ইলিশ রপ্তানি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশকে কলকাতার ব্যবসায়ীদের আহ্বান

আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মাছ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন এতে করে ভারতে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে ভারতে আবারও ইলিশ রপ্তানি শুরু করতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মাছ আমদানিকারক সমিতি।

দ্য ডেইলি স্টারের নয়াদিল্লি সংবাদদাতা জানান, সংগঠনটির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ৪ হাজার ৬০০ টন মাছের পুরো চালানের রপ্তানি করা হয়। 

মাকসুদ জানান, বাংলাদেশ এবং ভারতীয় আমদানিকারকরা মনে করছেন যে আগামী ৯ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ইলিশের পুরো চালান ভারতের বাজারে পৌঁছানো কঠিন হবে।

তিনি জানান, গত কয়েক দিনে ইলিশের প্রথম চালান পশ্চিমবঙ্গের বাজারে পৌঁছালেও আগামী ১০ দিনে সবলিমিয়ে ৬০০ টন ইলিশ ভারতে আমদানি করা যাবে, যার অর্থ বাকি ৪ হাজার টন রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নাও হতে পারে।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা ইলিশের গড় ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত, যার দাম ১২০০ থেকে ১৬০০ রুপি।

এদিকে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে জানায়, পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, ৩ অক্টোবর পর্যন্ত যতটুকু ইলিশের চালান আসতে পারে সেটি আসুক। ২২ অক্টোবরের পরে ঢাকার ঘোষণা অনুযায়ী ধাপে ধাপে বাকি ইলিশও ঢুকতে দেওয়া হোক।

আনোয়ারের বরাতে আনন্দবাজার আরও জানায়, ইলিশ বাজার এবং পরিকাঠামোর যা অবস্থা, তাতে গড়ে এক দিনে পশ্চিমবঙ্গে বড়জোর ৫০ মেট্রিক টন ইলিশ ঢুকতে পারে। ৩ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকার উপহারের সামান্য ইলিশই পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে পারবে।

Comments

The Daily Star  | English

Will protect investments of new entrepreneurs: Yunus

Yunus held a meeting with young entrepreneurs at the state guest house Jamuna where15 male and female entrepreneurs participated

5h ago