সংস্কারের পর নতুন সাজে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পূর্ব গ্যালারীর প্রায় সব সিটই ছিল ভাঙাচোরা। পশ্চিম গ্যালারীতে অবস্থা এতোটা করুণ না হলেও কিছু সিটে বসা যেত কোনোমতে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অবস্থা গত বছর ধরেই ছিল এমন। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) সামনে রেখে বদলে গেছে সাগরিকা। পুরো স্টেডিয়াম যেন নতুন সাজে সেজেছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে থাকা সব মাঠেরই সংস্কার করার কথা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসইউ)। তবে সিটগুলোর এমন বেহাল দশায় বিসিবি থেকে বারবার বলার পরও উদ্যোগ নেয়নি এনএসইউ। শেষ পর্যন্ত নিজ উদ্যোগেই সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

পুরো স্টেডিয়ামের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চলেই বসেছে নতুন সিট। কেবল ভিআইপি গ্যালারী ছাড়া। স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা সাড়ে ১৮ হাজার। সেখানে নতুন সিট বসানো হয়েছে ১২ হাজার।

এ প্রসঙ্গে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার ফজলে বারি খান বলেন, 'এখন স্টেডিয়ামে ১৮ হাজারের বেশি সিট রয়েছে। পুরান ভালো কিছু সিট রয়ে গেছে। নতুন সিট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।' 

এর আগে স্টেডিয়ামের সব সিট বিদেশ থেকে আনা হলেও এবার সিট সব দেশ থেকেই কেনা হয়েছে বলে জানান ভেন্যু ম্যানেজার, 'আগের চেয়ার তো আনা হয়েছিল দেশের বাইরে থেকে। সেগুলো অনেক বছরই টিকে ছিল। এবার দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে চেয়ার নিয়েছিল। এক বছরের ওয়ারন্টি আছে। কতদিন টিকবে বলা তো মুশকিল, আশা করছি অন্তত বছর দশেক টিকে থাকবে।'

সবশেষ ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আধুনিকায়ন করা হয় এ স্টেডিয়াম। মাঠের পশ্চিম পাশ দোতলা করে প্লাস্টিকের চেয়ার বসানো হয় পুরো স্টেডিয়ামে।

Comments

The Daily Star  | English

Consensus key to reforms, election

Chief Adviser Muhammad Yunus yesterday said reforms without consensus and elections without reforms would not be able to take Bangladesh forward.

9h ago