মাশরাফি-তামিমদের অনুশীলনে হঠাৎ ছন্দপতন
ফুটবল অনুশীলন শেষে সবে বল হাতে নিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন তামিম ইকবাল খান। তার পাশের নেটে ব্যাটিং করছিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটার মোহাম্মদ শাহজাদও। ঠিক তখনই আচমকা মাঠে উড়ে এলো এক এয়ার এ্যাম্বুলেন্স। তাতে প্রায় ২০ মিনিটের মতো অনুশীলন বন্ধ থাকল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার।
রোববার কোনো খেলা নেই বিপিএলের। চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে ঢাকা। বেলা তখন ১টা ১০ মিনিটের মতো। ওই সময়েই মাঠে চলে আসে সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। মাঠের ঠিক যে পাশে অনুশীলন করছিলেন খেলোয়াড়রা, নামে সেখানে। অথচ মাঠের বাকি অংশই ছিল খালি।
খেলার মাঠে অনুশীলনের সময় এভাবে হেলিকপ্টার নেমে যাওয়ার দৃশ্য বিরল। মাশরাফি, তামিম, মাহমুদউল্লাহরা হয়ে পড়েন অবাক। ঘূর্ণায়মান পাখার বাতাসে ওড়া ধুলোয় চারপাশ তখন অন্ধকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা আন্দ্রে রাসেল জোরেই জিজ্ঞাসা করেন, 'কি হচ্ছে?' শাহজাদের মুখ থেকেও বেরোয় একই প্রশ্ন।
পরে জানা যায়, ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বা মিনিস্টার ঢাকার। একজন মুমূর্ষু রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যেতে স্টেডিয়ামে নামে সেই এয়ার এ্যাম্বুলেন্স। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া ছিল তাদের। মানবিক কারণে বিপিএলের অনুশীলনের মাঝেও অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন শামীম বলেন, 'হেলিকপ্টারটিকে মানবিক কারণে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে আগেই জানানো হয়েছে। আমরা ক্রিকেট বোর্ড ও ঢাকা দলকে বিষয়টি অবহিত করি। পূর্ব পাশে জায়গা ঠিক করা থাকলেও পাইলট ভুলবশত পশ্চিম পাশে অনুশীলনের কাছেই অবতরণ করে। এ কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।'
মূলত, কিছুদিন আগে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়া এক রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হেলিকপ্টারটিকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। দুর্ঘটনায় মাথা ও দুই হাতে প্রচণ্ড আঘাত পান তিনি। কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হলেও তার শারীরিক পরিস্থিতি ইতিবাচক রূপ না নেওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা নেওয়া হয়।
Comments