ভুক্তভোগী নারী-শিশুকে দোষারোপকারীদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে
রাজধানীর কলাবাগানে স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের পর মারা যাওয়ার খবরটা শোনার পর থেকে মনটা ভীষণ কষ্টে ভরে উঠেছিল। বারবার মেয়েটির মুখ, ওর বাবা-মায়ের শোকমাখা মুখটি চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। নিয়মিত শিশু, কিশোরী ও নারী ধর্ষণ এবং মৃত্যুর খবরে মনটা অবসন্ন হয়ে পড়ছে। সবার মনে একটাই আতঙ্ক, তাদের সন্তানের সঙ্গেও যদি এরকম দুর্ঘটনা ঘটে, তখন কী হবে? বিচার পাওয়া যাবে? নাকি চলতে থাকবে ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করার প্রথা?
অনেকেরই যখন মনের এই অবস্থা, তখন উল্টোদিকে মেয়েটির ধর্ষণ ও মৃত্যুর খবরের নিচে অসংখ্য মানুষের নোংরা, অসভ্য, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পড়ে আমার কেবলই মনে হয়েছে, এরা আসলে মানুষ না, মানুষরূপী ইবলিশ। এরা সবাই মনের দিক থেকে ধর্ষক। তা না হলে এরকম একটা ভয়াবহ ঘটনা প্রসঙ্গে এত অযৌক্তিক ও অশ্লীল মন্তব্য করে কীভাবে? আসলে বিভিন্ন ধরনের অবদমন এদের মনে বিষ ঢেলে দিয়েছে। সেই বিষ তারা এভাবেই উগরে দিচ্ছে।
একশ্রেণির জনগণ এরইমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে এটা খতিয়ে দেখতে যে, কলাবাগানের ঘটনা কি আদৌ ধর্ষণ? নাকি সম্মতিক্রমে করা যৌনতা, এটা দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত গণধর্ষণ? এরচেয়ে প্রকট আলোচ্য বিষয়, মেয়েটির চরিত্র কেমন? ইংরেজি মাধ্যমে পড়া ছেলেমেয়েরা এমনই হয়। এ ছাড়া, মেয়েটির পোশাক কেমন ছিল, মুসলমান ঘরের মেয়ের ছেলে বন্ধু থাকে কীভাবে? মেয়েটি একা একা বন্ধুর বাড়িতে গেল কেন? তাহলে তো এরকমই হবে। সামাজিক মাধ্যমে এসব নিয়ে আলোচনা চলছেই। মৃত মেয়েটিকে কাঁটাছেড়া করছে যে যার মতো। এমনকি মেয়েটা যে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গিয়েছে, এ নিয়েও উল্লাস প্রকাশ করতে দেখেছি।
এমন অসভ্য মানুষগুলোর চোখে এসব যদি ধর্ষণ ও হত্যার কারণ হয়, তাহলে দুই মাসের নবজাতক, আট মাস কিংবা ১২ বছর বয়সী শিশু, চার সন্তানের জননী, ৬০ বছরের মা, হিজাব বা বোরকা পরিহিত কিংবা প্রতিবন্ধী নারী এবং ছেলেরা কেন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে? এর কী ব্যাখ্যা আছে তাদের কাছে? ইংরেজি মাধ্যম, বাংলা মাধ্যম কিংবা মাদ্রাসা, কোনো মাধ্যমেরই ছাত্রী, এমনকি ছাত্রও তো বাদ যাচ্ছে না। যারা কোথাও পড়াশোনা করছে না বা করেনি, বিবাহিত বা অবিবাহিত তারাও তো রক্ষা পাচ্ছে না। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি ধর্ষণের জন্য আসলে কোনো কারণ লাগে না।
ধর্ষণ করাটা যেমন একজন মানুষের কদর্য মানসিকতা থেকে আসে, তেমনি এভাবে যারা ভিকটিম ব্লেমিং বা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভুক্তভোগীকে অপরাধী বানাতে ব্যস্ত, তারাও কিন্তু সেই একই অপরাধে অপরাধী। আমরা দেখছি বিচারের বদলে বাড়ছে ধর্ষণ, ধর্ষণের আগে নির্যাতন এবং ভুক্তভোগী নারী ও শিশুর পোশাক, চলাফেরা, কাজের ক্ষেত্র, পড়াশোনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বাজে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ভুক্তভোগী নারী ও শিশুর ওপরেই দোষ দেওয়ার ফলে প্রকৃত অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে এবং এসব অপরাধ ঘটাতে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করছে।
সমাজের একটা বড় অংশ ধর্ষণকে যৌনতা বলে মনে করে। অথচ এটি এমন এক ধরনের অপরাধ, যা পুরুষের আধিপত্যবাদী মানসিকতা থেকে উঠে আসে। আমাদের পরিবার-সমাজ এই আগুনে ঘি ঢালে। যারা ধর্ষক, তাদের অধিকাংশের পরিবার অভিযুক্ত ধর্ষকদের পক্ষেই থাকে ও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। ধর্ষকরা আইন রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশের সমর্থন পায়, বিচারব্যবস্থা ও মেডিকেলব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে থাকে।
