রায়হানের দেশে ফেরা

চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন ভুলটা কোথায়

বাবা-মায়ের কোলে রায়হান কবির। ছবি: সংগৃহীত

ফজরের আযান হয়ে গেছে তখন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বন্দরের একটা বাড়ির সবাই জেগে আছে। বিশেষ করে রাত থেকেই নামাযে বসে আছেন প্রতীক্ষারত এক মা। ছেলে তার ঘরে ফিরবে। শনিবার ভোর পাঁচটায় সেই প্রতীক্ষার প্রহর ফুরায় গাড়ির শব্দে।

বন্দরের শাহি মসজিদ এলাকায় গাড়িটি থামতেই সশব্দ কোলাহোল শোনা গেল, রায়হান এসেছে। যাকে ঘিরে এতো অপেক্ষা, সেই রায়হান কবির গাড়ি থেকে নেমেই দ্রুত বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করল। ততোক্ষণে মাও বেরিয়ে এসেছেন। মাঝপথেই যেন ছেলে অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়ল মায়ের বুকে। এরপর শুধুই কান্নার শব্দ।

পৃথিবীর কোনো কোনো কান্নার দৃশ্যে এতো ভালোবাসা থাকতে পারে, সেটা কাছ না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মা আর ছেলে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। কাঁদছে রায়হানের বোন। দূর থেকে দেখছে বাবা। আশেপাশের মানুষ কাঁদছে। মিনিট চারেকের সেই কান্না থামাল রায়হানই। বলল, প্রতিবাদী রায়হানের মা কেন কাঁদবে?

আনন্দের এই কান্নার জন্য রায়হানের ভ্রমণ শুরু হয়েছিল শুক্রবার রাত ৯ টায় কুয়ালালামপুর থেকে। রাতেই যে দেশে ফিরতে পারবেন, সেই বার্তাটি রায়হান পেয়েছিলেন শুক্রবার সকালে। এর আগে ২৭ দিন তাকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের হেফাজতে থাকতে হয়। তার আগে আরও ২১ দিন থাকতে হয়েছিল কিছুটা আত্মগোপনে। রায়হানের সঙ্গে চার ঘণ্টার সাক্ষাৎকারে এই পুরো সময়ের ঘটনাগুলো উঠে এসেছে।

৩ জুলাই আল জাজিরার ‘লকডআপ ইন মালয়েশিয়ান লকডাউন-১০১ ইস্ট’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে উত্তেজনার শুরু। মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি লকডাউন চলাকালে দেশটির সরকারের নিপীড়নমূলক আচরণের বিষয়টি উঠে আসে। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে মালয়েশিয়া। ওই প্রতিবেদনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রায়হান বলেন, মালয়েশিয়া সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করছে প্রবাসীদের প্রতি। ক্ষুব্ধ হয়ে মালয়েশিয়ার পুলিশ তার বিরুদ্ধে সমন জারি করে। ২৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

১৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর ৬ আগস্ট পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে। এরপর ফের ১৩ দিন মঞ্জুর করেন। বুধবার রিমান্ড শেষ হওয়ার পর পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। এরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

রায়হানকে শুক্রবার সকালে জানানো হয়, রাতের ফ্লাইটে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে। শুরু হয় দেশে ফেরার প্রস্তুতি। প্রথমে আইনজীবী এবং পরে হাইকমিশনের কর্মকর্তারা আসেন।

রাত ৯টায় তাকে নিয়ে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে রওনা হন। সব প্রক্রিয়া শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন ফ্লাইটের জন্য।

বিমানবন্দরে দারুণ অভিজ্ঞতা

মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে ফ্লাইটের জন্য যখন অপেক্ষা করছিলেন রায়হান, তখন অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন।

