যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শাস্তি নয়, সতর্কতার জন্য: কৃষিমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সৌজন্য

র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশকে শাস্তি নয় বরং সতর্ক করেছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাকে উদ্ধৃত করে কৃষিমন্ত্রী এই কথা বলেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রদূত মিলার আজ রোববার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। তাদের আলোচনায় দুই দেশের কৃষি, অর্থনীতি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যুর সঙ্গে র‍্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও উঠে আসে।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিস উপস্থিত ছিলেন। পরে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তিনি বলেন, 'অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেছি। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, সতর্ক করার জন্য করা হয়েছে।'

নিষেধাজ্ঞার জন্য উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করায় হতাশা প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমি বলেছি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবাধিকারের বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে।'

দুজনের বৈঠকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদে দমনের প্রসঙ্গ উঠে আসার ব্যাপারে কৃষিমন্ত্রী জানান, 'বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তারা প্রশংসা করেছেন। তাদের ধারণা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে এটা হবে।'

মন্ত্রী বলেন, 'আমি তাদের বলেছি, আমাদের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করেছে। কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়তো ভুল করেছে, সেজন্য ১৯০ জন র‌্যাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।'

নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। আশা করি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। আমাদের সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য আমরা মনে করি নির্বাচনটা সুন্দর ও সুষ্ঠু হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, 'নির্বাচনে যে ফল আসবে সেটা যদি আমাদের বিরুদ্ধেও যায়, তা আমরা গ্রহণ করব। একটা সিটি নির্বাচনে হেরে গেলে কিছু যায়-আসে না। কিন্তু জনগণের বিজয় হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Barishal University protest

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

11h ago