আমদানিকৃত অ্যান্টিজেন কিট কোন নীতিমালায় উত্তীর্ণ হয়েছে: প্রশ্ন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর
বিদেশ থেকে অ্যান্টিজেন কিট কিনে এনে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু করেছে বাংলাদেশ। পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাপিড টেস্ট শুরুর দাবি ছিল অনেক দিন ধরেই। দেশের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমোদন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
বিদেশ থেকে আমদানিকৃত অ্যান্টিজেন কিটের পরীক্ষা বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অ্যান্টিজেন কিট কিনে এনে করোনা পরীক্ষা করছে। আমাদের কিটের ক্ষেত্রে যে ধরণের নীতিমালায় পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার কিটের ক্ষেত্রে সেই একই নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে কি না জানতে চাই?’
তিনি বলেন, ‘সরকার বলেছে আমাদের কিট আমেরিকার ল্যাব থেকে পরীক্ষা করে আনতে হবে। বিদেশ থেকে কিনে আনা কিট কি আমেরিকা থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে? আমদানিকৃত অ্যান্টিজেন কিট কোন নীতিমালায় উত্তীর্ণ হয়েছে?’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া তাদের কিট নিজেরাই অনুমোদন করেছে। তার জন্য আমেরিকায় পাঠাতে হয়নি। তাহলে আমাদের কিট কেন অনুমোদন দেওয়া হলো না, এর কারণ কী? গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট আর বিদেশ থেকে আমদানি করা কিট তো একই নীতিমালায় পরীক্ষা করা দরকার ছিল। তা তো করা হয়নি। গণস্বাস্থ্যের জন্য কঠিন নীতিমালা, আর বিদেশের জন্য সহজ কেন?’
‘বিদেশ থেকে কোন মানের কিট আমদানি করা হলো, নিম্নমানের কিট বেশি দামে আমদানি করো হলো কি না, কীভাবে বোঝা যাবে? দেশের বিজ্ঞানীদের এভাবে অবহেলা, অসম্মান করা হলো কেন? বিদেশ হলেই ভালো, দেশের হলে খারাপ, এটা কেমন নীতি?’, বলছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের প্রতি চরম অন্যায় করেছে। বাংলাদেশ বিরাট এক সুনাম অর্জন থেকে বঞ্চিত হলো। আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে, এই মহামারিকালেও তাদের সঙ্গে চরম অন্যায় করা হচ্ছে। দেশের কিটের অনুমোদনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বিদেশ থেকে কিট আনা হচ্ছে।’
Comments