কাবুলের পথে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ সামরিক বিমান, অপেক্ষায় ২০ হাজার মানুষ

আফগান ও আফগানিস্তানে বসবাসকারী স্প্যানিশ নাগরিকরা হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি সামরিক বিমানে উঠছেন। ২০ আগস্ট, ২০২১। ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগামীকালের মধ্যে ৩৩টি মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরটিতে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ উদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর ৩৩টি সি-১৭ জেট বিমান পৌঁছানোর কথা। চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট এসব বড় বিমানের প্রতিটির ৪০০ মানুষকে বহনের সক্ষমতা রয়েছে।

কিন্তু, সূত্রটি সিএনএনকে জানিয়েছে, বিমানবন্দরে কারা প্রবেশ করবে সে ব্যাপারে ওয়াশিংটন নীতি পরিবর্তন করছে। আজ থেকে কেবলমাত্র মার্কিন নাগরিক ও গ্রিনকার্ডধারী এবং ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের বিমানবন্দরের গেট অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হবে।

সূত্রটি আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিবাসী ভিসা কর্মসূচিতে (এসআইভি) আবেদনকারী আফগানরা, যারা দেশ থেকে বের হওয়ার জন্য মার্কিন বাহিনী ও সংস্থার হয়ে কাজ করেছিল, তাদের বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তালেবান সদস্যরা এখন নথিপত্র পরীক্ষার মাধ্যমে বিমানবন্দরে প্রবেশে ইচ্ছুকদের বাছাইয়ের কাজে সাহায্য করছে। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

তবে নতুন বিধিনিষেধের পরেও, কোনো নথিপত্র না থাকা হাজার হাজার আফগান বিমানবন্দরের অবস্থান করছেন। যখন সবাইকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল, তখন তারা বিমানবন্দরে ঢুকেছিলেন।

যদিও, তাদেরকে এখন 'বিমানবন্দর থেকে বের করে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই' বলে সূত্রটি সিএনএনকে জানিয়েছে, তবুও সেখানে বেশ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

একটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, বিমানবন্দরে তৈরি হওয়া এ বিশৃঙ্খলার একটি কারণ হচ্ছে নাম বা দলিল নম্বর ছাড়াই এসআইভি আবেদনকারীদের ইলেকট্রনিক ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। ভিসাগুলো তখন স্ক্রিনশট হিসেবে কপি করা হয়। ফলে আফগানরা বিমানবন্দরে প্রবেশের যোগ্য নন- এমন হাজার হাজার আফগানকেও এগুলো পাঠাতে শুরু করেন। ফলে মানুষ দলে দলে বিমানবন্দরে ঢুকতে শুরু করে।

সূত্রটি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, 'আমি মনে করি না যে, কনস্যুলার বা প্রশাসন বুঝতে পারছে, তারা মূর্খের মতো এ ভিসা পাঠিয়ে এবং টানা ২৪ ঘণ্টা সবাইকে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিয়ে কতটা খারাপ অবস্থা তৈরি করেছে। কিছু লোক বলছে যে বিমানবন্দরে যারা আছেন তাদের চার দিনের মধ্যে এখান থেকে বের করার কোনো উপায় নেই।'

এর আগে গতকাল রোববার সারাদিনই বিমানবন্দরের পরিস্থিতি খারাপ ছিল। এর বেশিরভাগ প্রবেশদ্বারই বন্ধ রাখা হয়। বিশৃঙ্খলার মধ্যে পরিবারের সদস্যদের আলাদা হয়ে যাওয়া এবং একেকজনকে একেক দেশে পাঠানোর ঘটনাও ঘটেছে বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিএনএন।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

10h ago