জঘন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার জ্যেষ্ঠ এএসপি আনিসুল করিম: ডিএমপি

নিহত সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের পরিবারের সদস্যদের আহাজারি। ছবি: স্টার

চিকিৎসা নিতে গিয়ে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে কর্মচারীদের পিটুনির পর পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘জঘন্য হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে দেখছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

বুধবার দুপুরে গাজীপুরের বরুদা এলাকায় ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদ নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে গিয়ে বলেন, প্রাথমিক যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবেই তারা দেখছেন।

এ সময় তার সঙ্গে নিহতের ব্যাচমেট পুলিশের ৩৫ জন কর্মকর্তাসহ সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রীনা পারভীন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান আজমল ভুইয়া। তারা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আনিসুলের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ এবং দোয়া করেন।

হারুন অর রশিদ বলেন, যেভাবে একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে সেটি কোনো চিকিৎসা নয়। তারা কোনো চিকিৎসা জানে না। এ ব্যাপারে তাদের কোনো জ্ঞান বা ধারণাও নেই। তাদের কোনো লাইসেন্স নেই। যারা চিকিৎসার নামে নির্যাতন করেছে, তারা কেউ চিকিৎসক নন। তারা ওয়ার্ড বয় ও স্কুল-কলেজের ছাত্র। এ পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে তাতে জঘন্যভাবে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা শিপনের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ১০ জনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। অন্যজন হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াজ অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি সুস্থ হলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

এর আগে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার সিনিয়র এএসপি আনিসুলের বাসায় যান এবং স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

10h ago