উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা কী

(উপরের সারিতে বাম থেকে) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ওয়াহিদুজ্জামান এবং (নিচের সারিতে বামে) গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে ইউজিসি। এছাড়াও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলী (নিচের সারিতে মাঝে), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ফায়েক উজ্জামানের (নিচের সারিতে ডানে) বিরুদ্ধেও। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দুর্নীতি, অনিয়ম, অনৈতিকতার সংবাদ এখন গণমাধ্যমের প্রায় নিত্যদিনের শিরোনাম। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন, কারা হচ্ছেন উপাচার্য? উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতাই বা কী? এতো অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা উপাচার্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন কোন যোগ্যতায়?

এসব বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনের সঙ্গে।

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমত, আগে উপাচার্যদের যে অবস্থান, সম্মান, মর্যাদা, আত্মসম্মানবোধ ছিল সেটা কমে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, গাড়িতে তারা যখন থেকে পতাকা লাগাতে শুরু করলেন, বোঝা গেল তারা ভিন্ন অবস্থানে চলে যাচ্ছেন। একজন উপাচার্যকে তো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা সংসদ সদস্যের সঙ্গে তুলনা করার কোনো কারণ নেই। তারা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কিন্তু উপাচার্য তো অ্যাকাডেমিক ব্যক্তিত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরেকটি কারণ হচ্ছে, আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রে রাজনীতি ঢুকে গেছে। রাজনীতির কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়াও দুর্বল হচ্ছে। এক সময় যোগ্যতাই ছিল একমাত্র মাপকাঠি, কিন্তু এখন দলের প্রতি আনুগত্যটাও গুরুত্ব পায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতিকরণ শিক্ষকদের মর্যাদা অনেকটাই ক্ষুণ্ণ করেছে।’

‘রাজনীতিকরণের কারণে ছাত্র সংগঠনগুলোও উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করার শক্তি উপাচার্যের কমে যাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার বিষয়ে এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘আমাদের নির্ভর করতে হয় মন্ত্রণালয়ের ওপর। ইউজিসিও এখন দুর্বল হয়ে গেছে। উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ ঘোলাটে হয়ে আছে। যেটা নিয়ম হওয়ার কথা সেটাই হয়ে গেছে ব্যতিক্রম, আর ব্যতিক্রমটা হয়ে গেছে নিয়ম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন এখন শুধুই কাগজ-কলমে। স্বায়ত্তশাসন হারিয়ে এখন উপাচার্যরা দৌড়াদৌড়ি করেন নানান জায়গায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়ায় দুর্নীতির যথাযথ প্রতিবাদ হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্ত যারা করেন তারাও হয়তো ভাবেন, একজন উপাচার্যের বিষয়ে আমি আর কি তদন্ত করব। যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

সব উপাচার্যই দুর্নীতিপরায়ণ নন উল্লেখ করে দুর্নীতিপরায়ণ উপাচার্যদের বিচারের বিষয়ে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘এতে সরকারেরও কোনো সমস্যা হবে না। সরকারের বরং মান বাড়বে।’

স্বচ্ছ পদ্ধতিতে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা উচিত বলে মনে করেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘একটি মূল্যায়ন কমিটি থাকতে পারে দেশি এবং বিদেশি সদস্যের সমন্বয়ে। তারা আগ্রহীদের সকল দিক বিবেচনা করে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এমনকি এই কমিটিও কারো নাম প্রস্তাব করে, তার সম্মতি থাকলে, উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।’

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনের মাধ্যমে হওয়ার কথা। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য নিয়োগ দেয় সরাসরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্বায়ত্তশাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়েও উপাচার্য নির্বাচিত হচ্ছেন না। যেমন জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন ছাড়াই উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনটি বিতর্কিত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘটনা তো আমরা দেখলামই। তার মানে, উপাচার্য যারা নিযুক্ত হচ্ছেন, তারা সরাসরি সরকারের সিদ্ধান্তে হচ্ছেন। সরকার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে এই নিয়োগ দিচ্ছে। অর্থাৎ, তাদের এই দুর্নীতি, অনিয়ম, দায়িত্বহীনতা, স্বজনপ্রীতি, শিক্ষাবিরোধী কার্যক্রম সম্পর্কে সরকারের অজানা থাকার কথা না।’

বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যোগ্যতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক বিষয়ের চেয়ে সরকারের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তারা সরকারের কতটা আজ্ঞাবহ থাকবে সেটা। এবং সরকারের সমর্থক গোষ্ঠীর কতটা প্রিয়ভাজন থাকতে পারবে। এই গোষ্ঠীর মধ্যে আছে ছাত্রলীগ, বিভিন্ন ঠিকাদারি সংস্থা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় আকারের উন্নয়ন বরাদ্দ যাচ্ছে। আর এর সবগুলো থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগ সরকারের কাছে দেওয়া হলে উল্টো হুমকি আসছে। অভিযোগের তদন্ত করার বদলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার মানে উপাচার্যের দুর্নীতি করা নয়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করাটাই অন্যায়।’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩০০ দিনই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এটা অবিশ্বাস্য। সরকার তাকেই কেন নিয়োগ দিলো আর তিনিই বা কেন উপাচার্য হতে চাইলেন। কোনো পুরস্কার হিসেবে দিতে হলেও একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বনাশ করে তাকে কেন উপাচার্য বানাতে হবে? এর আগের উপাচার্যের সময় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছিলেন, আপনাকে উপাচার্য করাই হয়েছে আমাদের লোক নিয়োগের জন্য।’

‘সরকার এমন সব মানুষকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছে যারা প্রমাণিত দুর্নীতিবাজ, প্রমাণিত শিক্ষা বিরোধী তৎপরতাকারী। এমন মানুষ উপাচার্য হলে সেখানে দুর্নীতি স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়, আর কমে যায় শিক্ষা ও গবেষণা,’ যোগ করেন তিনি।

উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ‘প্রথম শর্ত, তার শিক্ষা এবং গবেষণায় আগ্রহ ও রেকর্ড থাকতে হবে। এর সঙ্গে প্রশাসনিক দক্ষতা এবং যোগ্যতার বিষয় আছে। সরকার যেগুলোকে গুণ হিসেবে ধরে সেগুলো বাদ দিতে হবে। যেমন- ছাত্রলীগের সুপারিশ, ঠিকাদারের সুপারিশ। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সরানোর যে প্রক্রিয়া, তা হতে হবে একেবারে স্বচ্ছ।’

উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক অধ্যাপক বলেন, ‘সম্প্রতি একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে  নিয়োগ দেওয়া হলো, যার পিএইচডি অভিসন্দর্ভে নকলের খবর পত্রিকায় এসেছিল। খবর প্রকাশের পরপরই শুনেছিলাম তিনি সহ-উপাচার্য হলেন। গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উপাচার্য নিয়োগ দেখে আমার মনে হয়েছে- বঙ্গবন্ধু যেভাবে উপাচার্য নিয়োগ করতেন তার ঠিক বিপরীতে আছে এই সরকার।’

উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে দলীয় আনুগত্যকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই আওয়ামী লীগ আমলে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও আমি দেখিনি যোগ্য, দক্ষ, ভাবমূর্তিসম্পন্ন, শিক্ষাগত মান সম্পন্ন মানুষকে তারা উপাচার্য করেছে। উপাচার্যদের দুর্নীতির খবরে মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থাই নেয় না। বরং উপাচার্যদের মেয়াদ পূর্ণ করার সুযোগ করে দেয়।

উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়কে অযোগ্যতা বলে বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, ‘উপাচার্যের নিয়োজিত থাকার কথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের জন্য। তিনি হবেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন, অত্যন্ত উঁচু মানের গবেষক, অত্যন্ত উঁচু মানসিকতার মানুষ, শিক্ষাবিদ এবং সমাজে তার একটি গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। কিন্তু, আমাদের দেশে এমন মানুষকে পছন্দ করা হয়, যিনি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী বা সহকর্মীদের নয়, শুধুমাত্র নিয়োগকর্তার সেবা করবেন।’

পৃথিবীর আর কোথাও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উপাচার্য হিসেবে যাদের নিয়োগ দেওয়া উচিত, তাদের পরিমাপের যে স্কেল থাকা উচিৎ, মন্ত্রণালয়ের কি সেটা জানা আছে? মন্ত্রণালয় এমন মানুষকে পছন্দ করে যাকে বেছে নিলে সরকার খুশি হবে। ফলে, দলান্ধ ও অযোগ্যদের নাম প্রস্তাব করা হয়।’

