মানসিক স্বাস্থ্য বলে আদৌ কিছু আছে, না সব পাগলামি?
অনেকেই বলছেন যে তারা পত্রিকা পড়া ও নিউজ দেখা ছেড়ে দিয়েছেন। এদের মধ্যে এমন মানুষও আছেন, যারা প্রতিদিন সকালে উঠে পত্রিকা হাতে না পেলে চেঁচামেচি শুরু করে দিতেন। শুধু করোনাকালের জন্য বা অনলাইনে সব খবর জেনে যাচ্ছেন বলে যে তারা প্রতিদিনের খবর এড়িয়ে যাচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। তারা খবর থেকে দূরে রয়েছেন নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য। এই শহরের বেশ কিছু শিক্ষিত মানুষ মনে করেন, মন খারাপ করা খবর পড়ে পড়ে তারা অসুস্থ হতে চান না। তাদের এই ভাবনা অস্বীকারও করা যায় না। জেনে-বুঝেই তারা উট পাখির মতো মাথা গুঁজে আছেন।
পেশার প্রয়োজনে আমাকে প্রতিদিনের খবরা-খবর জানতে হয়। এইতো মাত্র দুই দিন আগে দ্য ডেইলি স্টারে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে, এর মধ্যে আছে— দেহ ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ, চট্টগ্রামে রিকশা থেকে নামিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ, আশুলিয়ায় গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, সাভারে বাবা ধর্ষণ করেছে মেয়েকে, ৫৭ বছরের বাড়িওয়ালা কোকাকোলা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে নয় বছরের ভাড়াটিয়া যমজ বোনকে। এখানেই শেষ না, আরও আছে। যেমন: খুলনা আর চাঁদপুরে ভাগ্নিকে ধর্ষণ করেছে মামা, টাঙ্গাইলে আর ফেনীতে শিশু ভাতিজিকে ধর্ষণ করেছে চাচা। বরিশালে ১০ বছর বয়সী শিশু ধর্ষকও পাওয়া গেল। আছে কিশোর ধর্ষকদের গ্রুপ।
শুধু একটি পত্রিকাতেই যদি এই হারে এত জঘন্য একটি অপরাধের খবর ছাপা হয়, তাহলে বাকি সংবাদমাধ্যমের কথা নাইবা মাথায় আনলাম। এই খবর দেখার পর আমার বা অন্য পাঠকদের মানসিক স্বাস্থ্যের কী অবস্থা হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে ওঠে, শুধু অবনত মস্তক শিশু ও নারীর মুখ, যারা এই সমাজের দ্বারা ধর্ষণের শিকার। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের যে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে, তার কণ্ঠস্বরও যে বা যারা শুনেছেন বা সেই কথাগুলো জানতে পেরেছেন, তারা কোনোদিনই তাদের মন থেকে এই ট্রমা দূর করতে পারবেন না। শুধু ধর্ষণ বা যৌন হয়রানি নয়, হত্যা, গুম, অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ, ক্রসফায়ার, লাগামছাড়া দুর্নীতি, দৈনন্দিন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছে। সবচেয়ে ক্ষতি করছে মানুষের নেতিবাচক মানসিকতা।
২০২০ সালের মানসিক স্বাস্থ্য দিবসটা এমন একটা সময়ে আমাদের সামনে এসেছে, যখন আমরা করোনার মতো ভয়াবহ মহামারির ভেতর দিয়ে চলেছি। আমাদের চারিধারে ভর করে আছে নানারকম আতঙ্ক। নিজের, পরিবারের বা প্রিয়জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার, করোনাকালে চিকিৎসার সুযোগ না পাওয়ার এবং অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয়, চাকরি হারানোর ভয়, বেতন কমার ভয়, ব্যবসা হারানোর শঙ্কা, উদ্বাস্তু হওয়ার ভয়। করোনাকাল যেন আমাদের জীবন থেকে যাচ্ছেই না। মানুষ ভয় উপেক্ষা করে পথে বের হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যেকের মন থেকে অস্বস্তি যায়নি। কত মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন হারিয়েছে এই মহামারিতে।
এ ছাড়া, দেশের অসংখ্য নারী ও শিশু এই সময়ে ভয়াবহভাবে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের অবস্থা ছিল এমন— বাইরে মহামারি, ঘরে নির্যাতনকারী। বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন করোনাকালে করা তাদের টেলিফোন জরিপের মাধ্যমে দেখেছে, লকডাউন চলাকালে এপ্রিল থেকে অসংখ্য নারী ও শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে।
এই মহামারিতে শিশুদের জীবন থেকে সুখ নামের অনুভূতিটা একেবারেই চলে গেছে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এখন বাক্সবন্দি হয়ে গেছে। এভাবে জীবন চালানো আর কতদিন? শহরের শিশুদের কাছে স্কুলটা ছিল বেড়াতে যাওয়ার মতো একটা আনন্দ ও মুক্তি। তাদের কাছে নাচ, গান, ছবি আঁকা বা কুংফু শেখার ক্লাসগুলোও ছিল এক ধরনের বেড়ানো। ছেলে-মেয়েরা মাঠে খেলতে যেত, সাইকেল চালাত, সব বন্ধ হয়ে ছিল বহু মাস। পড়াশোনার নামে এই অনলাইন ক্লাস শিশুদের ওপর এক ধরনের অত্যাচার হয়ে দেখা দিয়েছে। গ্রামের শিক্ষার্থীদের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে হাতেগোনা কিছু শিক্ষার্থী ছাড়া অধিকাংশই পড়াশোনা করার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না।
