দেড় লাখ লেবানন-প্রবাসী বাংলাদেশির দুঃখগাথা
লেবাননে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যকের কাজ নেই। যাদের কাজ আছে, তাদেরও বেতন কমে গেছে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। আগে যিনি বেতন পেতেন ৪০০ ডলার, এখন তার বেতন হয়েছে কমবেশি ৭০ ডলার। চালসহ জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।
মূলত এই সংকট শুরু হয়েছে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে। তখন থেকেই বাংলাদেশিরা অর্থকষ্টে পড়েছেন। এখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ খাদ্য সংকটে ভুগছেন। বৈরুতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন গত বৃহস্পতিবার টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরা নন, লেবানিজরাও সংকটে আছেন। ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে লেবানন।’
আরব বিশ্বের একটি মুসলিম দেশ হিসেবে লেবাননকে বিবেচনা করা হলেও, দেশটির প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা খ্রিস্টান। জীবনযাপন পাশ্চাত্য ঘরানার। ধর্মীয় গোষ্ঠী-গোত্রে বিভক্ত একটি দেশ। দেশ পরিচালনার জন্যে নিজেরা চুক্তি করে নিয়েছে। লেবাননের রাষ্ট্রপতি হবেন একজন খ্রিস্টান। প্রধানমন্ত্রী সুন্নি মুসলমান ও স্পিকার হবেন একজন শিয়া মুসলমান। রাজনীতি স্থিতিশীল নয়। সক্রিয় আছে এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ইরান-সমর্থিত গেরিলা সংগঠন হিজবুল্লাহ।
দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা আনুমানিক দেড় লাখ। বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসের সূত্রানুযায়ী, এখন পর্যন্ত এক লাখ ৬৭ হাজার বাংলাদেশি লেবানন গেছেন। কিছু সংখ্যক বিভিন্ন সময়ে ফিরে এসেছেন। কতজন ফিরেছেন, কতজন আছেন, সঠিক সংখ্যা জানা নেই বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসেরও।
দেড় লাখের মধ্যে প্রায় ৮০ হাজার নারী শ্রমিক। তারা মূল পেশা হারিয়ে আয়ের ভিন্ন পথ বেছে নিচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে।
স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে লেবানন আবার পৃথিবীর গণমাধ্যমের সংবাদ শিরোনাম। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। এর মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০৮ জন বাংলাদেশি। যে বন্দরের কাছে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার আশেপাশে অনেক বাংলাদেশির বাসস্থান। কারণ এ অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে কম ভাড়ায় বাসা পাওয়া যায়।
গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন লেবানন-প্রবাসী বাংলাদেশির সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের কেউ নাম-পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
প্রায় ২৫ বছর ধরে লেবাননে আছেন এমন একজন প্রবাসী দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননের অর্থনীতিতে ভয়ঙ্কর মন্দা শুরু হয়েছে। ক্রমান্বয়ে অর্থনীতির অবনতি হচ্ছে। ডলার দুষ্প্রাপ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে হু হু করে। সেপ্টেম্বরের আগে এক ডলারে পাওয়া যেত লেবাননের মুদ্রা ১৫০০ লিরা। এখন এক ডলার সমান প্রায় আট হাজার লিরা। আগে কর্মীরা বেতন পেতেন ডলারে। ডলার সংকটের কারণে কোম্পানি এখন বেতন দেয় লিরায়। আগে শ্রমিকদের গড় বেতন ছিল ৪০০ থেকে ৬০০ ডলার। ৪০০ ডলার সমান ছিল ছয় লাখ লিরা। এখনও সেই শ্রমিকের বেতন ছয় লাখ লিরা, যা কমবেশি ৭০ ডলারের সমান।’
‘তার মানে ৪০০ ডলার পাওয়া শ্রমিকের বেতন কমে গেছে ৩৩০ ডলার। ৭০ ডলার দিয়ে নিজেরই চলে না। দেশে টাকা পাঠাবেন কীভাবে? গত প্রায় ১১ মাস ধরে লেবানন প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠাতে পারছেন না।’
