বাংলাদেশেও ‘অনার কিলিং’ আছে, নামে নয় বেনামে

rape_11.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সেদিন ‘ডার্ক চকলেট’ নামে একটি মুভি দেখে পর ৩-৪ দিন এত কষ্ট পেলাম যে, মনে হল, আগে রিভিউটা পড়া থাকলে এই মুভিটা আমি দেখতাম না।

ভারতের একটি মেয়ে কীভাবে তার সৎ বাবার দ্বারা দিনের পর দিন পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং একপর্যায়ে সে পালাতে চাইলেও পারল না। মা এই নির্যাতনের কথা জানলেও সমাজের ভয়ে কোথাও মুখ খুলতে দেয়নি মেয়েকে এবং নিজেও মুখ খোলেনি। ফলস্বরূপ মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ল এবং শেষ পর্যন্ত সেই নির্যাতিত মেয়েটি একজন ক্লিনিক্যাল অপরাধীতে পরিণত হয়।

এই সিনেমাটি যদি শুধু সিনেমাই হতো, তাহলে হয়তো আমার এত কষ্ট লাগতো না। কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেশেও অনেক মেয়ে এভাবেই তার গৃহে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কিন্তু সমাজের ভয়ে, পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য মেয়েটিকে বাধ্য করা হচ্ছে একটি নোংরা পরিবেশে জীবনযাপন করতে। পরিবারের ভিতরে যৌন নির্যাতনের শিকার এই মেয়েগুলো কখনো মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে, কখনো আত্মহত্যা করে, কখনো বা মুখ বন্ধ করেই একদিন মারা যায়। এই মেয়েগুলো সবাই আসলে অনার কিলিং এর শিকার, তবে সরাসরি নয়, একটু অন্যভাবে।

এই সমাজে নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হচ্ছে এটা যেমন সত্যি, সেই সঙ্গে নির্যাতনের কথা গোপন করে বা মেনে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দেওয়া, তাদের জন্য আরও বড় অপমানের। অবশ্য অনেককে অপমান করে করে মেরেও ফেলা হয়। খবরে দেখলাম মাদারীপুর সদর উপজেলায় ক্লাস এইটে পড়া একটি মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এরপর গ্রাম্য সালিশে বিচার করে মেয়েটির অমতেই ধর্ষকের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হলো। সালিশকারীরা মনে করেছে এতে করে মেয়েটির পরিবারের সম্মান রক্ষা হবে। অথচ আমরা জানি ধর্ষণ ও অপহরণের কোনো সালিশ হয় না। এরকম বিয়ে দেওয়া একটা অপরাধ। এই ঘটনাকে আমরা কী বলব? এরকম জোরজুলুম এই সমাজে অহরহ ঘটছে। এসব ঘটনাই আমাদের সমাজের অনার কিলিং।

অনার বা শেইম কিলিংয়ের নামে কাউকে বিশেষ করে নারীকে যে নির্যাতন বা শাস্তি দেওয়া হয়, তা একটি অপরাধ। যেখানে এই অভিযুক্ত হত্যাকারী বা অত্যাচারকারী মনে করে পরিবারের একটি মেয়ে বা ছেলে এমন কোনো অপরাধ করেছে, যা তাদের পরিবারের জন্য লজ্জা বা অসম্মান বয়ে নিয়ে এসেছে। এরা পরিবার, সমাজ বা ধর্মের নিয়ম ভঙ্গ করে অপরাধ করেছে বা কোনো পাপ করেছে। সাধারণত নিজের পরিবার বা সমাজের বাইরে বিয়ে, বিয়ের আগে বা পরে প্রেম, ধর্ষণের শিকার বা যৌন হয়রানির শিকার হওয়া, নিজের ইচ্ছায় সাজগোজ করা, সমকামী ও হিজড়া এদেরকেই এর শিকার হতে হয়। তবে নারীরাই বেশি ভিকটিম হয়ে থাকে।

ছেলেরাও হতে পারে এর শাস্তির ভিকটিম। যেমন: সাতক্ষীরার গৃহস্থ পরিবারের একটি মেয়ে একজন দলিত ছেলেকে বিয়ে করায় মেয়েটির পরিবার মনে করে এতে তাদের সম্মান নষ্ট হয়েছে। তারা ছেলেটিকে মারধর করে জোর করে তালাক আদায় করে এবং ছেলেটিকে হত্যার হুমকি দিয়ে পরিবারশুদ্ধ গ্রামছাড়া করে। ভারতে তো এরকম একটি অসম বিয়ের জের ধরে ছেলেটিকে হত্যা করার ঘটনাও ঘটেছে।

সাধারণত পরিবারের লোকেরাই এই হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের পরিকল্পনা করে। একে পারিবারিক আদালতের বিচারও বলা যায়। শুধু হত্যা নয়, এসিড নিক্ষেপ, অপহরণ, যৌন হয়রানি, মারধর সবই ঘটে এই অনার কিলিংয়ের নামে। হয়তো সরাসরি কোনো মেয়েকে মারা হলো না, কিন্তু তাকে যদি আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়, তখনো সেটা এই একই অপরাধ হবে। কোনো মেয়ে যদি ধর্ষণের শিকার হয় এবং সেই ধর্ষণকারীর সঙ্গেই তার বিয়ে দেওয়া হয়, তখন সেটাও কিন্তু এই অনার কিলিংয়ের অংশ, যা বাংলাদেশে অহরহ হচ্ছে।

কয়েকদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে এক কিশোরীকে তার বাবা, বড় ভাই ও মামা মিলে হত্যা করেছে। বাড়ির পাশের পাটক্ষেতে প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে দেখা গেছে, এই অপরাধে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যে, পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্যই তারা মেয়েটিকে সবাই মিলে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটাই অনার কিলিং। এই বিষয়টা বাংলাদেশে নামে হয় না ঠিকই, কিন্তু বেনামে হয়।

কাজ করতে গিয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এমনও কেস স্টাডি পেয়েছে যে, একজন হিজড়া বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হওয়ার দায়ে বাবা-মা সন্তানকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। শুধুমাত্র লোকলজ্জা এড়ানোর জন্য বা পরিবারের সম্মান রক্ষা করার জন্য তারা এই কাজটি করেছে। এদের অনেকেই পরিবারের আশ্রয়চ্যুত হয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছে। কেউ কেউ ভিক্ষা করে, কেউ চাঁদাবাজি বা দেহব্যবসা করতে বাধ্য হয়। একজন মা একটি সাক্ষাতকারে বলেছে যে, ছোটবেলায় যদি সে বুঝতে পারতো তার সন্তানটি হবে হিজড়া, তাহলে তখনই সে গলা টিপে মেরে ফেলতো। ধামরাইতে হিজড়াপল্লীতে থাকা একজন হিজড়া বলেছে, তার বাসায় তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র টের পেয়ে সে পালিয়ে এখানে চলে এসেছে। কারণ তার বাবা-মা তার এই মেয়েলি স্বভাবের জন্য গ্রামে মুখ দেখাতে পারছিল না। এই আচরণকে আমরা অনার কিলিং ছাড়া আর কী বলতে পারি?

কোনো কোনো সংসারে সবাই মিলে পরিবারের কালো বা প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে হেনস্তা করে। বিয়ে হয় না বলে গালাগালিও করে, ফলে মেয়েটি একসময় আত্মহত্যা করতেও বাধ্য হয়। প্রতিবন্ধী বাচ্চার হাত থেকে বাঁচার জন্য বাবা-মা মিলে বাচ্চাকে হত্যা করেছিল এইরকম প্রতিবেদনও আমরা পত্রিকায় দেখেছি।