গত ১ অক্টোবর সেভ দ্য চিলড্রেন এক প্রতিবেদনে বলেছে, করোনার কারণে এ বছর বিশ্বের পাঁচ লাখেরও বেশি কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে পড়েছে। ২০২৫ সাল নাগাদ এই একই কারণে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে পড়বে আরও ২৫ লাখ কন্যাশিশু। এটি গত ২৫ বছরে বাল্যবিয়ের সর্বোচ্চ বৃদ্ধি। বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে দক্ষিণ এশিয়ার কন্যাশিশুরা। এ বছর এ অঞ্চলের দুই লাখেরও বেশি কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশ্বের ১০ লাখেরও বেশি কন্যাশিশু এ বছরই সন্তান ধারণ করার ঝুঁকিতে আছে, যা একটি কন্যাশিশুর মনোজগতকে খান খান করে দিচ্ছে এবং দেবে। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, অভাব, পাড়া-প্রতিবেশীর প্রভাবে অভিভাবকরা আইন লঙ্ঘন করে কন্যাশিশুদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন খুব গোপনে।
সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও খাদ্যাভাব এবং সহিংসতা ও নিপীড়নের ঝুঁকির মধ্যে অনেক মা-বাবা তাদের সন্তানদের তুলনামূলক অনেক বেশি বয়সীদের সঙ্গে বিয়ে দেবেন। এ বিয়েগুলো মেয়েদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে এবং বিষণ্নতাসহ নানা জটিলতার ঝুঁকি বাড়াবে। এসবের কারণে বাল্যবিয়ের উচ্চহারের কারণে বাংলাদেশে বয়ঃসন্ধিকালেই অনেক মেয়ে গর্ভধারণ, সহিংসতা ও অপুষ্টির ঝুঁকিতে থাকে। বাংলাদেশতো বটেই, বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য আরও অনেক বেশি হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে নিঃসন্দেহে।
ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তিন কোটি ৬০ লাখ কিশোর-কিশোরী রয়েছে। এই সংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ। বয়ঃসন্ধিকাল এমন একটা পর্যায় যখন একটি শিশু ক্রমশ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হয়ে ওঠা শুরু করে। এই সময়ে ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে। যে কারণে তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এদের উঠে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজন বয়ঃসন্ধিকালীন মানসিক ও শারীরিক সেবা। কিন্তু, আমাদের দেশে ঠিক এর উল্টোটাই ঘটে। এই সময়ে এসেই তাদেরকে সবচেয়ে বেশি ট্রমার শিকার হতে হয়।
এত চাপ, তাপ, অত্যাচার, নিপীড়ন, অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি সহ্য করতে করতে আমাদের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায়, তখনই আমাদের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে। কারো ওপর যখন চাপ বেড়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, ঘুম কমে যায়, মানুষের প্রতি অবিশ্বাস ও ভালোবাসাহীনতা তৈরি হতে শুরু করে, তখন এই সমাজ তাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে। বাংলাদেশে মানসিক সমস্যাকে এখনো পাগলের চিকিৎসা বলে মনে করা হয়।
জীবনযাত্রা আধুনিক হওয়ায় হয়তো শহুরে কিছু মানুষ পেশাদার চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। কিন্তু, কুসংস্কারের কারণে এখনো অনেকেই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। সমস্যার শুরুতেই যেখানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার, সেখানে যখন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, বিশেষ করে রোগী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে বা কাউকে আঘাত করে, ভাঙচুর শুরু করে, তখনই তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সবচেয়ে দুঃখজনক ও ভয়ের বিষয় হচ্ছে, এখনো বাংলাদেশে অধিকাংশ রোগী ও তার আশেপাশের মানুষ বিশ্বাস করেন, মানসিক রোগ বলে কিছু নেই।