আর এখন একশ্রেণির ধর্ষক মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ ভিকটিম ব্লেমিং করার কারণে প্রকৃত অপরাধীরা আরও আশকারা পাচ্ছে। এরমধ্যে কিছু নারীও আছে, যারা মনে করে নারীরা পর্দা-পুশিদা ঠিকমতো মেনে চলে না বলেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এসব অজ্ঞতার অন্ধকারে বসবাস করা লোকেদের উদ্দেশ্যে কোনো যুক্তি দিয়ে লাভ নেই। তাদের এই অন্ধ ও বদ্ধ ধারণা পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কুপমন্ডুকতা থেকে এসেছে।
আমাদের দেশে গোঁড়ামির নামে মানুষের দেহ ও মনের স্বাভাবিক ইচ্ছাগুলোকে শিশুকাল থেকেই নিষিদ্ধ চোখে দেখা হয়। কোনো কোনো পরিবারে গলাটিপেও মারা হয়। কোনোকিছু না শিখিয়ে বা ভুল শিখিয়ে শিশুকে বাইরে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাদের দেশ, সমাজ, অনলাইন পরিবেশ ও চারপাশের পরিবেশে মানুষের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিককে ‘অস্পৃশ্য ও অশ্লীল’ হিসেবে ধারণা দিয়ে শিশু-কিশোরদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল, ট্যাব, পর্নোগ্রফি এবং মাদক। আমাদের শিশুদের হাতে হাতে ধরা মোবাইল, আইপ্যাডে অশ্লীল-বিকৃত যৌনতার ছড়াছড়ি।
যে সমাজে ছেলে-মেয়ের বন্ধুত্বকেও নোংরা চোখে দেখা হয়, সেই সমাজেই ছেলেরা ‘মেয়ে’ বলতে মনে করে এমন একটি দেহ, যাকে শুধু ভোগ করা যায়। আর ভোগ করতে করতে মেরেও ফেলা যায়। আর তাই নারী যখন তার পরিবারের পুরুষদের দ্বারা বা কর্মক্ষেত্রে বা বন্ধুদের দ্বারা বা রাস্তাঘাটে কিংবা যানবাহনে নির্যাতিত হয়, তখন অনেকই হাসে আর নিজেরাও ধর্ষণের আনন্দ উপভোগ করে। একজন ধর্ষণ করে, আর হাজারো জন তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে শুধুমাত্র অবদমনের ও যৌনতা নিয়ে নোংরা ধারণা থাকার কারণে। এরাই চারপাশ থেকে ধর্ষককে রক্ষা করার চেষ্টা করে এবং ভুক্তভোগীকে দোষ দেওয়ার কু-যুক্তি বের করে।
সামাজিক মাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে ধর্ষণের পক্ষে প্রচলিত বা কু-যুক্তি নিয়ে সম্প্রতি ‘ফেমিনিস্ট ফ্যাক্টর’ একটি রিপোর্ট করেছে ‘রেপ ক্রাইসিস ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস’ নামের এক নারীবাদী সংগঠনের বরাত দিয়ে। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, সেইসব বাস্তবতা-বিবর্জিত, ভয়ংকর, ক্ষতিকর ও সভ্যতার জন্য লজ্জাজনক কু-যুক্তিগুলো সব দেশের ধর্ষকের জন্যই খাটে। শুধু তফাৎ সেসব সভ্য দেশে ধর্ষকের বিচার হয়, আমাদের মতো দেশে ধর্ষক সুরক্ষিত থাকে। ধর্ষকের পক্ষে প্রচলিত ধারণা বা কু-যুক্তি বা মিথ্যাগুলো হচ্ছে, নারীরা সবসময় ধর্ষণ নিয়ে মিথ্যাচার করে। কারণ তারা শারীরিক সম্পর্কের পর অপরাধবোধে ভোগে বা তারা আলোচিত হতে চায়। আরেকটি হচ্ছে ভুক্তভোগী যদি চিৎকার না করে বা আক্রমণকারীকে আঘাত না করে বা তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি না করে, তবে সেটা ধর্ষণ হবে না।
‘কারো সঙ্গে যদি প্রেমের সম্পর্ক থাকে বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেকোনো সময় শারীরিক সম্পর্ক হতে পারে। এজন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না।’ কলাবাগানের মেয়েটির বিরুদ্ধে ঠিক এ জাতীয় কু-যুক্তিগুলো দেওয়া হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমসহ নানা আলোচনায়। কিন্তু, যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে সবসময় অবশ্যই সঙ্গীর সম্মতি লাগবে। যেকোনো ধরনের সম্পর্কে থাকা অবস্থাতেও ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন অপরাধ।
বলা হয় যারা ছোটবেলায় যৌন হেনস্থার শিকার হয়ে থাকে, তারা বড় হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যৌন নির্যাতক হয়। তা একদমই ঠিক নয়। এটা ধর্ষকের পক্ষে একটি অজুহাত। আরেকটি বাজে যুক্তি হচ্ছে রাতে একা নারীদের বাইরে যাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অথচ আমরা জানি ভুক্তভোগীদের প্রতি ১০ জনের একজন অপরিচিত কারো দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে। বাকি নয় জনই পূর্বপরিচিত কারো দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়।
