আলী রীয়াজের বিশ্লেষণ

‘ট্রাম্পের কর ফাঁকির চেয়েও বড় প্রশ্ন, ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেনা জাতীয় নিরাপত্তার জন্যে হুমকি কি না’

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো আলী রীয়াজ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর দেননি বা কর ফাঁকি দিয়েছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের এই রিপোর্টের পর যা সারা পৃথিবীর আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

তার এই কর না দেওয়ার বিষয়টি আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো আলী রীয়াজের সঙ্গে।

দ্য ডেইলি স্টার: সারা বিশ্বের গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আপনার পর্যালোচনা জানতে চাই। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে কেমন প্রভাব পড়তে পারে?

আলী রীয়াজ: এতে করে যে মি. ট্রাম্পের এক ধরনের নৈতিক দুর্বল অবস্থান তৈরি হয়েছে এবং এর যে আরও অবনতি ঘটবে, সেটা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে কর দেওয়ার ব্যাপারটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। যেহেতু প্রায় সকলকেই কর দিতে হয়। প্রত্যেকেই মনে করেন, কর দেওয়ার মাধ্যমে তাদের এক ধরনের অধিকার তৈরি হয় এবং সমাজে তারা একটা ভূমিকা রাখছেন। আর অপরদিকে রয়েছেন যারা কর দিতে চান না, বিশেষ করে যাদের মধ্যে বড় অংশই হচ্ছেন ট্রাম্পের সমর্থক, তারা মনে করেন রাষ্ট্র তাদের কাছ থেকে অনেক অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। তারাও কিন্তু শেষ পর্যন্ত কর দেন। এখন তারা দেখবেন, তারাও কর দেন। কিন্তু, তাদের নেতৃত্বে যিনি আছেন, তিনি কোনো কর দেন না। এটা তাদের ওপর এক ধরনের মানসিক এবং নৈতিক চাপ তৈরি করবে। অবশ্য, তাতে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা সিদ্ধান্ত বদল করবে কি না, সেটা আমরা জানি না। এটা ভোটের দিক। কিন্তু, রাজনীতি তো আর এখন শুধু ভোটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, তার বাইরেও প্রভাবিত হবে। সেই জায়গায় এসে মি. ট্রাম্পকে এখন এই ধরনের কিছু প্রশ্ন মোকাবিলা করতে হবে— তিনি যে কর দিলেন না তার অর্থ হচ্ছে, তিনি জাতীয় নিরাপত্তায় কোনো ভূমিকা রাখেন নাই, এই দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য তিনি দুই পয়সা খরচ করলেন না। তিনি বারবার বলেন, যুদ্ধ থেকে যারা ফেরত এসেছেন, তাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু, ব্যক্তিগতভাবে যে তিনি এক কানাকড়িও দিতে রাজি হননি, সেই প্রশ্ন তাকে মোকাবিলা করতে হবে।

ডেইলি স্টার: নিউইয়র্ক টাইমস সংবাদ প্রকাশের পর সারা পৃথিবীর গণমাধ্যমেই সংবাদটি স্থান করে নিয়েছে। এর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গতকাল সোমবারও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এগুলো ভুয়া খবর এবং আমি প্রচুর কর দিয়েছি। এটা কি ট্রাম্পের আর দশটি অসত্য বক্তব্যের মতোই একটি নাকি নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে? এখন পর্যন্ত যে তথ্য রয়েছে, তার বিশ্লেষণে আপনার নিজস্ব পর্যবেক্ষণ কী?

আলী রীয়াজ: মি. ট্রাম্প কখনো কখনো কর দিয়েছেন। সেটা একেবারেই অস্বীকার করা যাবে না। যে বছর তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সে বছর এবং তার আগের বছর মাত্র ৭৫০ ডলার করে কর দিয়েছেন। ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৫ অর্থবছরের মধ্যে ১০ বছর তিনি কোনো কর দেননি। মি. ট্রাম্প দাবি করেছেন, ১৮ বছরে তিনি ৯৫ মিলিয়ন ডলার কর দিয়েছেন। কিন্তু, এর মধ্যে ৭২ দশমিক নয় মিলিয়ন ডলার তিনি ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে ফেরত নিয়েছেন। তিনি করের বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। সুবিধা নেওয়ার কারণে, যেসব জায়গায় কর দেওয়া উচিত ছিল, সেসব জায়গায় তিনি তা দেননি। বিভিন্ন ফাঁকফোকর দিয়ে তিনি এই সুবিধাগুলো নিয়েছেন।

ডেইলি স্টার: তাহলে সেটা তো তিনি আইন অনুযায়ীই নিয়েছেন। তার জন্য কী কিছু বলার সুযোগ থাকবে?

