টি-টোয়েন্টিতে ৫০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস খেললেন নাঈম
টি-টোয়েন্টিতে কোন ব্যাটসম্যান ১০০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করলে সেটাকে বলা হয় মন্থরতম ইনিংস। উইকেট মন্থর ঘরানার হলে হয়ত ১২০ স্ট্রাইকরেট মাননসই। তার নিচে সেট দলের চাহিদা মেটে না। কিন্তু তাই বলে অন্তত ২০ বলের বেশি খেলা কোন ব্যাটসম্যানের কেবল ৫০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা বেশ বিস্ময়ের। নাঈম শেখ খেলে ফেলেছেন তেমন এক শম্বুক গতির ইনিংস।
সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে তিন নম্বরে নেমে জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি ওপেনার নাঈম করেছেন ৩০ বলে ১৫ রান। তার স্ট্রাইকরেট ছিল কেবল ৫০। পুরো ইনিংসে নাঈম কোন বাউন্ডারি মারতে পারেননি। দুই-একবার ছাড়া তাকে বাউন্ডারি মারার তেমন চেষ্টাও করতে দেখা যায়নি। নিয়েছেন ১৫টি সিঙ্গেল, বাকি ১৫টি ডট বল।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দিনের ম্যাচেও উইকেট ছিল মন্থর। কিন্তু সেই উইকেটে মানিয়ে রান করা যাবেই না, এমন অবস্থা ছিল না। কিন্তু মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা করে কেবল ১০০ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে গিয়ে মোহাম্মদ শেহজাদ আউট হলে দ্বিতীয় ওভারে ক্রিজে আসেন নাঈম। ওই ওভারে তামিম ইকবাল ফিরে গেলে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়েন নাঈম। পুরোটা সময় নাঈম ছিলেন খোলস বন্দি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাট ছিল সাবলীল। ৪১ বলে তাদের ৪০ রানের জুটিতে ২১ বলে ২৭ রানই আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। এই সময়ে ২০ বল খুইয়ে মাত্র ১৩ রান করতে পারেন বাঁহাতি নাঈম।
নাঈমকে বোতলবন্দি করে রাখতে শুরুতে অফ স্পিনার লেলিয়ে দেয় সিলেট। সোহাগ গাজী, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতদের বলে খেলতে থাকেন একের পর এক ডট বল। মুক্তার আলির মিডিয়াম পেসেও হাত খুলতে পারেননি তিনি। অবশ্য তখন প্রতি বলে সিঙ্গেল নিতে পারছিলেন।
বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু বল করতে এসে কাটেন নাঈমকে। তার বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত দিলেও রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগেছে গ্লাভসে। ওই ওভারে ৪ বলে ০ করে ফিরে যান আন্দ্রে রাসেলও। তবে তার সিদ্ধান্তটিও ভুল দেন আম্পায়ার শরফুদৌল্লাহ সৈকত।
শুভাগত হোম নেমে ১৫ বলে ২১ করলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করার পথ হয় ঢাকার। পরে রুবেল হোসেনের ৬ বলে ১২ রান একশোতে যায় ঢাকা। ঢাকার ইনিংস ধসিয়ে ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন অপু।
Comments