রায়হান বলেন, ‘আমার গায়ে একটি শার্ট ছিল। ওই এক শার্টে গ্রেপ্তারের ৩০ দিন কেটে গেছে। শার্টটা বিভিন্ন জায়গায় ছিঁড়ে গিয়েছিল, অবস্থা খারাপ, ময়লা, মুখে মাস্ক পরা। কেউ বুঝতেই পারেনি, ওইটা আমি। স্বস্তিতে শ্বাস নেওয়ার জন্য মুখের মাস্ক খুলে ফেললে কেউ একজন চিনে ফেলে এবং চিৎকার করে বলে উঠে, রায়হান কবির। ওই সময় বিমানের লাইনে দাঁড়ানো এক-দেড় শ লোক হুমড়ি খেয়ে আমার ওপরে এসে পড়ে। তারা ভিডিও, ছবি তুলতে শুরু করে।’

‘মুহূর্তেই আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি জড়ো হয়ে যান। সবাই আমার সঙ্গে ছবি তুলতে থাকেন। প্রবাসীরা আমাকে বলেন, রায়হান ভাই আপনি আমাদের সব কষ্টের কথা বলেছেন। যে কথাগুলো কেউ বলতে পারেনি আপনি বলে দিয়েছেন। একজন এসে তার একটা নতুন শার্ট জোর করে আমাকে পরিয়ে দিয়ে যায়। আমি এই ভালোবাসার আনন্দ বলে বোঝাতে পারব না। আমি যে টানা এক মাস কষ্টে ছিলাম সব কষ্ট আমার তখনি দূর হয়ে গেছে।’

দেশের মাটিতে রায়হান কবির

শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের এমএইচ-১৯৬ ফ্লাইটে ঢাকায় নামেন রায়হান। ঢাকা বিমানবন্দরেও প্রবাসীরা তাকে শুভেচ্ছা জানান। বিমানবন্দরের ভেতরের পুলিশ কর্মকর্তারাও তার সঙ্গে ছবি তোলেন। এমনকি, যে কর্মকর্তা তার ইমিগ্রেশন করিয়েছেন তিনিও শেষ করে তার সঙ্গে ছবি তুলেছেন।

বিমানবন্দরে সব প্রক্রিয়া শেষ করে রাত ২টায় বেরিয়ে আসেন রায়হান। ছেলেকে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা শাহ আলম। বাবা-ছেলের পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে থাকার সেই ক্ষণটি স্পর্শ করবে যে কাউকে।

বাবা শাহ্ আলম এ সময় বলেন, ‘কাউকে তো বলতে পারিনি কতোটা চিন্তায় ছিলাম। ছেলেটা কী অবস্থায় আছে? কেমন আছে? এ দেড়টা মাস কিভাবে কেটেছে এটা বলে বোঝানোর মতো না। আমার কাজে ভুল হতো, ঘুম হতো না । আশা ছিল ছেলেকে যেন ফিরে পাই। এখন ছেলেকে পেয়েছি আমার সব দুঃখ, দুশ্চিন্তা শেষ।’

বিমানবন্দরেই রায়হানকে বাবা জানালেন, টিফিন ক্যারিয়ারে করে খাবার পাঠিয়েছেন তার মা। টিফিন বক্স খুলতেই খাবার দেখে খুশি রায়হান। মা ইলিশ মাছ ও চিংড়ি ভুনা পাঠিয়েছেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে গাড়িতে করে রায়হান ছুটল তার ঠিকানায়।

নারায়ণগঞ্জের পথে নানা প্রশ্ন, রায়হানের জবাব

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় রায়হানের বাড়ি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাড়ির দিকে রওনা হলো। দুই পাশের সবকিছুই মুগ্ধ চোখে দেখছিল রায়হান। যেন এই দেশ, মাটি সবকিছুর গন্ধ নিতে চায় ছেলেটি। এর মধ্যেই নানা প্রশ্নের জবাব দিলেন।

আল জাজিরার যে সাক্ষাৎকার নিয়ে এতো কিছু, সেটা নিয়ে আপনার কী প্রতিক্রিয়া? রায়হানের উত্তর, ‘যে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম খুবই সিম্পল ছিল। আমি আমার মতামত প্রকাশ করেছি। আমি করোনাকালে মালয়েশিয়ায় যা দেখেছি, তাই বলেছি। কিন্তু মালয়েশিয়ানদের সেটা পছন্দ হয়নি। পুলিশ আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করেছে কেন আমি এই কথাগুলো বললাম।’

