জনপ্রিয় হচ্ছে ই-বুক, প্রতি ১০ জন মার্কিনির ৩ জন ই-বুক পড়েন

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী বই পড়ার অভ্যাসে পরিবর্তন আসছে। যুক্তরাষ্ট্রে ছাপা বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল ফরম্যাট ই-বুক পড়ার প্রবণতা বাড়ছে। বর্তমানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জন মার্কিন নাগরিক ই-বুক পড়েন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১২ মাসে ছাপা বই পড়া প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ছাপা বইয়ের পাশাপাশি একটি ই-বুক পড়েছেন।

সামগ্রিকভাবে জরিপ অনুযায়ী- যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৫ শতাংশ বলেছেন, তারা গত ১২ মাসে যে কোনো ফরম্যাটের একটি বই পড়েছেন। কেউ তা সম্পূর্ণ পড়েছেন আবার কেউ আংশিক পড়েছেন। ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরিপটি পরিচালনা করে পিউ রিসার্চ সেন্টার। তবে, এই চিত্র ২০১১ সালে থেকে অপরিবর্তিত আছে বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

যুক্তরাষ্ট্রে ছাপা বই এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ৬৫ শতাংশ বলেছেন, তারা গত বছরে অন্তত একটি ছাপা বই পড়েছেন। যদিও ২০১৯ সালের জরিপ এবং সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী ছাপা বইয়ের পাঠক এবং অডিওবুকের শ্রোতার পরিমাণ প্রায় অপরিবর্তিত আছে। কিন্তু, মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে ই-বুক পড়ার পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ১২ মাসে মার্কিন নাগরিকরা গড়ে প্রায় ১৪টি বই পড়েছেন। এই পরিসংখ্যান ২০১১ সালের অনুরূপ, তখন দেশটি প্রথম মার্কিন নাগরিকদের বই পড়ার অভ্যাস নিয়ে জরিপ পরিচালনা শুরু করে।

কিছু ডিজিটাল ফরম্যাটের পাঠক বৃদ্ধি সত্ত্বেও এটি এখনো তুলনামূলকভাবে অনেক কম। প্রায় ৩৩ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল ফরম্যাট ও ছাপা বই পড়েছেন। ৩২ শতাংশ বলেছেন, তারা কেবল ছাপা বই পড়েন। মাত্র ৯ শতাংশ বলেছেন, তারা শুধু ডিজিটাল ফরম্যাটে বই পড়েন এবং গত ১২ মাসে কোনো ছাপা বই পড়েননি।

২০২১ সালে বই পড়ার জনসংখ্যাগত পার্থক্য অতীতের সমীক্ষায় দেখা নমুনার মতোই। যেমন- প্রাপ্তবয়স্কদের যাদের স্নাতক বা উন্নত ডিগ্রী আছে তাদের বই পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু, তাদের তুলনায় যারা শুধুমাত্র কলেজে পড়েছেন এবং যাদের উচ্চবিদ্যালয় বা তারও কম শিক্ষা আছে তাদের সম্ভাবনা কম। আবার ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের তুলনায় ৬৫ এবং তার বেশি বয়সীদের বই পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

একইভাবে ২০১৯ সাল থেকে কিছু গোষ্ঠীর মধ্যে বই ব্যবহারের ধরণ পরিবর্তিত হয়েছে। যেমন- যেসব পরিবারের বার্ষক আয় ৩০ হাজার ডলারের কম তাদের অডিওবুক শোনার প্রবণতা ৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯ সালে যা ছিল ১৪ শতাংশ এবং বর্তমানে হয়েছে ২২ শতাংশ। আবার শহরে বসবাসকারীরা গত ১২ মাসে যে কোনো ফরম্যাটে একটি বই পড়েছেন। ২০১৯ সালে যা ছিল ৭৫ শতাংশ এবং বর্তমানে তা ৬ শতাংশ বেড়ে ৮১ শতাংশ হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Madhur Canteen: The story of an eatery and Bangladesh

If one says Madhur Canteen and Bangladesh’s history is inextricably interlinked, will it be an exaggeration?

13h ago