আলী রীয়াজ: তিনি বেআইনি কিছু করেছেন, সেটা কিন্তু এখনো প্রমাণিত হয়নি। সম্ভবত তিনি আইনের মধ্যেই আছেন। কিন্তু, যখন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে সুবিধা নিলেন, তখন তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে। এখানে রাজনীতিবিদরা, বিশেষ করে যারা প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, এটা দেখানোর চেষ্টা করেন যে আইনের ফাঁকফোকর থাকা সত্ত্বেও তারা তা ব্যবহার করার চেষ্টা করেন না। এমনকি এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার একথাও বলেছিলেন, তিনি যা কর দেন, তার চেয়ে বেশি দেওয়া উচিত। এটা বলে তার যা কর দেওয়ার কথা এর চেয়ে বেশি দিয়েছিলেন। অন্যান্য প্রেসিডেন্টদের দেওয়া করের হিসাবও আপনি করতে পারেন যে তারা তাদের মেয়াদকালে প্রথম অর্থবছরে কত কর দিয়েছেন। এটা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষেত্রে এক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ফলে, সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার যে নৈতিক এবং আচরণগত দিক, সেটাই এখানে বড় প্রশ্ন।

ডেইলি স্টার: এ পরিস্থিতিতে গণমাধ্যম হিসেবে নিউইয়র্ক টাইমসকে কী ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে?

আলী রীয়াজ: নিউইয়র্ক টাইমসকে বিশেষ কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে না। কারণ, তাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণাদি এবং নথিপত্র আছে। যেগুলো দিয়ে তারা তাদের প্রতিবেদনকে সমর্থন করতে পারবে। মি. ট্রাম্প এখন যেটা করবেন, তা আমরা জানি। মিডিয়ার সঙ্গে এক ধরনের যুদ্ধ তো তিনি গত সাড়ে তিন বছর ধরে করেই চলেছেন। মিডিয়াকে জনগণের শত্রু বলা, বিশেষ করে এখানকার লিবারেল পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে কম-বেশি প্রায় প্রতিদিনই কথা বলছেন বা টুইট করে যাচ্ছেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি মোটেই পছন্দ করেন না। যার কারণে এই ধরনের আলোচনা তিনি করবেন। কথার মাধ্যমে আক্রমণটি তিনি অবশ্যই অব্যাহত রাখবেন। কিন্তু, আইনগতভাবে নিউইয়র্ক টাইমসের ওপর চাপ তৈরি হবে, তেমন কোনো আশঙ্কার কারণ আমি দেখি না এবং এই ধরনের কোনো আইনও নেই। যদি মি. ট্রাম্পের আইনজীবীরা মনে করেন যে কোথাও কোনো ফাঁক আছে, তাহলে তারা বড়জোর আদালতে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আদালতের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস সেটা মোকাবিলা করতে পারবে।

ডেইলি স্টার: আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন কর দিয়েছেন ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৪ ডলার, ট্রাম্প দিয়েছেন মাত্র ৭৫০ ডলার। ওয়াশিংটন পোস্ট অন্যান্য সাবেক প্রেসিডেন্টের কর দেওয়ার পরিমাণ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প তো বাইডেনের চেয়ে ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এর কোনো প্রভাব নির্বাচনে পড়বে বলে আপনি মনে করেন না?

আলী রীয়াজ: নির্বাচনে এমন মেরুকরণ হয়েছে যে এই ঘটনায় ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বড় কোনো চিড় ধরবে বলে দেখতে পাই না এবং আশাও করি না। তবে, সবসময়ই যেটা হয়, দুই পক্ষের বাইরেও মধ্যবর্তী কিছু মানুষ থাকেন। এবার সেই সংখ্যাটা অত্যন্ত কম। এই বিষয়টি তাদের ওপর খানিকটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সেটাও নির্ভর করবে এই তথ্যগুলো তারা কতটা বুঝতে পারছেন, তার ওপর। শুধু করের দিকটাই নয়, নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে মি. ট্রাম্পের কী পরিমাণ দেনা আছে। এবং আগামী চার বছরের মধ্যে সেগুলো পরিশোধ করতে হবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার কাছে মনে হয়। কারণ, যে বিশাল পরিমাণ অর্থ ঋণে তিনি আছেন, সেটা পরিশোধ করতে তিনি কী ব্যবস্থা নেবেন? প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত দায় জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠছে কি না, এই দায়ের অর্থ কীভাবে এবং কোথা থেকে সংগৃহীত হবে, তা বড় প্রশ্ন। এই অর্থ কে বা কারা দেবে? সেই অর্থের বিনিময়ে তারা কোনো রকমের সুবিধা নেবেন কি না? এসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এগুলো আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। নির্বাচিত হলে আগামী চার বছর তিনি প্রেসিডেন্ট থাকছেন এবং সে অবস্থায় তিনি কারো না কারো কাছে দায়বদ্ধ থাকছেন আর্থিকভাবে।

ডেইলি স্টার: একজন ব্যবসায়ী হিসেবে যে কেউ তো দায়-দেনায় থাকতেই পারেন। ঋণ নিতে পারেন, যা সারা পৃথিবীতেই স্বীকৃত। ট্রাম্পের মূল পরিচয় তো ব্যবসায়ী। তাহলে তার দেনার বিষয়টি বিশ্লেষক হিসেবে আপনার কাছে এত বড় হয়ে উঠছে কেন?

