পর্যটকদের জন্য নির্মিত রাস্তা বন্ধ রেখেছে প্রশাসন

Bandarban.jpg
২০১৯ সালে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করে এলজিইডি। ছবি: স্টার

পর্যটকদের সুবিধার জন্য বান্দরবানের নীলাচল ও মিলনছড়ি সড়কের মধ্যবর্তী একটি রাস্তা নির্মাণ করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু জেলা প্রশাসন উল্টো নিজেদের সুবিধার জন্য নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সেটি বন্ধ করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন এলজিইডির এক কর্মকর্তা।

এই রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী ও বান্দরবান এলজিইডির কর্মকর্তা মো. আমানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসন শুরু থেকেই রাস্তাটি নির্মাণে বাঁধা দিয়েছিল।’

‘পর্যটকদের সুবিধার জন্য ২০১৯ সালে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে আমরা রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলাম। কিন্তু এটা খুব দুঃখজনক যে, জেলা প্রশাসন উল্টো নিজেদের সুবিধার জন্য নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নির্মাণের মাস দুয়েক পর থেকেই রাস্তাটি বন্ধ করে রেখেছে’, বলেন এই কর্মকর্তা।

স্থানীয় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আনিস বলেন, ‘এই শর্টকাট রাস্তাটি চালু থাকলে পর্যটকরা সহজেই মিলনছড়ি সড়ক হয়ে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে যেতে পারতেন।’

‘আমরা অনেকবার রাস্তাটি খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সেটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে’, বলেন তিনি।

প্রকৌশলী আমানুর বলেন, ‘নির্মাণের পর এই রাস্তা দিয়ে নীলাচলে প্রবেশ এলাকায় প্রশাসন প্রথমে বাঁশ ফেলে টোল আদায় করে। পরে তারা লোহার গেট বসায়।’

যদিও এই রাস্তার কাছেই নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে প্রশাসনের টোল আদায়ের মুল গেট রয়েছে, যেখান দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গাড়ি ছাড়া পর্যটকদের কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।

২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং রাস্তাটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘রাস্তাটি মূলত অনেক ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের চলাচলের নিরাপত্তার জন্যও রাস্তাটি বন্ধ করা রাখা হয়েছে।’

পর্যটকদের সুবিধার জন্য নির্মিত রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ উল্লেখ করে বন্ধ করে রাখার ফলে প্রশ্ন উঠেছে এটি অপরিকল্পিত উন্নয়ন কি না?

এ বিষয়ে লুৎফুর রহমান বলেন, ‘এটি এলজিইডি ভালো বলতে পারবে।’

এলজিইডির কর্মকর্তা প্রকৌশলী আমানুর বলেন, ‘এটি অপরিকল্পিত উন্নয়ন নয়। মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের চাহিদাপত্র (ডিও লেটার) অনুসারে পরিকল্পিতভাবে আমরা এই রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলাম।’

Comments

The Daily Star  | English

New uniform, monogram sans boat on the cards for police

According to police sources, a new monogram for the Bangladesh Police has already been determined. It will no longer feature a boat

2h ago