এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৫২, আহত ৫১৯: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৮ জন

এপ্রিল মাসে দেশে ৩৯৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫১৯ জন। গড়ে প্রতিদিন অন্তত ১৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

আজ বুধবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৪৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৮ জন। যা মোট নিহতের প্রায় ৩৫ শতাংশ। যা আগের মাস মার্চের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি।

আরও বলা হয়, মোটরসাইকেল ক্রয় এবং চালনার ক্ষেত্রে নিয়মিত মনিটরিং ও ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে না পারলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে।

এছাড়াও এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৬ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন। দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে নারী ৫৪ জন ও শিশু ৪৭ জন।

এই সময়ে দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৩৬৪ জন, অর্থাৎ ৮০ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এপ্রিলে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪২ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন এবং ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পাঁচ জন।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩৭ জন। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে। ২০টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ২৬টি দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম পঞ্চগড় জেলায়। ২টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

ফাউন্ডেশন জানায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৬টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৭টি আঞ্চলিক সড়কে এবং ৬৬টি গ্রামীণ সড়কে হয়েছে। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১০৮টি।

দুর্ঘটনার জন্য দায়ী যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ৩১.৬৬ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৮.৫৯ শতাংশ এবং থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-মিশুক-স্কুটার) ১৫.৯৩ শতাংশ।

সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর বেশিরভাগ ঘটেছে সকালে। এসময় ৩১ শতাংশের বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুরে প্রায় ২২ শতাংশ এবং বিকালে ১৭ শতাংশের কিছু বেশি।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ১০টি কারণ তুলে ধরে ফাউন্ডেশন। এগুলোর মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা এবং বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা অন্যতম।

দুর্ঘটনা এড়াতে ১০টি সুপারিশও করা হয়। এসবের মধ্যে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at Secretariat building no 7

A fire broke out at the Secretariat building number 7 in the capital's Segunbagicha area early today. ..At least 11 firefighting units are working to control the fire. ..According to Prothom ALo, fire service received information about the fire at 1:52am. Firefighters arr

4h ago