কেন বললেন? রায়হানের উত্তর, আমি প্রায় ছয় বছর মালয়েশিয়া ছিলাম। প্রায়ই দেখতাম প্রবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাদের হাতে শিকল পরানো হতো এবং বেশিরভাগ সময় এটা বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে করা হতো। অন্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। ইউরোপ, আমেরিকা, চীনাদের কাউকে শিকল দিয়ে বাঁধছে এটা আপনি খুঁজে পাবেন না। এটা হয় বাঙালিদের ক্ষেত্রে। এটা নিয়ে আমি কথা বলেছি। রায়হান বলেন, মালয়েশিয়ার পুলিশকেও আমি এই কথাগুলো জানিয়েছি।

রায়হান বলেন, ‘এই ঘটনায় মালয়েশিয়া এমনভাবে ক্ষেপে উঠবে আমি বুঝিনি। আর আমার তো কাউকে আহত করার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হলো। এরপর আমার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করা হলো। ২৪ জুলাই আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো।’

২৭ দিন ধরে আপনাকে ওরা কী জিজ্ঞেস করল? রায়হানের উত্তর, সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসা করেছে মালয়েশিয়ার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা। কারো দ্বারা আমি প্রভাবিত কি না। কখনো কখনো গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। কোনো কোনো দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা টানা। বারবার জানতে চেয়েছে কেউ আমাকে কথাগুলো বলার জন্য টাকা দিয়েছে কিনা। আমি ক্ষমা চাইব কি না? বলব কি না আমি ভুল বলেছি। আমাকে যারাই এসব প্রস্তাব দিয়েছে সবাইকে বলেছি আমি মিথ্যা বলতে পারব না।’

কেমন ছিল জিজ্ঞাসাবাদের দিনগুলো? রায়হানের উত্তর, ‘প্রথম দিন ছাড়া প্রায় পুরোটা সময় তারা অসাধারণ ভালো ব্যবহার করেছে। সম্মান দিয়ে কথা বলেছে। আমি যেখানে ছিলাম সেখানে ১৪ জন আটক ছিল। রোজ তাদের ভালো খাবার দিয়েছে। তিন বেলা খাবার, আপেল-ডিম। আমি বলেছি, আমি চলে গেলে যেন এটা বন্ধ না হয়ে যায়। শুক্রবার চলে আসার সময় ওরা বলেছে, রায়হান তুমি কোনো মিথ্যা বলোনি। হাইকমিশনের সদস্যদের সামনেই আমার প্রশংসা করেছে।’

জেলে থাকাকালে তো জানতে না বাইরে কী হচ্ছে? কী ভাবতে? রায়হানের উত্তর, আমি জেলের ভেতর থাকার সময় মালয়েশিয়া বা দেশে কী হয়েছে আমি তা জানি না। আমি জেলে শুধু রেডিও শুনতে পেতাম। সেখানে আমাকে নিয়ে নানা দেশের কিছু বিবৃতি শুনতে পেয়েছি। সিএনএন ও বিবিসির নিউজ শুনতে পেয়েছি। কিন্তু আমি বাংলাদেশের কোনো খবর শুনতে পেতাম না।’

জেলখানায় বসে বাংলাদেশের কোন জিনিষটা বেশি মিস করেছে? রায়হানের উত্তর, আমি তো কক্সবাজার-সুন্দরবন থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় বেড়িয়েছি। আমার পুরো বাংলাদেশের ছবিটা ভেসে উঠত মনের মধ্যে। মনে হতো কবে আমি আমার প্রিয় সেই দেশে ফিরে যাব। দেশের সবকিছুই খুব মিস করেছি। সবকিছুই মনে হচ্ছে এখন ভালো লাগছে।

সবকিছু যে আসলে ভালো লাগার সুযোগ নেই সেটা কয়েক মিনিট পরেই টের পাওয়া গেল। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা পার হওয়ার সময় উল্টো দিক থেকে একটা গাড়ি আসছিল। রায়হান সেদিকে তাকিয়ে চিৎকার করে করে বলছিল, ও মাই গড! দেখেন উল্টোপথে আসছে। আমি তো নিজে ড্রাইভ করি। এভাবে গাড়ি চালালে তো সমস্যা।

