খেলার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন শুনেই অবাক মুমিনুল

Mominul Haque & Shakib AL Hasan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণা করার পর চতুর্থ দিন শেষ অদ্ভুত এক অ্যাপ্রোচ নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। বলে বলে মারার চেষ্টায় চলে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার মিছিল। ওই সেশনেই ৭ উইকেট হারানোর পরই ম্যাচে গতিপথ তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু  তারা যে অতি আক্রমণাত্মক হয়ে খেলছেন, এমনটা মানতেই চাইলেন না অধিনায়ক মুমিনুল হক। বরং নিজেদের খেলার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন শুনেই অবাক তিনি।

বৃষ্টিতে মিরপুর টেস্টের আড়াই দিনের মতো সময় ভেসে যাওয়ার পর ফল আসা ছিল বেশ কঠিন। চতুর্থ দিন ৪ উইকেটে পাকিস্তান ৩০০ রান করে ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার পর সেই কঠিনই সহজ করতে থাকে বাংলাদেশ।

বলে বলে বিলাসী শট খেলার এক অ্যাপ্রোচ নিয়ে নামেন ব্যাটাররা। লফটেড শটে উইকেট দেন সাদমান ইসলাম, অধিনায়ক মুমিনুল অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে হন রান আউট। নাজমুল হোসেন শান্ত ছটফট করতে করতে প্রতিপক্ষকে সুযোগ দেন বারবার। একাধিক জীবন পেয়েও ইনিংস এগুতে পারেননি।

মুশফিকুর রহিম স্লগ সুইপে দেন ক্যাচ। এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ফেরেন লিটন দাস। সুইপের চেষ্টায় বোল্ড হন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসান ক্রিজে গিয়েও বারবার তৈরি করেন ঝুঁকির পথ।

চতুর্থ দিনের এই ঝাপটাই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশকে দেয় ছিটকে। পঞ্চম দিনে নেমে আর ১১ রান যোগ ৮৭ রানে গুটিয়ে দল পড়ে ফলোঅনে। দ্বিতীয় ইনিংসে অন্যরকম অ্যাপ্রোচ নিয়ে চেষ্টা করে গেলেও শেষ মুহূর্তে আর লাভ হয়নি।

ম্যাচ শেষে তাই মুমিনুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল চতুর্থ দিনের শেষ সেশনের ওই ব্যাটিং নিয়ে। উত্তরে বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠে ঝরে বিস্ময়,  'আমার কাছে মনে হয় না কোন রকম আক্রমণাত্মক কেউ খেলেছে। আমি আসলে আপনারদের প্রশ্ন শুনে খুব অবাক হয়ে গেছি। কেউ এগ্রেসিভ খেলেনি। যারা শট খেলে আউট হয়েছে তারা ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়ে আউট হয়েছে।  হয়ত আপনার কাছে লাগছে কারণ ওই সময় আউট হয়ে গিয়েছে। স্কোরিং শট যেগুলো সেগুলোতে রান না করলে তো আপনি রান করতেই পারবেন না।'

'আমার মনে হয় না কোনভাবে এগ্রেসিভ ছিল। হয়ত উপরের দিকে রান করতে পারিনি। সেটা করতে পারলে নিচের দিকের জন্য সহজ  হতো। উপরের দিকে সহজ করে দিতে পারলে নিচের দিকে উনারা সুন্দরভাবে ক্যারি করতে পারত। উপরের দিকে না রান না হলে নিচের দিকে খুব কঠিন হয়ে যায়।'

তবে বাকিদের আউট নিয়ে না বললেও নিজের রানআউটের তাড়াহুড়ো করার ভুল দেখছেন মুমিনুল,

'প্রথম ইনিংসের কথা যদি বলি আমার ভুল ছিল। আমারটা সিলি মিস্টেক ছিল। হয়ত তাড়াহুড়ো করে রান নেওয়া উচিত হয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

3h ago