পানির দাম বাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা

পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। আগামী বছরের শুরু থেকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই বাড়তি দাম কার্যকর হবে।

পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। আগামী বছরের শুরু থেকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই বাড়তি দাম কার্যকর হবে।

চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্য মহসিন কাজী আজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার পর্ষদের বৈঠকে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

চট্টগ্রামে এখন দাম আবাসিক পর্যায়ে প্রতি ১ হাজার লিটার পানির ১২ টাকা ৪০ পয়সা। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এই দাম ৩০ টাকা ৩০ পয়সা। আগামী বছর থেকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে এর দাম হবে যথাক্রমে ১৩ টাকা ২ পয়সা ও ৩১ টাকা ৮২ পয়সা।

চট্টগ্রাম ওয়াসার এখন আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহক সংখ্যা যথাক্রমে ৭১ হাজার ৯৯২ ও ৫ হাজার ২৭৩। দৈনিক ৫০ কোটি লিটার চাহিদার বিপরীতে পরিশোধন হয় ৪৫ কোটি লিটার।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম ওয়াসার পরিশোধিত পানির ৩৪ শতাংশই সিস্টেম লস হয়। সেই হিসাবে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর আগেই দৈনিক অপচয় হচ্ছে প্রায় ১৫ কোটি লিটার পানি। এতে বছরে ১০৮ কোটি টাকা জলে যাচ্ছে।

পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ক্যাবের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিশাল সিস্টেম লস কমানোর দিকে ওয়াসার নজর নেই। সিস্টেম লস এক অংকে নামিয়ে আনতে পারলে পানির দাম বাড়াতে হতো না। এতে সাধারণ গ্রাহকরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রতি ১ হাজার লিটার পানি পরিশোধনে প্রায় ১৬ টাকা খরচ হয়। অথচ গ্রাহকদের ৯৩ শতাংশই আবাসিক পর্যায়ে, যারা এর জন্য খরচ করেন ১২ টাকা ৪০ পয়সা। সরকারের কাছ থেকে ওয়াসা পরিচলন ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ পায় না। বিভিন্ন প্রকল্পের ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। তাই পানির দাম বাড়িয়ে আমাদের খরচ সমন্বয় করতে হয়।

গণশুনানি ছাড়া ওয়াসা পানির দাম বাড়াতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়াসা-আইন-১৯৯৬ অনুযায়ী পরিচলন ব্যয় বেড়ে গেলে পর্ষদের অনুমতি সাপেক্ষে পানির দাম বছরে ৫ শতাংশ বাড়ানো যায়।

সিস্টেম লসের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যেই সিস্টেম লস এক অংকে নেমে আসবে বলে আশা করছি।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

10h ago