সব থেকে বেশি যেটা বলা হয় তা হচ্ছে, শরীর দেখা যায় এমন পোশাক পরে মূলত নারীরাই পুরুষদের ধর্ষণে প্ররোচিত করে। আদতে এটা ভুক্তভোগীকে দোষী সাব্যস্ত করার একটি হাতিয়ার। বলা হয়, ‘কোনো পুরুষ একবার যৌন উত্তেজনায় তাড়িত হলে সে যৌন সঙ্গম না করে পারে না’। নারীরা যেমন পারে, পুরুষরাও যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যৌন সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ধর্ষণ করার প্রয়োজন নেই। ধর্ষণ হলো মূলত কাউকে নির্যাতন ও নিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছা থেকে উদ্ভূত একটি কর্মকাণ্ড।
বলা হয় কিছু নির্দিষ্ট জাতি ও ব্যাকগ্রাউন্ডের পুরুষরাই যৌন নির্যাতক হয়ে থাকে। কিন্তু, সত্যিটা হলো ধর্ষক হতে পারে যেকোনো পেশার, যেকোনো জাতির, যেকোনো বর্ণ, ধর্ম, বয়স, সামাজিক শ্রেণি বা অর্থনৈতিক অবস্থানের। পুরুষরা ধর্ষণের শিকার হয় না, এটাও একটি প্রচলিত ভুল ধারণা। কারণ, আমরা এখন খবরে দেখছি ছেলেশিশু ও পুরুষরাও ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আর তাই বলাৎকারকে ধর্ষণ হিসেবে ঘোষণার জন্য রিট পিটিশনও করা হয়েছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ২০২১ সালের প্রথম সপ্তাহেই ১১টি ধর্ষণের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে সারাদেশে। চারদিক থেকে এখন একটাই প্রশ্ন, মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকা সত্ত্বেও এবং ধর্ষণ নিয়ে এত প্রতিবাদের পরেও কেন দেশে ধর্ষণ না কমে বাড়ছে? বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা, নানা ধরনের আর্থ-রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার সদিচ্ছার অভাব কি এর জন্যে দায়ী?
এর কারণ কয়েকটি থাকলেও মূল কারণ বিচারহীনতা। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, দেশে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়েরকৃত ২৫টি ধর্ষণ মামলার মধ্যে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টা পর থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত ২৫ আসামি জামিন পেয়েছেন। বর্তমানে ২০ জন অভিযুক্ত আসামি জামিনে মুক্ত অবস্থায় রয়েছেন, তিন অভিযুক্ত কারাগারে রয়েছেন এবং দুই জন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়নি। উপরন্তু অধিকাংশ আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে মামলাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
এই ২৫টি মামলার মধ্যে দুইটি মামলা একদম নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে। চারটি মামলার নথি পাওয়াই যাচ্ছে না। যে ২০টির চার্জশিট হয়েছে, সেগুলোর ছয় থেকে ২৩ বার পর্যন্ত শুনানি হয়েছে। একটি মামলার এখনো মেডিকো-লিগ্যাল টেস্ট হয়নি।
কেন ধর্ষণ মামলার বিচারের দেরি হচ্ছে, এই কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা বিচারের জন্য নথিপ্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করা এবং মামলার শুনানি শুরু হলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা পরিচালনার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না।
পাবলিক প্রসিকিউটর ভুক্তভোগী ও সাক্ষীকে মামলার তারিখে আদালতে হাজির করানোর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেন না। থানা পুলিশ এবং বিচার প্রক্রিয়ায় ধর্ষণের শিকার শিশু ও নারীকেই নানাভাবে দোষারোপ করা হয়। এমনকি আইনে ধর্ষণের অপরাধ আপস অযোগ্য হলেও পারিপার্শ্বিক চাপে আপস রফার ক্ষেত্রে আদালত অনেক সময় নির্লিপ্ত থাকেন। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে কেন ধর্ষণ বাড়ছে।
আমাদের পুলিশ, বিচারক, আইনজীবী, চিকিৎসক, কোর্ট স্টাফ ও ধর্ষণ মামলার বিচার সংশ্লিষ্ট সকল স্টেক হোল্ডারদের জেন্ডার সমতা, হাইকোর্টের নির্দেশনা, সংস্কারকৃত আইন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের যুক্তি বা অজুহাত কখনোই দাঁড় করানো যাবে না। ধর্ষণের জন্য ধর্ষক যেমন দায়ী, তেমনিই দায়ী ভুক্তভোগীকে দোষারোপ করা ওই নোংরা মানসিকতার লোকগুলোও। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার সময় এসে গেছে।
শাহানা হুদা রঞ্জনা: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments