দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেও বেহাল দশা
ফলোঅনে পড়ে এমনিতেই ম্যাচ বাঁচানোর হয়ে গিয়েছিল কঠিন। সেটা এখন প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি চলে গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমেও যে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতশ্রী দশা হারের শঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। এবার শাহীন শাহ আফ্রিদি আর হাসান আলির তোপে কাঁপছে মুমিনুল হকের দল।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ১১ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৭ রান করেছে বাংলাদেশ। ইনিংস হার এড়াতেই এখনো করতে হবে ১৮৬ রান। প্রথম ইনিংসের শেষ ৩ উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসের ৪ উইকেট মিলিয়ে পঞ্চম দিন দেড় ঘন্টাতেই পড়ল ৭ উইকেট। বুধবার মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে তাই বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষায় চরম বিব্রতকর এক পরিস্থিতির।
অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয় প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন শূন্য রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাউন্ডারিতে রানের খাতা খুলেন তিনি। তবে চতুর্থ ওভারে তার বিদায়েই ধসের শুরু। প্রথম ইনিংসে বলই পাননি হাসান আলি। এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই উইকেট এনে দেন পাকিস্তানকে। হাসানের বলে ফুটওয়ার্কের দুর্বল ব্যবহারে অফ স্টাম্প খোয়ান জয়। ৬ বলে ৬ রানে থামে তার দৌড়।
পরের ওভারেই বিদায় নড়বড়ে সাদমান ইসলামের। শাহীন শাহ আফ্রিদিকে সামলাতে না পারে মাত্র ২ রান করে এলবিডব্লিউ হন তিনি। অধিনায়ক মুমিনুল হক এক চারে শুরুটা করেছিলেন। দলের বিপর্যয়ে তার ব্যাটের দিকেই প্রত্যাশা ছিল চড়া। কিন্তু হাসানের অ্যাঙ্গেল তৈরি করে ভেতরে ঢোকানো বলে এলবিডব্লিউর শিকার তিনিও। ৮ বলে মুমিনুল ফেরেন ৭ রান করে।
তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে ছাঁটেন শাহীন। তার লাফানো বল সামলাতে না পারে গালিতে ক্যাচ দেন ৬ রান করা শান্ত। ২৫ রানেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট।
চরম কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে বাঁচাতে ক্রিজে আছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। তবে কতক্ষণ তারা লড়াই চালাতে পারেন এটাই এখন দেখার বিষয়।
Comments