অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের দিনকাল

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ছবি: সংগৃহীত

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব। তিরিশ বছরের বর্ণাঢ্য অধ্যাপনা জীবন তার। বাঙালির গৌরবের ষাটের দশকে যে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলন শুরু হয়, তার নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে পাঠবিমুখ সমাজে আলো ও আশা জাগানোর নিরন্তর প্রয়াসের এক ক্লান্তিহীন স্বপ্ন-অভিযাত্রী যোদ্ধা তিনি। করোনাকালে কেমন আছেন, কী করছেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ— এমন নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

করোনাকালে নিজেকে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী করে রেখেছেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তবে, ভীষণ কাজ পাগল মানুষ তিনি। সেই কাজ আত্মকেন্দ্রিক ব্যক্তি বিশেষের নয়; সমষ্টির, জাতির উন্নতি ও অগ্রগতিই অভীষ্ট লক্ষ্য। আশিতেও তিনি অশীতিপর নন, ক্লান্তিহীন যুবাসৈনিকের মতো ছুটে চলেন। জীবন তার কাছে নিরবচ্ছিন্ন স্বপ্ন ও সংগ্রামের ক্ষেত্র হিসেবেই ধরা দেয়। এজন্যই বয়স তার কাছে একটি সংখ্যা মাত্র। পেশাগত জীবনে অবসরে গিয়েও যেন অবসর নেননি। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নতুন উদ্যমে, সাংগঠনিক নানা তৎপরতায়। কেননা, বাঙালির দুর্বল সাংগঠনিক প্রতিভা নিয়ে তার গভীর দুঃখ আছে। ‘সংগঠন  ও বাঙালি’ গ্রন্থে এর কারণ ও উত্তরণ নিয়ে লিখেছেন। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতো প্রতিষ্ঠান গড়ার চ্যালেঞ্জে তিনি উতরে গেছেন। ‘বাঙালির সংগঠন টেকে না’- এমন বিস্তর অভিযোগের ভিড়ে সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন তিনি।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও যিনি বাসায় না থেকে অফিসে ছুটে যান, সেই মানুষটি প্রায় একবছর ধরে তার রক্তে ও শ্রমে গড়া প্রিয় প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে থেকে দূরে আছেন। বাসার বাইরেও বের হন না। বাসা থেকেই অফিসের জরুরি কাজ সম্পন্ন করেন, ফাইলপত্র স্বাক্ষর করেন। কেন্দ্রের লাইব্রেরি থেকে পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহ করান, পড়া শেষে জমা দেন। স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

বুধবার সন্ধ্যায় ঘণ্টাব্যাপী এক দীর্ঘ আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন, ‘করোনা আমাদের মহাক্ষতি করেছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বইপড়া কর্মসূচি ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে করোনা আমার কিছু উপকারও করেছে। গৃহবন্দী অবস্থায় নিজের লেখা প্রায় ২৩টি বই পরিমার্জন ও সংশোধন করলাম। নতুন করে লিখেছ ৪টি বই। এর মধ্যে একটি বই অনেক আগে আমার লেখার কথা ছিল, সে বইটিও শেষ করেছি। ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং আমি’র পর ‘আলোর ইশকুল’ নামে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা একটি বই।’

‘কণ্ঠস্বর’ পত্রিকাকে ঘিরে ষাটের দশকে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ উপস্থাপক, জীবন ও বহুমাত্রিক সাংগঠনিক তৎপরতায় কাঙ্ক্ষিত লেখালেখির জীবনযাপন করতে পারেননি বলে সবসময়ই দুঃখ করেন। বলা যায়, এটিই তার একমাত্র গভীর দুঃখের নাম। এই আলাপেও একই দুঃখের কথা জানালেন। বললেন, ‘মাঝেমাঝে মনে হয় নিজের লেখালেখি জীবন নিয়ে তামাশা করে ফেলেছি। পূর্ণ লেখক জীবনযাপন করতে পারিনি। তবু কম না, লিখেছি ৪০টির মতো বই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে লেখা ‘রবীন্দ্রনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতা’ শীর্ষক গ্রন্থটি স্যারকে উৎসর্গ করেছি জানালে সস্নেহ প্রসন্ন হাসি দিলেন। ভেবেছিলাম বইটি প্রকাশের পর স্যারের হাতে তুলে দেব। কিন্তু, মাসখানেক আগে রাশেদ ভাই (বাতিঘর-এর সিইও জাফর আহমদ রাশেদ) আলোচনা প্রসঙ্গে জানালেন, লেখকরা যাকে বই উৎসর্গ করবেন তার সম্মতি নেওয়া উচিত। যদিও আমাদের দেশে এ রীতি অনুসরণ করা হয় না। প্রসঙ্গত স্মরণ করা যেতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম নারী শিক্ষার্থী ফজিলতুন্নেসায় গভীরভাবে মুগ্ধ বিদ্রোহী কবি নজরুল যখন তার কাব্যগ্রন্থ ‘সঞ্চিতা’ উৎসর্গ করার সম্মতি চেয়ে ঢাকায় চিঠি লিখেছিলেন, ফজিলতুন্নেসা তাতে সম্মতি দেননি। অবশ্য নজরুল পরে বইটি উৎসর্গ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।

