গুরিয়েভার নৈপুণ্যে অলিম্পিকে পদকের খাতা খুলল তুর্কমেনিস্তান
১৯৯৬ সাল থেকে অলিম্পিক গেমসে নিয়মিত অংশ নিয়ে আসছে তুর্কমেনিস্তান। কিন্তু আগের ছয়টি আসরে তাদেরকে ফিরতে হয় হতাশা নিয়ে, খালি হাতে। এবার সেই শূন্যতা পূরণ হয়েছে। অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে সাফল্য পেয়েছে তুর্কমেনিস্তান। তাদেরকে ইতিহাসের প্রথম অলিম্পিক পদকের স্বাদ দিয়েছেন ভারোত্তোলক পলিনা গুরিয়েভা।
মঙ্গলবার টোকিও অলিম্পিকে ভারোত্তোলনে নারীদের ৫৯ কেজি ওজন শ্রেণিতে রুপা জিতেছেন গুরিয়েভা। ২১ বছর বয়সী এই অ্যাথলেট যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না নিজের অর্জন, 'আমি কিছুটা হতভম্ব অবস্থায় আছি।'
সবমিলিয়ে ২১৭ কেজি উঠিয়েছেন গুরিয়েভা। স্ন্যাচে ৯৬ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১২১ কেজি তুলতে সক্ষম হন তিনি। এই ইভেন্টে মোট ২৩৬ কেজি উঠিয়ে অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন চাইনেজ তাইপের কুয়ো হুসিং চুন। তবে তুর্কমেনিস্তানের নাম অলিম্পিক ইতিহাসের পদক তালিকায় যুক্ত করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন গুরিয়েভা। তার চেয়ে তিন কেজি কম তুলে ব্রোঞ্জ জিতেছেন জাপানের আন্দোহ মিকিকো।
গুরিয়েভা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার কোচের প্রতি, 'আমি আমার কোচকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কেবল তার কারণেই আমি এখানে রুপার পদক জিততে পেরেছি। দুই বছর আগেও এমন কিছুর কথা আমি ভাবতে পারিনি। আমার কোচ আমাকে আশা দিয়েছেন, পথ দেখিয়েছেন, অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন এবং জেতার জন্য উদ্যমী করেছেন।'
সোনা জেতা কুয়ো ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে হয়েছিলেন ষষ্ঠ। সেই থেকে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। গতবার (২০১৬ রিও অলিম্পিকে) ৫৮ কেজি ওজন শ্রেণিতে ব্রোঞ্জ ওঠে তার গলায়। এবার তিনি ছুঁতে পেরেছেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
২৭ বছর বয়সী কুয়োর উচ্ছ্বাস তাই যেন বাঁধ মানছে না, '২০১২ সাল থেকে একের পর এক ব্যর্থতা শেষে এখন এই সোনার পদক... অবশেষে আমি সোনা জিতেছি। আমি খুবই উত্তেজিত। আমি এটার স্বপ্নই দেখে আসছিলাম। আর যারা এতদিন ধরে আমার পাশে থেকেছেন, তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।'
Comments