কালজয়ী সিনেমা ‘নায়ক’
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত এবং উত্তম কুমার ও শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত কালজয়ী সিনেমা 'নায়ক'। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৬ সালে। ৫৫ বছর পরেও সেই সিনেমা এখনো যেন নতুন। যতবারই এই সিনেমা দেখা, ততবারই যেন মুগ্ধতা।
সিনেমাটিতে একজন সুপারস্টার নায়কের গল্প বলা হয়েছে। একটি ক্যানভাসে যেন সুনিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে সেই নায়কের জীবনের বিভিন্ন দিকের চিত্র। দেখানো হয়েছে, খ্যাতি কীভাবে একজন নায়ককে সবকিছু থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
প্রেক্ষাপটে রয়েছে একজন সাধারণ মানুষের অসাধারণ হয়ে নাম, খ্যাতি, প্রশংসার চূড়ায় ওঠার গল্প। গল্পটি যেন শুধু সিনেমার নায়ক নয়, আরও অনেক সুপারস্টারের জীবনের গল্প! সিনেমাটা দেখতে দেখতে মনে হতে পারে, এটা কি উত্তম কুমারের জীবনেরই গল্প গাঁথলেন সত্যজিৎ রায়! সিনেমার গল্পের কোথায় যেন লুকিয়ে আছে সেই গল্পের বুনন। কারণ সিনেমার গল্পের মতোই উত্তম কুমার নিজেও একসময় থিয়েটার করতেন। পরে আসেন সিনেমায়।
সিনেমায় নায়ক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় (উত্তম কুমার) যখন ট্রেনের মধ্যে 'আধুনিকা' পত্রিকার সম্পাদক অদিতি সেনগুপ্তর কাছে নিজের জীবনের বিভিন্ন অনুভূতি, নায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা, হারানোর ভয়, নিঃসঙ্গতা, অপরাধবোধ, লোভ, বন্ধু, বিচ্ছেদ, একাকিত্বের কথা বলছিলেন, সেই ফ্ল্যাশব্যাকের প্রত্যেকটি দৃশ্যই দুর্দান্ত।
যারা সত্যজিৎ রায় কিংবা উত্তম কুমারকে পছন্দ করেন, দেখে নিতে পারেন 'নায়ক'। ১৯৬৬ সালে বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড' পায় এই সিনেমাটি। 'শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম' এবং 'শ্রেষ্ঠ কাহিনি ও চিত্রনাট্য' বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সম্মান দেওয়া হয়েছিল সিনেমাটিকে।
Comments