তিনি জানান, এমন দলীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নিয়োগের ফলে উপাচার্যরা নিশ্চিন্তে দুর্নীতি করে যান এবং নির্ভয়ে থাকেন। কারণ, সকল অন্যায়ের পরেও দল তাকে সমর্থন দেবে বলে তিনি নিশ্চিত থাকেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বেরোবি উপাচার্যের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তারা উল্টো পুরস্কৃত। এতো অন্যায় করার পরেও তাদের দ্বিতীয় মেয়াদ সম্পন্ন করতেও কোনো সমস্যা হয় না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে ন্যস্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত স্বৈরাচারী একটি পদ্ধতি। যে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বৈরাচারী পদ্ধতিতে চলে, সেই দেশটিতেই তো স্বৈরাচারী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তো শিক্ষার্থীরা এমনই শিক্ষা পাবে।’

‘সরকার দেখছে আমি একজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণে থাকছে। কাজেই সরকারও এই ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করছে না। আর এটাই সব সমস্যার মূল। বিশ্ববিদ্যালয়কে এই স্বৈরাচারী পদ্ধতি থেকে বের করে আনতে পারলে সরকারও আর পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে একজনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত না। ফলে সরকারও এ বিষয়ে আর আগ্রহী থাকত না। সেই সঙ্গে এত ক্ষমতা না থাকায় ওই পদের জন্য আগ্রহও কমে যেত সবার,’ যোগ করেন অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

বেরোবি ও রাবি উপাচার্য প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি তো করেছেনই, আবার সে বিষয়ে যেন তদন্ত না হয় সে বিষয়ে রিট করেছেন। এটা তো ডাবল ক্রাইম। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পদ্ধতিতে উপাচার্যই সব। তারা তাদের ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাইকে নিয়োগ দিতে পারবে। যা ইচ্ছা তা করতে পারবে। তাদের অতিরিক্ত ক্ষমতাই তাদের দুর্নীতি করতে বাধ্য করছে।’

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মান বাড়াতে যোগ্যদের সমন্বয়ে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং উচ্চশিক্ষা কমিশন প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয় বা কমিশনের অধীনে একটি সার্চ কমিটি উপাচার্য নিয়োগে কাজ করবে। সেখানে দেশি এবং বিদেশি সদস্য থাকবেন। সেখান থেকে সৎ ও যোগ্যদের উপাচার্য হিসেবে বেছে নেওয়া হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে কখনও যোগ্য উপাচার্য পাওয়া যাবে না। কারণ, নির্বাচন করতে গেলেই নানা সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই তাদের ভোটে জিতে আসতে হবে এবং সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান কম্প্রোমাইজ করতে হবে।’

 

আরও পড়ুন:

‘উপাচার্যের কাজ কি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ বছর পেছনে নিয়ে যাওয়া’

মূল্যবোধের অবক্ষয়ে সংক্রমিত উপাচার্যের চেয়ারও

৪ উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ ইউজিসির, নীরব মন্ত্রণালয়

এ কেমন উপাচার্য

রাবি উপাচার্যের জামাতার বিরুদ্ধে ‘গোপন নথি’ চুরির অভিযোগ

রাবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসি

ছাত্রলীগকে চাকরি দিতে ‘সর্বোচ্চ’ অগ্রাধিকারের আশ্বাস রাবি উপাচার্যের

উপাচার্যের ‘মানবিক’ নিয়োগে ‘অমানবিক’ অনিয়ম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: এভাবেও চাকরি পাওয়া যায়!

রাবি উপাচার্যের নিয়োগ দুর্নীতি: ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ

একজন নিখোঁজ উপাচার্য

বেরোবি উপাচার্য কলিমউল্লাহকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বেরোবির উপাচার্য কলিমুল্লাহর বক্তব্য অসত্য: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

নিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত স্থগিত চেয়ে বেরোবি উপাচার্য কলিমউল্লাহর রিট

বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যকে প্রত্যাহারের সুপারিশ

পদত্যাগ করেছেন বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য নাসিরউদ্দিন

অডিও ফাঁস: উপাচার্য নিজেই টাকা ভাগ করে দিয়েছেন

‘শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেছি’, কেন এমন অভিযোগ, বুঝতে পারছি না: ঢাবি উপাচার্য

উপাচার্যের ‘অ্যামেজিং তত্ত্ব’ এবং ৪ জনের এক রুমে ৪০-৫০ জন

Comments

The Daily Star  | English

From gravel beds to tourists’ treasure

A couple of decades ago, Panchagarh, the northernmost district of Bangladesh, was primarily known for its abundance of gravel beds. With thousands of acres of land devoted to digging for the resource, the backbone of the region’s rural economy was based on those natural resources.

14h ago