু প্লেসি। আগের ম্যাচগুলোর ব্যর্থতা ঝেড়ে জ্বলে উঠল এই দক্ষিণ আফ্রিকানের ব্যাট। তিনি তুলে নিলেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। তার কাঁধে চড়ে বড় পুঁজি গড়ল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফলে বিপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত করার বাঁচা-মরার ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের দল পেল কঠিন লক্ষ্য।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে কুমিল্লা। ইমরুল কায়েস বিশ্রামে থাকায় অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া অভিজ্ঞ ডু প্লেসি খেলেন ৫৪ বলে ১০১ রানের আগ্রাসী ইনিংস। সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তার এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে তিনি মারেন ১২ চার ও ৩ ছক্কা। তাতে ইতোমধ্যে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা নিশ্চিত করা কুমিল্লা ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৫ উইকেটে ১৮২ রান।
৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার পাঁচে রয়েছে খুলনা। চার দলের শেষটি হিসেবে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। কিন্তু তাদেরকে কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলে দিল কুমিল্লা। খুলনা হেরে গেলে প্লে-অফের টিকেট পাবে ১০ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পাওয়া মিনিস্টার ঢাকা।
ডু প্লেসির সেঞ্চুরিটি চলতি বিপিএলের তৃতীয়। তার আগে তিন অঙ্কের ইনিংসে পৌঁছেছিলেন সিলেট সানরাইজার্সের লেন্ডল সিমন্স ও ঢাকার তামিম ইকবাল। দুজন সেঞ্চুরি করেছিলেন একই ম্যাচে। তবে তাদের চেয়ে এক দিক থেকে এগিয়ে ডু প্লেসি। ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর তিনি সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৫২ বলে। সিমন্সের লেগেছিল ৫৯ বল, তামিমের ৬১।
কুমিল্লার ইনিংসের পঞ্চম ওভারে উইকেটে যান ডু প্লেসি। তখন দলটির রান ২ উইকেটে ৩১। শুরু থেকেই তিনি ছিলেন ছন্দে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আগের দিন ভুগলেও এদিন উইকেটে মানিয়ে নিতে সময় লাগেনি তার। একে একে তিনটি দারুণ জুটি গড়েন ডু প্লেসি। মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে ৩৫ বলে ৪৯, মঈনের সঙ্গে ২৫ বলে ৩৭ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে ২৮ বলে ৫০ রান আনেন তিনি।
১৯তম ওভারে ডু প্লেসির ইনিংসের ইতি ঘটে নাভিন উল হকের স্লোয়ারে। সীমানার কাছে তার ক্যাচটি নেন সৌম্য সরকার। খুলনার আফগান পেসার নাভিন ছিলেন ভীষণ খরুচে। তার ৪ ওভার থেকে আসে ৪৮ রান। কুমিল্লার হয়ে ওপেনার মাহমুদুল ২৭ বলে ৩১ রান করেন, ছয়ে নামা মাহিদুল অপরাজিত থাকেন ১১ বলে ২০ রানে।
Comments