সিনেমা হল খুললেই কি দর্শক আসবে?
চলচ্চিত্রের জন্য সবচেয়ে খারাপ সময় হচ্ছে ২০২০ সাল। একদিকে সিনেমা হলের সংখ্যা গত ১০ বছরে এক হাজার থেকে বর্তমানে মাত্র ৮০ তে নেমে এসেছে।
অন্যদিকে, করোনায় টানা চার মাস ধরে বাংলাদেশের সবগুলো সিনেমা হল বন্ধ। নতুন কোনো সিনেমার শুটিংও হচ্ছে না। গত রোজার ঈদে মুক্তি পায়নি কোনো ছবি।
অথচ, এই বছরেই অনেকগুলো বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। আসছে কোরবানি ঈদেও সিনেমা হল খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সিনেমা হল খুললে কিংবা নতুন সিনেমা মুক্তি পেলে কি আগের মতো দর্শকরা হলে আসবেন? বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ও মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘এমনিতেই চলচ্চিত্রের অবস্থা ভালো নয়, তার মধ্যে এখন আবার করোনার প্রকোপ। এখন সিনেমা হল খুললেও ভালোমানের কিছু দিতে হবে। তারপরও দর্শক আসবে কিনা বলতে পারছি না।’
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘গত ৭ জুন আমরা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছি। তিনি কোনো উত্তর দেননি। তবে মৌখিকভাবে বলেছেন, সিনেমা হল খুলতে তারা আগ্রহী নন। সরকারের পক্ষ থেকে নাকি কোনো নির্দেশ পাননি। আর একজন প্রযোজক সিনেমা হলে দর্শক না পেলে কেনো সিনেমা মুক্তি দেবেন? এমন অবস্থা চলতে থাকলে প্রযোজকরা সবাই মরে যাবে। কারণ, অনেকের অনেক টাকা এখানে লগ্নি করা রয়েছে।’
অভিনেতা ও প্রযোজক শাকিব খান ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিনেমা হলে বসে সিনেমা দেখা এ মুহূর্তে একেবারে অসম্ভব। আমার মনে হয় না এই সময়ে দর্শক হলে আসবেন। মানুষ বিনোদনের জন্য সিনেমা দেখে। এই সময়ে সিনেমা হলে খুব বেশি দর্শক হবে কি? আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করা প্রয়োজন।’
অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘এই সময়ে যদি সিনেমা হল খোলে তাহলে দর্শক খুব কম আসবে। আরেকটু সময় নেওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি সিট থেকে আরেকটি সিটের দূরত্ব বজায় রেখে আমাদের দেশে কি সম্ভব? ঠিক এ মুহূর্তে হলে যাওয়াটা নিরাপদ হবে না। আমাদের উচিত আরও কয়েকমাস অপেক্ষা করা।’
Comments