প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে দেখলাম, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ সালের মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ বা দুই কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নানা ধরনের মানসিক রোগে ভুগছেন। এক শ জনের মধ্যে সাত জন ভুগছেন বিষণ্নতায়। অথচ অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এর শতকরা ৯২ জন রয়েছেন চিকিৎসার আওতার বাইরে। অন্যদিকে শতকরা ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিশুও মানসিক রোগে ভুগছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। যাদের ৯৪ শতাংশই কোনো চিকিৎসা পাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার বলেছেন, ‘যেকোনো শারীরিক রোগকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলেও মানসিক সমস্যাকে বাংলাদেশে এখনো ঠাট্টা, বিদ্রূপ বা হালকা বিষয় হিসেবে ভাবা হচ্ছে। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সংখ্যাও জনসংখ্যার অনুপাতে খুবই নগণ্য।’
সেই ১৯৪৮ সালেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্বাস্থ্যর যে সংজ্ঞা দিয়েছিল, তা এখন আরও প্রণিধানযোগ্য। সেখানে বলা হয়েছিল, ‘কেবল নিরোগ থাকাটাই স্বাস্থ্য নয়; বরং শারীরিক, মানসিক, আত্মিক ও সামাজিকভাবে ভালো থাকার নামই স্বাস্থ্য।’ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ‘স্বাস্থ্য’ শব্দটি সীমাবদ্ধ হয়ে আছে ‘শারীরিক’ অংশটুকুর মধ্যে।
আবার মানসিক স্বাস্থ্য অর্থ কেবল মানসিক রোগ বোঝায় না। ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা, হাঁপানি, স্ট্রোক, এসএলই, আর্থ্রাইটিস ও ক্যানসারসহ বেশ কিছু শারীরিক রোগ আছে, যার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে। এসব রোগের সঙ্গে যোগ হয়ে যায় বিষণ্নতা। কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য খুব জরুরি একটি বিষয় হলেও এটি খুব উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও নানারকম উপাদান। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে ‘রোগ বোঝা হয়ে দাঁড়ানো’র (ডিজিজ বার্ডেন) এক নম্বর কারণ হবে বিষণ্নতা। আর সে সময় বছরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করবে।
বিভিন্ন বিপদ পার হয়ে আসা নারী, পুরুষ বা শিশুকে মানসিক ট্রমা থেকে বের করে আনার জন্য বা মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এদেশে নির্দিষ্ট করে কেউ কাউন্সেলিং করে না। ধর্ষণ, হত্যা, দুর্ঘটনা, ছিনতাই, বিষণ্নতা, আত্মহত্যা, বিবাহ বিচ্ছেদ, পারিবারিক সহিংসতার মতো আরও বহু অঘটন আমাদের চারিদিকে ঘটতে থাকে। ঘটনার বিষয় ভিন্ন হলেও আফটার শক সিন্ড্রোম বেশিরভাগই এক ধরনের হয়ে থাকে। আমাদের দেশে মানসিক আঘাত অনেক বেশি হলেও আফটার শক সিন্ড্রোম কাটিয়ে ওঠার মতো সেন্টার বা ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার বা মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট নিয়ে কারো তেমন কোনো উৎসাহ নেই। বরং মানসিক সমস্যায় কেউ চিকিৎসা সাহায্য নিতে গেলে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা কর্মক্ষেত্রে তাকে পাগল ভাবা হয়। এই স্টিগমার কারণে অনেকেই সমস্যা বুঝলেও চিকিৎসকের কাছে যায় না।
আর তাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সমস্যা ও মানসিক নিপীড়নের হাত থেকে নিজেকে ও প্রিয়জনকে বাঁচানোর জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, কল-কারখানা, হাসপাতালের মতো স্থাপনাগুলোতে তাদের নিজস্ব উদ্যোগে মেন্টাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য একদম ছোট পরিসরে হলেও কার্যক্রম শুরু করা। মানুষ যখন নিজের জীবনে শান্তি পায় না, অপমানিত, অবহেলিত ও অবদমিত হয়, তখন সে অপমান-উপেক্ষাতেই অভ্যস্ত হতে হতে নিজেও একজন নেতিবাচক মানুষে পরিণত হয়।
এক্ষেত্রে পেশাদার চিকিৎসক বাড়ানোর জন্য সরকারের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। সরকার মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিবন্ধিতাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বদলাচ্ছে সংস্কৃতি ও জীবনধারা। সেই সঙ্গে বাড়ছে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ ও মানসিক জটিলতা। আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে সমাজে বাড়ছে নেতিবাচক মানসিকতার মানুষ। এদের চিকিৎসা দেওয়াটা সবচেয়ে আগে জরুরি। নতুবা পরিবার, সমাজ ও দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
ranjana@manusher.org
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments