ফিরেই লিটনের ব্যাটে রান, দু প্লেসি-ডেলপোর্টের ফিফটি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্ণহীন পারফরম্যান্সের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান সিরিজে বাদ পড়েছিলেন লিটন দাস। আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন না ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নেওয়ায়। এরপর চট্টগ্রামের মাঠে ফিরলেন এ ব্যাটার। আর ফিরেই রানের দেখা পেয়েছেন এ তারকা ব্যাটার। ছন্দে ফিরে ফিফটি তুলে নিয়েছেন দুই প্রোটিয়া তারকা ফাফ দু প্লেসি ও ক্যামেরুন ডেলপোর্টও।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান তুলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ইনিংসের ভিত্তিটা লিটন নিয়ে গড়েন দু প্লেসি। তবে দলটি বড় সংগ্রহতে ডেলপোর্টকে সঙ্গী হিসেবে পান এ প্রোটিয়া তারকা।

অবশ্য এদিনের ম্যাচে মূল আকর্ষণ ছিল চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান মিরাজ ও কুমিল্লার লিটনকে নিয়ে। একজন গতকাল দিন ভর নাটকের পর থেকে গেছেন সাগর পারের দলটিতেই। অপরজন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর প্রথম ফিরছেন এ সংস্করণে। তবে লিটন ঝলক দেখাতে পারলেও মিরাজ ছিলেন ব্যর্থ।

অথচ এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলারই মিরাজ। মিরপুরে এক মিনিস্টার ঢাকার বিপক্ষের ম্যাচটি ছাড়া সব ম্যাচেই উইকেট পেয়েছিলেন। প্রায় সব ম্যাচেই প্রয়োজনের সময় এনে দিয়েছিলেন কার্যকরী ব্রেক থ্রু। কিন্তু এদিন বল হাতে পুরোপুরিই ব্যর্থ। ৩ ওভারে খরচ করেন ৩০ রান। আসরে এই প্রথম পূরণ করতে পারেননি বোলিংয়ের কোটাও।

অন্যদিকে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে কুমিল্লার ইনিংসের সূচনাটা ভালো করতে না করতে পারলেও দু প্লেসির সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন লিটন। জয় স্বীকার হন দারুণ ছন্দে থাকা নাসুম আহমেদের বলে। তবে শুরুতে ধাক্কা খেলেও দু প্লেসিকে নিয়ে ঠিকই চাপ সামলে লিটন। স্কোরবোর্ডে ৮০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।

এবার বেশ বড় অঙ্ক খরচ করেই দু প্লেসিকে দলে টেনেছিল কুমিল্লা। প্রথম দুই তাদের প্রত্যাশার কিছুই পূরণ করতে পারেননি তিনি।  আগের দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ ছিল ২ ও ৬। অবশেষে চট্টগ্রামে এসে জ্বলে উঠেছেন এ তারকা। মূলত লিটনের সঙ্গে গড়া তার জুটিই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয় দলের।

দলীয় ৮৪ রানে লিটন ফিরে যান নাসুমের স্বীকার হয়ে। ৪৭ রানের ইনিংসটি খেলেন ৩৪ বল মোকাবেলা করে। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। আরও একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লংঅফ সীমানায় সাব্বিরের ক্যাচে পরিণত হন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

এরপর দ্রুত ইমরুল কায়েসকেও হারায় কুমিল্লা। তবে ডেলপোর্টকে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন দু প্লেসি। অবিচ্ছিন্ন ৯৭ রানের জুটিতে দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানে অপরাজিত থাকেন দু প্লেসি। ৫৫ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন এ প্রোটিয়া তারকা। ২৩ বলে ৫১ রানের দারুণ এক ক্যামিও খেলেন ডেলপোর্ট। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন এ প্রোটিয়া তারকা।

চট্টগ্রামের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৩ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান নাসুম। ১টি উইকেট পেয়েছেন বেনি হাওয়েল।

Comments

The Daily Star  | English

Firefighter dies after being hit by truck while battling Secretariat fire

Another firefighter sustained injuries in his leg while working to extinguish the fire

4h ago