সিডন্সকে দেখে ২০১১ সালের সেই কষ্ট ভুলে গেছেন মাশরাফি
জেমি সিডন্সের সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃখজনক একটি অধ্যায় জড়িত মাশরাফি বিন মর্তুজার। ২০১১ বিশ্বকাপে সিডন্স ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। ঘরের মাঠে সেই বিশ্বকাপে দলে জায়গা পাননি মাশরাফি, দল থেকে বাদ পড়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন তিনি। তখন ফিটনেসের কারণ দেখানো হলেও মাশরাফির পরে জানিয়েছিলেন কোচই দলে চাননি তাকে। তার সঙ্গে তেতো স্মৃতি থাকলেও এক যুগের পর সিডন্সকে দেখে সেই কষ্ট ভুলে গেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
প্রধান কোচের ভূমিকায় ২০১১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা সিডন্স এবার বাংলাদেশে এসেছেন নতুন ভূমিকায়। তাকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। নতুন দায়িত্ব নিয়ে এসেই তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন একেক মাঠে। ঢাকার পর বিপিএলের খেলা দেখতে সোমবার আসেন সিলেটেও। খেলা দেখার পাশাপাশি ঘুরে ঘুরে দেখেন অবকাঠামো। সেখানেই তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় মাশরাফির।
বিপিএলে সোমবার কোন ম্যাচ ছিল না মাশরাফিদের। দুপুরে তারা অনুশীলন করেন সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর গ্রাউন্ডে। সন্ধ্যায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিডন্সকে দেখে দাঁড়ান মাশরাফি। দূর থেকেই হয় কুশল বিনিময়। একটি ছবিও উঠিয়ে রাখেন দেশের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক।
রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন কষ্ট ভুলে যাওয়ার কথা, নতুন দায়িত্বে শুভকামনা জানিয়েছেন সিডন্সকে, '২০১১ এর কষ্ট তোমাকে দেখে ভুলে গিয়েছি জেমি।
মনে প্রাণে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ক্রিকেট এ পর্যন্ত আসার পেছনে যাদের অবদান আছে তুমি তাদের ভেতর অন্যতম।আমি হয়তো দলে আর আসবো না তবে তোমার জন্য শুভকামনা।তোমার প্রতিটি শিক্ষা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বয়ে আনুক নতুনত্ব। হয়ে উঠুক আনন্দময়।তোমার প্রতি অগাধ আস্থা রেখেই বলছি।
#সামাজিক দূরত্বে থেকে তোমার প্রতি ভালোবাসা।
বাংলাদেশও তোমাকে ভালোবাসে"
২০০৭ সালে প্রথমবার বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেছিলেন সিডন্স। চার বছরের দায়িত্ব অল্প বিস্তর সাফল্যও আছে। তবে প্রধান কোচ থেকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে তার প্রশংসা করেছিলেন তখনকার ক্রিকেটাররা। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের চরম ভরাডুবির পর বর্তমান কোচিং স্টাফ নিয়ে টেলিভিশন টক শোতে প্রশ্ন তুলেন মাশরাফি। তামিম ইকবালের শোতে গিয়ে সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে আনার পক্ষে নিজের মতও দেন তিনি।
বিশ্বকাপের পর তামিম, মাশরাফিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর কদিন পর সিডন্সকে নিয়োগ দেয় বিসিবি।
তবে এই কোচ কোন পর্যায়ে কাজ করবেন তা নিশ্চিত করা হয়নি। জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবে বর্তমানে চুক্তিবদ্ধ আছেন অ্যাশওয়েল প্রিন্স। সিডন্স তবে কোথায় কাজ করবেন? এইচপি, ছায়া জাতীয় দল নাকি তাকেই দেওয়া হবে মূল জাতীয় দল। এই বিষয়গুলো গণমাধ্যমের কাছে পরিষ্কার করেনি বোর্ড। সিডন্স নিজেও তার ভূমিকা নিয়ে আছেন সংশয়ে।
Comments