তাসকিনও বললেন ভুল বোঝাবুঝি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলে এবার মাঠের লড়াই যতো না জমছে, তার চেয়ে বেশি জমে উঠেছে মাঠের বাইরের লড়াই। এ লড়াই খেলোয়াড় বনাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এক দিন আগে পুরো ক্রিকেট পাড়াকে ব্যস্ত রেখেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তার দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দিনভর নাটক শেষে দুই পক্ষই জানায় বিষয়টি ছিল ভুল বোঝাবুঝির। তার রেশ না কাটতেই আরও একটি ভুল বোঝাবুঝির বিষয় উঠে এলো এবারের আসরে।

প্রথমে অবশ্য বিষয়টি জানা যায় বিসিবির তরফ থেকেই। সিলেট সানরাইজার্সের এক ক্রিকেটার না-কি হুমকি দিচ্ছেন পুরো পারিশ্রমিকের জন্য। যদিও নাম প্রকাশ করেনি তারা। তবে দিন না পেরুতেই জানা যায় সে ক্রিকেটারটি দেশের অন্যতম সেরা পেসার তাসকিন আহমেদ। কিন্তু তাসকিন বলছেন, বিষয়টি ছিল কেবলই ভুল বোঝাবোঝি।

প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এবার প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে একজন খেলোয়াড়কে চুক্তি করার সুযোগ দিয়েছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সেখানে সিলেট ৩৫ লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে তাসকিনের সঙ্গে। আর চুক্তির ৭০ ভাগ টাকা পরিশোধ করলেও তাসকিন বিপিএল চলাকালীন সময়েই পারিশ্রমিকের পুরো অর্থ চেয়ে বসেছেন। তাতেই জটলার সৃষ্টি।

মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তাসকিন, 'আমার সাথে তেমন কিছুই হয়নি (শেখ কুদরত ই ইবতিয়াজ) জয় ভাইয়ের। কোন ঝামেলা বা কোন কিছুই  হয়নি। এটা পুরোটাই ভুল বোঝাবুঝি ছিলো। আমাদের কথা ছিলো পারিশ্রমিক ক্লিয়ার হবে। আমি আসলে ভেবেছিলাম আমার পারিশ্রমিক খেলার আগেই পরিশোধ হবে। আসলে একটা নিয়ম আছে। এই নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধ হবে। এখানেই একটা মিস কমিউনিকেশন ছিলো। এটা আসলে কোন দ্বন্দ্বের বিষয় না। আমি মনে করি এটা নিউজেরও কোন বিষয় না! জয় ভাইয়ের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।'

যোগাযোগের ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরে তাসকিন আরও বলেছেন, 'সত্যি কথা বলতে বায়ো বাবলের কারণে মালিকপক্ষ অনেক সময় হোটেলে থাকেন না। জয় ভাই খুবই অমায়িক মানুষ। তার সাথে আমাদের সবার বোঝাপড়া অত্যন্ত ভালো। শুধু মাত্র যোগাযোগের ঘাটতির কারণে এমনটা হয়েছ। আমি ভাইয়াকে কয়েক বার ফোন করেছিলাম। হয়তো কোন কারণে মিস করেছে। আমার সাথে আমাদের দলের মালিকের কোন দ্বন্দ্ব নেই। উনি ব্যস্ত থাকায় রিপ্লাই দিতে দেরি করেছে। পরে আমার সাথে কথা হয়েছে, নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমার সব কিছু পরিশোধ হবে।'

সরাসরি চুক্তি বদ্ধ হওয়াতে পেমেন্টের বিষয়ে ভুল ধারনা ছিল তাসকিনের, 'আমি ভেবেছিলাম, আমি যেহেতু সরাসরি চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই আমার পেমেন্ট পরিশোধ হবে। এটা আসলে আমি জানতাম না। সবকিছু ঠিকই আছে। আমাদের মধ্যে কোন বিবাধ হয়নি। বিপিএল গভর্নিং কমিটি থেকেও বলা হয়েছে প্রসিডিউর অনুযায়ী টাকাটা আমি পাবো।'

একদিন আগে বিষয়টি নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছিলেন 'একটা নির্দিষ্ট অঙ্কে একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ফ্রাঞ্চাইজির সরাসরি সাইনিং হয়েছিল। চুক্তির ৭০ ভাগ টাকা ফ্রাঞ্চাইজি দিয়েও দিয়েছে। ফ্রাঞ্চাইজি আজ (সোমবার) আমাদেরকে জানাল, ওই খেলোয়াড় এখনই পুরো টাকা চাচ্ছে। আমি নিজে মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। ৭০ ভাগ টাকা পাওয়ার পরও ওই খেলোয়াড় চাপ দিচ্ছে। সে ফোন ধরেনি। খেলোয়াড় তাকে বলছে, পুরো টাকা না পেলে সে খেলবে না। যদিও বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।'

Comments