৭০ হাজার জনসংখ্যার বারমুডাকে সোনা জিতিয়ে ডাফির ইতিহাস
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত বারমুডার জনসংখ্যা মাত্র ৭০ হাজারের আশেপাশে। তারা অলিম্পিকের ইতিহাসে নিজেদের প্রথম সোনার পদকের দেখা পেয়েছে ফ্লোরা ডাফির হাত ধরে। জনসংখ্যার ভিত্তিতে অলিম্পিক গেমসে সোনা জেতা ক্ষুদ্রতম দেশ বা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এখন বারমুডা।
মঙ্গলবার টোকিও অলিম্পিকে নারীদের ট্রায়াথলনে সেরা হয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী ডাফি। ১ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড় মিলিয়ে হওয়া এই ইভেন্ট সবার আগে শেষ করেন তিনি। তার চেয়ে এক মিনিটেরও বেশি সময় নিয়ে থেকে রুপা জিতেছেন গ্রেট ব্রিটেনের জর্জিয়া টেইলর-ব্রাউন। যুক্তরাষ্ট্রের কেটি জ্যাফার্স পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।
অলিম্পিকে বারমুডার দ্বিতীয় পদক এটি। আগেরটি তারা পেয়েছিল ৪৫ বছর আগে। ১৯৭৬ সালের মন্ট্রিল অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন বক্সার ক্লারেন্স হিল।
ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নেওয়ার পর ডাফি বলেছেন স্বপ্ন পূরণের তৃপ্তির কথা, 'একটি সোনার পদক জয়ের যে স্বপ্ন আমার ছিল, তা আমি অর্জন করেছি। কেবল তা-ই নয়। বারমুডা হয়েও প্রথম সোনার পদক জিতেছি।'
সাফল্যের শিখরে পৌঁছানোর মুহূর্তটি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন তিনি, 'এটা আমার চেয়েও বড় এবং দুর্দান্ত একটি মুহূর্ত। এটা ছিল আমার জীবনের দীর্ঘতম কিলোমিটার (দৌড়ের শেষ অংশে)।'
অলিম্পিকে সোনার পদক গলায় ঝোলানো একজন অ্যাথলেটের জন্য কতটা গৌরবের করে সেটাও ফুটে উঠেছে তার কণ্ঠে, 'আমার মনে হয়, জীবনের বাকি সময়টাতে অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ডাক শুনতে আমি অভ্যস্ত হয়ে পড়ব।'
ইভেন্ট চলাকালে নিজের আবেগের সঙ্গে লড়াইয়ে মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন ডাফি, 'আমি চেষ্টা করেছি শান্ত থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং শেষ কিলোমিটারের আগ পর্যন্ত আসলেই এমনটা ঘটতে যাচ্ছে (সোনা জয়) ভেবে মনকে লক্ষ্যচ্যুত হতে দেইনি।'
তবে এখনও যেন গোটা বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি, '(শেষ অংশে) আমি আমার স্বামীকে দেখেছি। সে আমার কোচ। সে রাস্তার পাশে ছিল এবং আমি তার দিকে তাকিয়ে একটু হেসেছি। তখন থেকে সব ধরনের আবেগকে প্রকাশিত হতে দিয়েছি আমি। তবে আমি সত্যিই মনে করি, আরও কয়েক দিন না যাওয়া পর্যন্ত আমি এটা টের পাব না।'
Comments