অনার কিলিং সবসময়ই আমাদের সমাজে ছিল এবং আছে। সমাজের ভয়ে মেয়েকে পড়তে না দেওয়া, স্বাধীনভাবে বেড়াতে না দেওয়া, হাসতে না দেওয়া, জোর গলায় কথা বলতে না দেওয়া, পর্দার নামে আটকে রাখা, নিজের পছন্দে বিয়ে করতে না দেওয়া এসবই এক ধরনের নির্যাতন। পরিবারের পছন্দে বিয়ে দিয়ে, দুঃখ কষ্ট যাই হোক, সেই স্বামীর কাছেই মেয়েকে থাকতে বাধ্য করা এক ধরনের অপরাধ। এসব কথা কাউকে বলা যাবে না, ডিভোর্স নেওয়া যাবে না, অত্যাচার সহ্য করেই থাকতে হবে। এভাবে মেয়েটি একদিন নিজের গলায় দড়ি দিতে বাধ্য হয় অথবা স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকের হাতে নিহত হয়। তাও শুধু পরিবারের সম্মানের কথা ভেবেই এরকম একটা জীবনকে তার মেনে নিতে হয়।

এমনটাই আমরা দেখেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা মঞ্জুরের ক্ষেত্রে। প্রকৌশলী বেকার স্বামী নিয়মিত রুমানাকে তার বাবার বাসাতেই নির্যাতন করতো। নির্যাতনের একপর্যায়ে যখন রুমানার চোখ একেবারে নষ্ট হয়ে গেল এবং স্বামী তাকে প্রাণে মেরে ফেলার অবস্থায় নিয়ে যায়, তখন রুমানার বাবাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কেন এতদিন ওনারা এই অত্যাচার করা নিয়ে মুখ খোলেননি? পরিবার থেকে বলা হয়েছিল নিজেদের সম্মানের কথা ভেবে এটা নিয়ে এতদিন উচ্চবাচ্য করেননি তারা। কিন্তু মেয়ের জীবনের বিনিময়ে পরিবারের সম্মান কেন রক্ষা করতে হবে?

এইভাবে বহু মেয়ে অত্যাচারী স্বামীকে তালাক দিতে চাইলেও তালাক দিতে পারেন না। নিজেদের পরিবার থেকেই তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয় আরেকটু সহ্য করে দেখার কথা। আমাদের সমাজে এখনো নারীর জন্য যেকোনো গ্রাউন্ডেই তালাক দিতে চাওয়াটা অপরাধ। আর তাই অধিকাংশ পরিবার ক্ষমতা থাকলেও মেয়ের পাশে দাঁড়ায় না। একটি মেয়েকে গলা টিপে মেরে ফেলার জন্য এ দেশের সামাজিক বিধিবিধানই যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশে ফতোয়া দেওয়া এবং সালিশের বিচার নতুন কিছু নয়। ১৯৯৩ সালের দিকে নুরজাহান বেগম নামে একজন নারী আত্মহত্যা করার পর, জাতীয় পর্যায়ে প্রথম একটা হৈচৈ শুরু হয়েছিল এবং ফতোয়ার বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হয়েছিল। এর একমাস পর উচ্চ আদালত এই ফতোয়া দানকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও, ধর্মের নামে ফতোয়া চলছেই। ব্যভিচারের অভিযোগে নুরজাহানকে সবার সামনে পাথর মারা হয়েছিল। সেই রাগে, দুঃখে, অপমানে মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে গিয়ে বিষ পানে আত্মহত্যা করে। আইন সালিশ কেন্দ্রের তৎকালীন চেয়ারপারসন হামিদা হোসেন বলেছিলেন, ‘সেই প্রথম পত্রিকা মারফত আমরা সালিশের কথা শুনলাম।’

মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করে, ফতোয়া দিয়ে এখনো বাংলাদেশের গ্রামে অনেক মেয়েকে শাস্তি দেওয়া হয়। যদিও দেশে অনেক আইন কিন্তু এই সব আইন কার্যকর করা বেশ কঠিন। কমিউনিটি যাকে নৈতিক বলে মনে করে, শুধু সেটাই গ্রহণ করে। সাধারণত এলাকার মত মোড়লরা সমাজের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ফতোয়া দিয়ে থাকে। কোথাও কোনো সার্পোট না পেলে নারীদের এই শাস্তি মাথা পেতে নিতে হয়।