কেমন আছেন?, প্রশ্নের উত্তরে একজন লেবানন-প্রবাসী দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘কেমন আছি জানি না। বন্দর থেকে এক কিলোমিটার দূরে পেট্রোল পাম্পে কাজ করি। গত বছরের সেপ্টেম্বরের আগে বেতন ছিল ৪০০ ডলার। এখন পাই ছয় লাখ লিরা, যা ৭০ ডলারের সমান। ২০ কেজি চালের প্যাকেটের দাম ছিল ১৫ ডলার, এখন তার দাম ৫০-৬০ ডলার। এক প্যাকেট মার্লবোরো সিগারেটের দাম ছিল ২৫০০ লিরা, এখন ১২-১৪ হাজার লিরা। আট হাজার লিরার এক কেজি গরুর মাংসের দাম হয়েছে ৩০ হাজার লিরা। দেশ থেকে তাকিয়ে আছে মাসের শেষে টাকা পাঠাব। নিজেই চলতে পারছি না। দেশে টাকা পাঠাব কীভাবে? কেমন আছি বুঝতেই পারছেন! তবুও আমার এখনও কাজ আছে। ৭০ ডলার হলেও আয় করছি। লেবাননে অবস্থানরত কমপক্ষে অর্ধেক বাংলাদেশিরই কাজ নেই। তারা কীভাবে বেঁচে আছেন ভাষায় বলা সম্ভব নয়।’
লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার কাগজপত্রহীন। বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রমসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন বলছিলেন, ‘এই সংখ্যা ২০-২৫ হাজারের বেশি নয়।’
গত বছর লেবানন সরকার কাগজপত্রহীন বাংলাদেশিদের দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। লেবানন সরকার দেশে ফিরে যাওয়ার এক্সিট ফি নির্ধারণ করেছিল পুরুষ শ্রমিকদের জন্য ২৬৭ ডলার, নারী শ্রমিকদের জন্যে ২০০ ডলার। দূতাবাস উড়োজাহাজ ভাড়া নির্ধারণ করেছিল ৩০০ ডলার। প্রায় সাত হাজার ৫০০ বাংলাদেশি দুতাবাসে ৩০০ ডলার জমা দিয়ে দেশে ফেরার জন্যে নিবন্ধন করেছিল। এক হাজার ৪০০ জনের মতো ফেরার পর, করোনা মহামারির কারণে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাকিরা ফিরতে পারেননি। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিমানের তিনটি বিশেষ ফ্লাইটে এক হাজার ২৩০ জন প্রবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এখন দূতাবাস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, নিবন্ধিতদের উড়োজাহাজ ভাড়া হিসেবে আরও ৫০ ডলার জমা দিতে হবে। এমন একজন কাগজপত্রহীন শ্রমিক টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘কাজ নেই, এক বেলা খাই তো আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। রাতে কীভাবে ঘুমাই তা শুধু আমরাই জানি। অনেক কষ্টে এক্সিট ফি ও উড়োজাহাজ ভাড়া ৫৬৭ ডলার জোগাড় করে নিবন্ধন করেছিলাম। এখন ৫০ ডলার কিনতে লাগবে প্রায় চার লাখ লিরা। কোথায় পাব এই টাকা? কীভাবে দেশে ফিরব? দূতাবাস তো আমাদের কোনো কথাই শুনছে না।’
এ বিষয়ে শ্রমসচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলছিলেন, ‘উড়োজাহাজের টিকিটের দাম বেশি। এ কারণেই ৫০ ডলার নেওয়া হচ্ছে।’
কিন্তু, যাদের আয় নেই তারা ৫০ ডলার কেনার জন্যে চার লাখ লিরা পাবেন কোথায়?
‘এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। সরকার তো বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে ভর্তুকি দিচ্ছে। এখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে ১০ লাখ বাংলাদেশি দেশে ফিরে যাবে। সরকারের পক্ষে কি সম্ভব সবাইকে উড়োজাহাজ ভাড়া দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া? ফেরার টিকিটের ডলারের ব্যবস্থা প্রবাসীদের নিজেদেরই করতে হবে’, বলছিলেন শ্রমসচিব।
আরেকজন প্রবাসী বলছিলেন, ‘দেশে ফেরার নিবন্ধন করার জন্যে দেশ থেকে কিছু টাকা আনিয়েছিলাম। আগে যারা নিবন্ধন করেছিলেন, তারাই যেতে পারেননি। নিবন্ধিত সাত হাজার ৫০০ জন যাওয়ার পরে নাকি আবার নিবন্ধন শুরু হবে। ততদিনে তো দেশ থেকে আনা টাকা শেষ হয়ে যাবে! বলেন তো, আমরা কীভাবে বেঁচে থাকব? আমাদের এই জীবন কী মানুষের জীবন?’