আলী রীয়াজ: ব্যবসায়ী হিসেবে তার দায় থাকতেই পারে। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায় থাকতে পারে না। এথিকসের বিবেচনায়, প্রেসিডেন্টের কাছে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার কেউ না কেউ পায়। আগামী চার বছরের মধ্যে এই টাকা তার পরিশোধ করার কথা। কীভাবে পরিশোধ করবেন, জাতীয় নিরাপত্তা কি বিঘ্নিত হবে? বিঘ্নিত হবেই, এটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি না। কিন্তু, এথিকসের বিবেচনায় সেটা বড় রকমের ঝুঁকি। আপনি দেখছেন, মি. ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী। কিন্তু, তিনি এখন আর ওই ব্যবসায়ী না। ব্যবসায়ী হিসেবে তার সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল আগেই। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন, কিন্তু আপনি জানেন যে কোথাও না কোথাও আপনি দায়বদ্ধ আছেন, তখন এথিকসের প্রশ্ন আসে। এই দায় নিয়ে আপনি হোয়াইট হাউসে গেলে তা আপনাকে কোনোভাবে প্রভাবিত করবে কি না? এখন যে প্রশ্নটা উঠছে, তিনি সব সময়ই বলেছেন, তিনি সফল ব্যবসায়ী। এখন দেখা যাচ্ছে, তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে সফল না, কর সুবিধা নেওয়ার জন্য তিনি নিজেকে বলছেন ব্যর্থ। শুধু তাই নয়, এই বিশাল পরিমাণ অর্থ আগামী চার বছর প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তাকে পরিশোধ করতে হবে অথবা কিছু একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্যই এথিকস এবং সিকিউরিটির উদ্বেগটা এখন বড় হয়ে উঠছে, জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমি সেটাকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমি যে কর দেই, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার চেয়ে কম কর দিয়েছেন এবং কখনো কখনো দেননি। গত ১৫-১৬ বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি কর দিয়েছি। যে কোনো সাধারণ মধ্যবিত্ত মার্কিন নাগরিকের কাছে এই প্রশ্নটি বড় হয়ে ওঠার কথা। আমার কাছে বিবেচনাটি আরও বেশি। এই ৪০০ মিলিয়ন ডলারের যে ঋণ প্রেসিডেন্টের আছে, সেটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে কি না।

ডেইলি স্টার: দুটি বিষয়ে খুব সংক্ষিপ্ত মতামত জেনে শেষ করি। একটি হচ্ছে, এথিকসের কথা আপনি বলছেন, এথিকস শব্দটার সারা পৃথিবীতেই বলা হচ্ছে এক ধরনের অধঃপতন ঘটেছে। এই এথিক্যাল ব্যাপারে মার্কিন সমাজ বা মার্কিন নাগরিকরা কতটা সংবেদনশীল আছেন? আরেকটি হলো, এ যাবতকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেসব কথা এবং কাজের কারণে বিতর্কিত হয়েছেন, তার মধ্যে এখনকার বিতর্কটিই তার জন্য সবচেয়ে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি করছে কি না?

আলী রীয়াজ: বর্তমান আলোচনা এথিকসের বিবেচনায় শুধু না। কৌশলগতভাবে যে পরিস্থিতিতে তিনি নির্বাচনে যাচ্ছেন, তার জন্য এটা একটা বড় রকমের হুমকি হিসেবেই দাঁড়িয়েছে। একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য। মার্কিন সমাজে তিনি গত সাড়ে তিন বছরে এমন সব কথাবার্তা বলেছেন এবং তার আগে এমন কিছু কাজও করেছেন যেগুলো এথিক্যালি অগ্রহণযোগ্য বলেই বিবেচিত হতো। এখন হয়তো তা হচ্ছে না। তার অর্থ এই নয় যে সকলেই সেটা মেনে নিয়েছেন। সমাজে এখনো এথিকসের প্রশ্নটা আছে। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ কী? সম্ভবত তারা সংখ্যাগরিষ্ঠও। সেটা আমরা বুঝতে পারব নভেম্বরে কিংবা তারও আগে।

Comments

The Daily Star  | English

For the poor, inflation means a daily struggle

As inflation greets Bangladeshis at breakfast time, even the humble paratha becomes a symbol of struggle. Once hearty and filling, it now arrives thinner and lighter -- a daily reminder of the unending calculations between hunger and affordability.

8h ago