গণমাধ্যমে আলোচনা হওয়াতে জনসচেতনতা কিছুটা বাড়লেও ২৭ বছরে অবস্থার খুব যে একটা উন্নতি হয়নি, তা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের গত ৬ মাসের রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যাবে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ছয় মাসে দেশে শুধু পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৫৩ জন নারী। এরমধ্যে স্বামী ও পরিবারের লোকদের হাতে নিহত হয়েছেন ১৬৩ জন নারী। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৪০ জন নারী। এই জুন মাসেই ৭০ জন নারী নির্যাতনের শিকার হন। এই মৃত্যুগুলোকে কি আমরা অনার কিলিং বলব না? দেখা যাচ্ছে এই হত্যাকাণ্ড ও আত্মহত্যার পেছনে পরিবারের লোকেরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

কিন্তু কেন পরিবারের সদস্যরাই একজন নারীকে হত্যা করছে বা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিচ্ছে? অনেক কারণের মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ নারীর কুমারীত্ব। এটিই একটি সমাজে নারীর সম্মানের মূল, অবশ্য পুরুষের জন্য তা প্রযোজ্য নয়। করাচির আগা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহীদ খান বলেছেন, নারীকে যেকোনো ধর্ম, জাত ও শ্রেণীর পরিবারে পুরুষের সম্পদ বলে মনে করা হয়। নারীর ভাগ্য কী হবে, সেটা নির্ধারণ করবে তার মালিক। এই মালিকানার কারণেই একজন নারীকে পণ্যে পরিণত হতে হয়। এই সংস্কৃতিতে নারীর শরীরের উপর তার নিজের কোনো অধিকার নেই। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা নারীর কুমারীত্ব রক্ষা করবে। এখানে নারীর স্বাধীনতাকে পরিবারের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হয়। পারিবারিক সহিংসতাকে সাধারণ মানুষ এখনো নিছক পারিবারিক, ধর্মীয় ও সামাজিক আইন ভঙ্গের দায়ে অপরাধ বলে মনে করে।

এই যে কিছুদিন আগে বরিশাল জেলার উজিরপুর সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দেখা গেল তার কাছে পড়তে আসা ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করছে। কিন্তু একটি মেয়েও সমাজের ভয়ে এর বিরোধিতা করছে না। কারণ তারা জানে অভিযোগ দিলে সমাজ ও পরিবার তাদেরই শূলে চড়াবে।

পাকিস্তান, ভারত, আফগানিস্তান, ইরান ও তুরস্কতে রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে ও ভয়ংকরভাবে এই অনার কিলিংয়ের আয়োজন করা হয়। ব্রিটেনের মত দেশেও ইমিগ্র্যান্ট পরিবারগুলোতেও মেয়েদের আটকে রাখার এটা একটি কৌশল। লাহোরের উইমেন রিসোর্স সেন্টারের নিঘাত তৌফিক বলেছেন, এটি নারীর বিরুদ্ধে এক ধরণের জোটবদ্ধ সহিংসতা। মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট হীনা জিলানি বলেছেন, পাকিস্তানে নারীর জীবন সমাজের নিয়ম ও ঐতিহ্য মেনে চলার শর্তের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশেও কি সেরকমই নয়?

‘সমান্তরাল’ সিনেমার নায়কের ভাষায় বলতে চাই, ‘আমার মনটা একটা খোলা ময়দানের মত। প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে দেয়ালের ওধারে খোলা আকাশ দেখার। আমার মতো মানুষও চোখে মুখে হাসি নিয়ে বাঁচতে চায়, সমাজের ভয় নিয়ে নয়, অত্যাচার ও অপমান নিয়ে নয়। প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে নিজেকে প্রকাশ করার। আমরাও মানুষের সঙ্গে, মানুষের মত বাঁচতে চাই।’ কথাটা বলেছিল সুমন, যে একজন হিজড়া ছিল এবং পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে যাকে আত্মহত্যা করতে হয়েছিল।

শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

ranjana@manusher.org

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

5 killed as train hits auto-rickshaw in Cumilla

The accident took place when the Chattogram-bound Chattala Express train hit a battery-run auto-rickshaw in Kalikapur area

26m ago