স্যারকে স্মরণ করিয়ে দিলাম এ বইটি কেন তাকে উৎসর্গ করার উৎসাহবোধ করছি। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত তরুণ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তখন তার সহপাঠী কাজী মোশতাক হোসেনকে নিয়ে পাকিস্তানি শাসক শ্রেণির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আয়োজন করেন রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষের মূল উৎসব। তাদের সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন কলাভবনের পুকুর পাড়ের ইডিয়টস কর্নারের ‘নীরব সঙ্ঘ’-এর আরও কিছু শিল্প, সংস্কৃতিমনস্ক তরুণ। সভাপতি ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের রিডার খান সারওয়ার মুরশিদ। তরুণ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের অনুরোধেই তিনি সাধারণ সম্পাদক হতে সম্মত হন। সায়ীদ স্যার অবশ্য জানালেন সভাপতি পদের জন্য প্রথমে তারা গিয়েছিলেন হাসনাত আবদুল হাই স্যারের কাছে। আইয়ুব শাহীর উদ্বেগাকুল শাসনামলে তিনি রাজি হননি। পাকিস্তানি শাসক শ্রেণির রাজনৈতিক রবীন্দ্র-বিরোধিতা স্পষ্ট। সহসা কেউ এসব বেপরোয়া তরুণদের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে চাচ্ছিলেন না। সবাই সতর্ক ছিলেন। হাসনাত আবদুল হাই পরে অবশ্য জাতীয় কমিটির সদস্য হন। সেলিনা হোসেনের নেওয়া খান সারওয়ার মুরশিদের এক সাক্ষাৎকারে এ আয়োজনের উদ্যোগ-সংক্রান্ত ধারণা পাওয়া যায়। খান সারওয়ার মুরশিদকে উদ্দেশ্য করে সেলিনা হোসেনের প্রশ্নটা ছিল এরকম- ‘আপনিই কি জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের উদ্যোগ প্রথম গ্রহণ করেন? নাকি অন্য কেউ এ বিষয়ে প্রাথমিক উদ্যোগ নেন এবং পরে আপনি তার সঙ্গে যুক্ত হন ও তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন?’ খান সারওয়ার মুরশিদ প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই আমি প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করিনি। তবে প্রাথমিক অবস্থা থেকেই আমি ছিলাম। দুজন তরুণ আমার কাছে এসেছিল। একজন পরে আমাদের সাংস্কৃতিক জীবনে যথেষ্ট যশস্বী হয়েছে। সে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। আর একজন মোশতাক, ভারিক্কি ধরনের চেহারা, চোখে পুরো লেন্সের চশমা, ইতিহাসের মেধাবী ছাত্র ছিল। ... ওরা আমাকে বলল, ‘স্যার, আমরা রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি- বিচারপতি মোর্শেদ কমিটি গঠন করবেন। তিনি সভাপতি হতে রাজি হয়েছেন। আপনাকে সম্পাদক হতে হবে। পরবর্তী সময়ে জেনেছিলাম বিচারপতি মোর্শেদের সঙ্গে তখনো তাদের আলোচনা হয়নি। আমাকে রাজি করানোর কৌশল নিয়েছিল। যাই হোক, কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর বুঝলাম ছেলেগুলো সিরিয়াস, যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে আটঘাট বেঁধে নেমেছে। ওদের কথার সুরে একটা ডেসপারেশন ছিল, বুঝলাম আমাকে রাজি হতেই হবে। আমি একটু অবাক হলাম, ছেলেগুলো এত জোর দিয়ে কেন বলছে? আজ থেকে কত বছর আগে আমিও নিজেকে এমন প্রবীণ এবং যোগ্য ভাবিনি যে এই দায়িত্বের জন্য অপরিহার্য। আমি ওদের কাছে একদিন সময় চাইলাম। ওরা পরদিন এলে আমি ওদের সম্মতির কথা বললাম। প্রশ্ন উঠতে পারে, একদিন পরে কেন রাজি হলাম? এ বয়সে সত্যটাই বলা উচিত- আমার চিন্তা ছিল যে রাজনৈতিক পটভূমিকায় ঘটনাটি ঘটতে যাচ্ছে তা বেশ গোলমেলে, প্রতিকূলতা যথেষ্ট আছে, কাজটি সম্পাদনা আমার পক্ষে সম্ভব হবে কিনা? সেজন্য বাড়িতে এসে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললাম। মনে হলো আমার তো পারা উচিত। সুতরাং রাজি হয়ে গেলাম।’ (খান সারওয়ার মুরশিদ, কালের কথা, পৃ. ১১০-১১১)

