এবারের বিপিএলে প্রথম দুইশ করল চট্টগ্রাম
প্রায় প্রতি আসরেই চট্টগ্রামের মাঠে দুইশ রান পার করা ইনিংস থাকে। এবারও সেই ব্যাটিং স্বর্গে এমন কিছু ছিল প্রত্যাশিত। কিন্তু হয়েও যেন হচ্ছিল না। তবে সাগরিকায় প্রথম দুই শতাধিক রানের স্কোর করল স্বাগতিক দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সই। এদিন সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ২০২ রান তুলেছে দলটি।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নামার আগে নানা গুঞ্জন। হঠাৎ বদলে যায় দলের কোচ ও অধিনায়ক। এ নিয়ে নানা ধরণের মন্তব্য। তবে আকস্মিক এ বদল যে দলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে তা বোঝা গেল দলের ব্যাটিংয়ে। সিলেটকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিল দলটি।
অথচ ঘরের মাঠে এসে আগের দিন প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি চট্টগ্রাম। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সে অর্থে লড়াইও জমাতে পারেনি দলটি। এদিন মেহেদী হাসানের জায়গায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে টস করেন নাঈম ইসলাম। টস হারলেও শেষ পর্যন্ত বড় পুঁজিই পায় তার দল।
এক প্রান্তে শুরুতে ঝড় তুলে শুরুতেই আভাসটা দিয়েছিলেন জ্যাক উইলসই। এরপর বাকি ব্যাটাররাও সে ধারা ধরে রেখে রানের গতি সচল রাখার চেষ্টা করেন। তবে হয়েও যেন হচ্ছিল না। শেষ দিকে আরও একটি ঝড়ো ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ দুইশ পার করেন আসর জুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা বেনি হাওয়েল।
ওপেনিংয়ে নেমে এদিন কেনার লুইসকে সঙ্গে নিয়ে দলের সূচনাটা দারুণ করেন উইলস। এ ক্যারিবিয়ানকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন এ ইংলিশ অলরাউন্ডার। যেখানে লুইসের অবদান মাত্র ৮ রান। এরপর অবশ্য ৪ রানের ব্যবধানে এ দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরে সিলেট। তবে পাওয়ার প্লেতে ৭১ রান পেয়ে যায় দলটি।
তবে তৃতীয় উইকেটে সাব্বির রহমানকে নিয়ে দলকে আরও একটি জুটি গড়ে সিলেটের হতাশা বাড়াতে থাকেন আফিফ হোসেন। স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি। তবে তখনও মনে হয়েছিল দলীয় ইনিংস দুইশ কাছাকাছি গিয়ে শেষ হবে। কিন্তু এক প্রান্তে ঝড় তুলে সহজেই দুইশ পার করেন বেনি হাওয়েল।
মূলত বেশ কিছু ছোট ছোট জুটিতে দলের সংগ্রহ বড় করেন হাওয়েল। আফিফকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ২৪, অধিনায়ক নাঈম ইসলামকে নিয়ে ৩৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ৩৩ রানের জুটি গড়েন এ ইংলিশ ব্যাটার।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন উইলস। মাত্র ১৯ বলে নিজের ইনিংসটি সাজাতে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন এ ওপেনার। আর শেষ দিকে ২১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন হাওয়েল। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
অবদান ছিল বাংলাদেশের দুই ড্যাশিং ব্যাটার সাব্বির ও আফিফেরও। ২৮ বলে ৩৮ রান করেন আফিফ। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। সাব্বির অবশ্য দেখেশুনেই খেলেন। ২৯ বলে ৩টি চারে ৩১ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ৪ বলে ২টি ছক্কায় ১২ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
Comments