টি-টোয়েন্টি মানেই শুধু মেরে খেলা নয়: তামিম
সাম্প্রতিক সময়ে তামিম ইকবালের ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে অনেক কথাই উঠেছে। বিশেষকরে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। স্ট্রাইক রেট এ সংস্করণের সঙ্গে যায় না বলেই অনেকেই মন্তব্য করেন। তবে দেখে শুনে খেললেও যে বড় ইনিংস খেলা যায় তা দেখিয়ে দিলেন এ ওপেনার। সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে যেন সমালোচকদের এক হাত নিলেন এ তারকা ক্রিকেটার।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তামিমের সেঞ্চুরিতে ভর করে সিলেট সানরাইজার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে মিনিস্টার ঢাকা। প্রথম ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান করে সিলেট। জবাবে ১৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ঢাকা। ৬৪ বলে হার না মানা ১১১ রানের ইনিংস খেলেন তামিম।
চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হলেও ১৭৫ রান তাড়া সবসময়ই কঠিন। আর সে কাজটা হেসে খেলেই করে ফেললেন তামিমরা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যায় এ ওপেনার বলেন, '১৭০ রানের লক্ষ্যে যদি দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেন কিংবা ৯ ওভারে তাড়া করে জেতা সম্ভব নয়। নিজেকে সময় দিতে হবে এবং বল অনুযায়ী খেলতে হবে। আমরা ঠিক তাই করেছি। আর এভাবেই ম্যাচ জিতেছি।'
একই সঙ্গে এ সংস্করণে সফল হওয়ার মন্ত্রটাও জানিয়ে দিলেন তামিম, 'নিজের স্কিল নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া উচিত। যদি কোনো দুর্বলতা থাকে সেটা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত। ক্রিকেটিং শটই খেলা উচিত। টি-টোয়েন্টি এমন ক্রিকেট নয় যে প্রতিটি বলেই মারার চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে শেপে রেখে ক্রিকেটিং শট খেলা উচিত। তাহলে এই সংস্করণেও সফল হওয়া যাবে।'
শুধু নিজের ইনিংস নয়, শাহজাদের সঙ্গে তার দারুণ জুটির কারণেই ম্যাচ জিতেছেন বলে মনে করেন তামিম, 'দেখুন, একজন খেলোয়াড় ১১৬ করেছে কিন্তু তারপরও ইনিংসে ১৭৫ রান পেয়েছে এবং আমি তাতে খুশি। শেষ দিকে ওভারে আমরা ৪ বা ৫ করে নিয়েছি। লক্ষ্যটা ২২০ রান হলেও হয়ত আমরা জিততে পারতাম। আমি জানতাম, যদি আমরা ভালো শুরু করি, আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে। সৌভাগ্যবশত আমি ও শাহজাদ অসাধারণ একটি শুরু পাই। আর এরপর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।'
অথচ এই সিলেটের বিপক্ষে মিরপুরে লড়াইটাও করতে পারেনি ঢাকা। সেদিন তারা হেরেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে। তামিম যেন এদিন মধুর প্রতিশোধই তুলে নিলেন। একই সঙ্গে তার ব্যাটে টুর্নামেন্টে টিকে রইল ঢাকা। এর আগের চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল দলটি।
Comments