তিন দশক পরে লেখা স্মৃতিচারণে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সময়টা তখন ১৯৬০ সালের শেষের দিক। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী হবে একষট্টির মে মাসে। এটা সেই সময় যখন সমস্ত দেশ আইয়ুব খানের কঠোর সামরিক শাসনের কবলে নির্মমভাবে শৃঙ্খলিত। সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে- প্রধান প্রধান নেতা ও কর্মীরা কারা প্রাচীরের অন্তরালে। এক কথায় স্বাধীন আত্মপ্রকাশের সবরকম অধিকার তখন নিরুদ্ধ ও পদদলিত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সভাসমিতির চত্বরগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে মৃত্যুর হিম শীতল নীরব স্থবিরতা। ‘গান বন্ধ কর তোরা নর্তকী নাচের মুদ্রা ভোল’ (শামসুর রাহমান) এরকম একটা ক্রুদ্ধ আদেশে সমস্ত সাংস্কৃতিক অঙ্গন ভীত এবং স্তব্ধ। জাতির হৃদয় শওকত ওসমানের ক্রীতদাসের হাসির কাফ্রি তাতারীর মতোই মূক ও স্থবির। এরকম বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীর উদ্যোগ নিতে যাওয়া যে কতখানি ঝুঁকির ব্যাপার তা আমরা সহজেই বুঝতে পেরেছিলাম।’ (বিদায়, অবন্তী, পৃ. ৬০)

ষাটের দশকে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীর উৎসব নানা কারণে বাঙালির জীবনে একটি তাৎপর্যময় ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। স্বাধিকার আন্দোলনে জেগে ওঠার কালে এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে বাঙালি লেখক, বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিকর্মীদের একটি ব্যাপক জাগরণ ছিল। এর তাৎপর্য অশেষ।

এ প্রসঙ্গে সায়ীদ স্যার বলেন, ‘পাকিস্তানি যুগে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন যে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তাকে স্তব্ধ করে দেওয়ার পর, দীর্ঘ এক দশকের ব্যবধানে, পরোক্ষ ও অঘোষিত হলেও, রবীন্দ্র শতবার্ষিকীর আয়োজন ছিল ওই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বাঙালিত্বের দ্বিতীয় প্রধান সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ।’

আলোচনায় করোনা-উত্তর কিছু স্বপ্নের কথাও বললেন সায়ীদ স্যার। কেন্দ্রের ‘আলোর ইশকুল’-এর কর্মসূচি আরও বড় করতে চান। সারাদেশে অন্তত ২০০টি শাখা করার ইচ্ছে আছে বলে জানালেন। আলোর ইশকুল হলো স্কুল ও কলেজভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমগুলোর উচ্চতর পর্যায়। উন্নততর, উদার দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ গড়াই এই উৎকর্ষ কার্যক্রমের লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, বিশ্বসাহিত্য পাঠচক্র, চলচ্চিত্র চক্র, প্রামাণ্যচিত্র চক্র, কবিতা চক্র, দর্শন, ফটোগ্রাফি কোর্স, মুক্ত আলোচনা, ভ্রমণ কর্মসূচি, আবৃত্তি চক্র, গাছ, ফুল ও নিসর্গ পরিচিতি- এমন বিচিত্র বিষয় বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ আলোর ইশকুলের কার্যক্রম। ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির কার্যক্রম গতিশীল রাখার পাশাপাশি জীবদ্দশায় দেশের সব স্কুলে কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচি দেখে যাওয়ার ইচ্ছের কথাও জানালেন।

সারাজীবন সমাজের, সমষ্টির, জাতির উন্নতির স্বপ্ন দেখা মানুষটি নিজের জন্য কিছুই সঞ্চয় করেননি প্রায়। বরাবরের মতোই নিজের সরল স্বীকারোক্তি ও সরস ভঙ্গিতেই বললেন, ‘অবসর নেওয়ার পর আমি তো টাকার চিন্তায় পড়ে গেলাম। বেহিসাবি জীবনে কিছুই জমাইনি। এমন সময় কিছু অভূতপূর্ব ঘটনা আমাকে স্বস্তি দিল। সেটা ছিল পুরস্কার প্রাপ্তির ঘটনা। বিশেষ করে প্রায় ৫০ হাজার ডলারের রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার। বলতে পারো- না চাইতেও এমন কিছু পুরস্কার পেয়ে উতরে গেছি। না হলে শেষ বয়সে মহাবিপকে পড়ে যেতাম। হয়তো অর্থ সংকটেই জীবন কাটিয়ে দিতে হত।’ একথা বলেই প্রাণখোলা হাসি হাসলেন।

বললাম স্যার, আপনার কর্ম প্রয়াসের তুলনায় প্রাপ্য পুরস্কার কি আপনি পেয়েছেন? তিনি জানালেন, ‘আমি তো কোনোদিন পুরস্কার চাইনি, খ্যাতি চাইনি। আনন্দে বাঁচতে চেয়েছি। সারাজীবন আমার কাজের মধ্যেই আমি আনন্দ খুঁজেছি। জীবনভর মানুষের অভাবনীয়, অপ্রত্যাশিত ভালোবাসা পেয়েছি। যে জীবন আমি যাপন করছি তা নিয়ে আমার কোনো দুঃখ বা খেদ নেই।’

লেখক: কবি ও গবেষক

alo.du1971@gmail.com

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

10h ago