সেরা খেলোয়াড়কে সেরা সময়েই চাই: তামিম প্রসঙ্গে নান্নু
গণমাধ্যম: তামিম ইকবালের যে পারফরম্যান্স, তাতে তিনি ছুটি না নিলে, নির্বাচক হিসেবে কি তাকে দলে চাইতেন?
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু: অবশ্যই, অবশ্যই দলে চাইতাম।
মঙ্গলবার চলছিল ফরচুন বরিশাল ও সিলেট সানরাইজার্সের খেলা। এর ফাঁকে হঠাৎ করেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের সামনে এলেন প্রধান নির্বাচক নান্নু। তখন তাকে দেখেই ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। নানা প্রসঙ্গের ভিড়ে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে তামিমের প্রসঙ্গও। তারই একটি প্রশ্নোত্তর পর্বই ছিল উপরের উক্তি গুলো।
দিন দুয়েক আগে সাগরিকায় বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তামিম। তার ঠিক একদিন আগেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেকে ছয় মাসের জন্য সরিয়ে নিয়েছেন এ ওপেনার। এমনকি তরুণরা ভালো করলে আর ফিরবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
অথচ শুধু ওই একটি সেঞ্চুরিই নয়, দলের জন্য এদিনও দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন তামিম। এর আগেও রয়েছে দুইটি হাফসেঞ্চুরি। বলতে গেলে এ সংস্করণে ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দেই আছেন তিনি। কিন্তু তাকে ছাড়াই আগামী দিনগুলোতে চলতে হবে বাংলাদেশ দলকে।
তামিমকে চাইতেন কি-না প্রশ্ন নান্নু বলেন, 'অবশ্যই দলে চাইতাম। সেরা পাফরমারকে তো সেরা সময়ে পাওয়ার একটা চিন্তা নির্বাচকদের থাকে। সেরা সময়ে, সেরা খেলোয়াড়টাকেই তো আমরা চাই। যেটা আমাদের দেশের জন্য দরকার।'
তামিমের এমন সিদ্ধান্তকে অবশ্য সম্মান করছেন প্রধান নির্বাচক, 'এটা তামিমের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তার এই সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই। সে কিন্তু অনেক চিন্তা-ভাবনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটাকেও আমাদের সম্মান জানাতে হবে। কারণ, এটা ওর ব্যাপার। ও না থাকলে আমাদের এখন যারা আছে তাদের নিয়েই এগোতে হবে।'
তবে তামিমকে ফেরাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি, 'ওকে আমরা অনুরোধ করছি, ওর সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি কীভাবে আবার তাড়াতাড়ি নিয়ে আসা যায়। এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে, ২০২২ সালে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হবে অনেকটা সময়। এই বছরের সূচি আমি যত টুকু দেখেছি তাতে স্রেফ ৭ দিনের বিরতির পরই কিন্তু আবার খেলা হবে। সুতরাং পরপর অনেক খেলা আছে। সুতরাং সেগুলোও মাথায় রাখতে হবে। চিন্তা-ভাবনা করে ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তো দেখা যাক।'
Comments