লেবানন-প্রবাসী শ্রমিক মিন্টু। সম্পূর্ণ নাম না লেখার অনুরোধ করলেন। তিনি বলছিলেন, ‘শুনেছি বাংলাদেশ সরকার লেবানন-প্রবাসীদের জন্যে ১৭ লাখ টাকা পাঠিয়েছিল। আড়াই হাজার প্রবাসীকে নাকি খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এই অতি নগণ্য সংখ্যককে সামান্য পরিমাণ খাদ্য সহায়তা প্রবাসীদের সঙ্গে রসিকতা করা ছাড়া আর কিছু নয়। তাও কারা পেয়েছেন, জানি না।’
হোয়াটসঅ্যাপে কথা হচ্ছিল বৈরুতে কর্মরত আরও একজন প্রবাসীর সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘শুনলাম বাংলাদেশ সরকার লেবাননে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠিয়েছে। ভালো কথা। কিন্তু, লেবাননে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিরা তো বিস্ফোরণের আগে থেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের জন্যে সরকারের কিছু করণীয় নেই? আমরা তো রাষ্ট্রদূতের দেখা পাই না। আমাদের কষ্টের কথা কার কাছে বলব? আমার কাজ নেই গত ছয় মাস। দেশ থেকে কিছু টাকা আনিয়েছি। হাজার হাজার প্রবাসীর অবস্থা অত্যন্ত করুণ। সত্যি কথা বলতে এখন আর লেবাননে থাকা সম্ভব না। অনেকেই ভয়াবহ বিপদের ঝুঁকি নিয়ে সিরিয়া হয়ে তুরস্ক গিয়ে জড়ো হচ্ছেন। সেখান থেকে চেষ্টা করছেন ইউরোপে ঢোকার। সেটাও খুব কঠিন হয়ে গেছে। লেবাননে না খেয়ে মরার চেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুঁটছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।’
লেবাননে খাদ্য সহায়তা নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সি ১৩০ জে পরিবহন উড়োজাহাজে ৭১ জন বাংলাদেশি ফিরেছেন। আবার বিদেশে যেতে সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কায় পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তাদের একজন দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজে আসায় আমাদের ভাড়া লাগেনি। কিন্তু, আমরা তো ৩০০ ডলার উড়োজাহাজ ভাড়া দিয়ে আগেই নিবন্ধন করেছিলাম। দুঃখের কথা কী বলব, ফেরার সময় আমাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার লিরা। সেই সময় এই পরিমাণ লিরা দিয়ে ৩০০ ডলার কিনেছিলাম। এখন কেনা যাবে ৫৫-৬০ ডলার। আমরা তো ডলার জমা দিয়েছিলাম, লিরা ফেরত দেওয়া হলো কেন? লিরা ফেরত দিলে যত লিরা দিয়ে ৩০০ ডলার কেনা যাবে, তত ফেরত দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের কথা শোনার কেউ নেই। নিঃস্ব হয়ে লেবানন থেকে ফিরেছি।’
লিরা ফেরত দেওয়া বিষয়ক প্রশ্নের জবাবে শ্রমসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তারা ডলার নয়, লিরা জমা দিয়েছিল। যা জমা দিয়েছিল, সেটাই ফেরত দেওয়া হয়েছে।’
দেশে ফিরে আসা ৭১ জনের মধ্যে চার জন প্রবাসী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমাদের থেকে ৩০০ ডলার করে জমা নেওয়া হয়েছিল, লিরা নয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে দূতাবাস ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩০০ ডলার জমা দিতে বলেছিল, লিরা নয়।’
প্রবাসীদের খাদ্য সংকট ও কাজ না থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দূতাবাস বা সরকারের সহায়তা বিষয়ে শ্রমসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রবাসীদের তো খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
কতজনকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে?
‘সরকার থেকে ১৭ লাখ টাকা পেয়েছিলাম। দুই হাজার ৫০০ প্রবাসীকে সহায়তা দিয়েছি।’
দেড় লাখের মধ্যে দুই হাজার ৫০০ জনকে একবার অতি সামান্য সহায়তা। এটা কি খুবই নগণ্য নয়?
‘আমরা সরকার থেকে যা পেয়েছি, তাই দিয়েছি। এ ছাড়া, আমাদের আর কী করার আছে?’
প্রবাসীদের সহায়তা দেওয়া দরকার, এ কথা সরকারকে জানিয়েছেন কি না?
‘আমরা জানিয়েছি। সে কারণেই সরকার সহায়তা দিয়েছে।’
লেবানন-প্রবাসী বাংলাদেশিদের অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যকের কাজ নেই। যাদের কাজ আছে তাদেরও বেতন কমে গেছে। তারা খাদ্য সংকটে আছেন। এই তথ্যগুলো আপনারা কতটা জানেন?
‘প্রবাসীরা সংকটে আছেন। তবে, তাদের মাধ্যমে আপনাদের কাছে যে সংবাদ যাচ্ছে, তা পুরোটা সত্যি না। আপনাদের কাছে ভুল সংবাদ যাচ্ছে। অনেক কোম্পানি প্রবাসী শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েও দিয়েছে’, বলছিলেন শ্রমসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন।
বৈরুত থেকে প্রবাসী-শ্রমিক ইসমাইল শেখ দ্য ডেইলি স্টারকে বলছিলেন, ‘হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের কাজ নেই। প্রতিদিন কাজ হারাচ্ছেন প্রবাসীরা। গত এক বছরের মধ্যে কোনো কোম্পানি শ্রমিকের বেতন বাড়িয়েছে, এমন একটি নজিরও নেই। আমি আগে বেতন পেতাম ৪৬০ ডলার। গত সেপ্টেম্বর থেকে বেতন পাই লিরায়, যা ৯০ ডলারের মতো। কত কষ্টে যে টিকে আছি, তা আপনাদের বোঝাতে পারব না। দূতাবাস প্রবাসীদের জন্যে কিছুই করছে না। আসলে আমাদের দেখার কেউ নেই। যা জানছেন, লেবানন-প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবস্থা তারচেয়ে আরও অনেক বেশি খারাপ।’
s.mortoza@gmail.com
Comments