বান্দরবানে সংরক্ষিত বনে হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হলো বীজ
প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশের বৃহত্তম বনাঞ্চল সাঙ্গু ও মাতামুহুরী সংরক্ষিত বন রক্ষায় বন বিভাগ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে আজ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় পাঁচ লাখ বীজ ছিটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা এস এম কাইসার বলেন, 'বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরি রিজার্ভ ফরেস্টে যেসব এলাকায় গাছের সংখ্যা কম সেসব এলাকায় চম্পা, চাপালিশ, জারুল, গুটগুটিয়া, বয়েরা, হরিতকিসহ বিলুপ্তপ্রায় ৩০ প্রজাতির গাছের পাঁচ লাখ বীজ হেলিকপ্টার থেকে বীজ ছিটানো হচ্ছে।'
'সংরক্ষিত এই বনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের মধ্যে দুর্লভ চাপালিশ, গর্জন, চম্পা বয়েরা সহ অনেক গাছ ছিল। এ প্রজাতির অনেক গাছ এখান থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। মূলত সংরক্ষিত বন রক্ষার জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি', বলেন তিনি।
'হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উপর থেকে বীজ ছিটানো হলে এতে বীজের অঙ্কুরোদগম কেমন হবে তা নিয়ে আমরা একটু চিন্তিত। তবে আমাদের আশা পঞ্চাশ ভাগ বীজও যদি অঙ্কুরোদগম হয় তাও বনাঞ্চলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য সহায়ক হবে', বলেন এস এম কাইসার।
১৮৮০ সালে সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষিত এই বনাঞ্চল দেশের একমাত্র কুমারী বনাঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
সংঘবদ্ধ কাঠ পাচারকারীরা বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সাঙ্গু এবং মাতামুহুরী বনাঞ্চলকে ধ্বংস করা হচ্ছে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এই বনাঞ্চলে ৩৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৪৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ১৯ প্রজাতির উভচর এবং ১১ প্রজাতির বিরল পাখি আছে বলে মনে করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বন ও ভূমি অধিকার সংরক্ষণ আন্দোলন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বনায়ন কর্মসূচি 'অপারেশন উডস্প্রাইট-২, পর্ব-১' অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর বিমান বাহিনী দেশে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টারযোগে উপকূলীয় এলাকায় বীজ বপনের কাজ সম্পন্ন করে।
Comments