অবশ্য কাঁচপুরের নতুন ব্রিজটা দেখে মুগ্ধ রায়হানের প্রতিক্রিয়া, কী সুন্দর সেতু। মালয়েশিয়ার রাস্তাঘাট সুন্দর না বাংলাদেশের? রায়হানের উত্তর, মালয়েশিয়ার রাস্তাঘাট তো অনেক প্রশস্ত, বাংলাদেশেরও খারাপ না। কিন্তু ওই দেশের রাস্তায় আপনি শৃঙ্খলা পাবেন। আমাদের দেশে সড়ক থাকলেও সেই শৃঙ্খলটা নেই। এই যে দেখেন উল্টো পথে গাড়ি।

জেলখানায় যখন আইনজীবী দেখা করতে গেল, আপনি তখন তাকে বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী নামে একটা বই আছে। এই বইটাসহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও কয়েকটি বই এনে দেওয়া যায়? হঠাৎ করে এই বইগুলো কেন খুঁজলেন? রায়হানের উত্তর, দিনের পর দিন কারাগারে থাকলে যে কেউ মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাবে। আমারও তখন মাঝে মধ্যে এমন হচ্ছিল। হঠাৎ মনে হলো, বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য, মানুষের জন্য ১৪ বছর জেলে থেকেছেন। আমিও তো একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এসেছি। বইগুলো আবার পড়লে মনের জোর বাড়বে।

কথাগুলো বলে কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন রায়হান। এরপর নিজে থেকেই বললেন, যারা দেশ-মানুষের জন্য কাজ করতে চায় তাদের যদি পরিবার-সংসার এসব পিছুটান না থাকত কখনো কখনো ভালো হতো!

দেশের মানুষের জন্য কিছু বলতে চান? রায়হানের জবাব, ‘বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ, কোটি প্রবাসী, সাংবাদিক, সরকার সবাই যেভাবে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে আমি আমার সব কষ্ট ভুলে গেছি। আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’

সামনের দিনগুলোতে কী ভাবছেন? রায়হানের জবাব, ‘আমার চাহিদা কম। নিজের যোগ্যতা-দক্ষতায় কিছু একটা করত পারব। তবে আমি প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। এই মানুষগুলোর ওপর অনেক নিপীড়ন হয় যেগুলো উঠে আসে না। তবে সবার আগে কয়েকটি দিন বিশ্রাম করতে চাই। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমি আমৃত্যু ন্যায়ের জন্য লড়ে যাব। প্রবাসীদের জন্য লড়ে যাব।

মা-ছেলের দেখা

কথা বলতে বলতে ফজরের আযান হয়ে গেল। রায়হানের বাড়ি শাহি মসজিদ এলাকায় গাড়ি পৌঁছাল। গাড়ি থেকে নেমেই দ্রুত বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করল রায়হান। বাড়ির গেটে তখন দাঁড়িয়ে আছে তার মা আর ছোট বোন মেহেরুন। আশপাশে আরও অনেক আত্মীয়স্বজন। এর মধ্যেই রায়হান যেন অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়ল মায়ের বুকে।

রায়হানের মা রাশিদা বেগমের কথা, অনেক শুকিয়ে গেছিস। রায়হানের পাল্টা উত্তর, মা, শুকিয়েছ তুমি। রায়হান এসেছে শুনে আশেপাশের প্রতিবেশীসহ আরও স্বজনরা এসেছেন। মা ছেলের এই কথাবার্তায় যোগ দিলেন বাড়ির অন্য আত্মীয়রাও। নানাজনের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েই চলছেন রায়হান। তাকে এক নজর দেখতে দূর দুরান্ত থেকে স্বজন ও এলাকাবাসী ছুঁটে আসছেন। এমন প্রতিবাদী তরুণের দেখা মেলা যে ভার!

শরিফুল হাসান: ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার

Comments

The Daily Star  | English
Tarique Rahman on election demands

Conspirators eyeing country’s resources like vultures: Tarique

Tarique said the conspiracy by mischievous elements, both within the country and abroad, against the BNP, its leaders, and the nation, does not stop

38m ago