‘আমি যেটা গেয়েছি সেই গানটা লতাজির জন্য সুর করেছিলাম’
‘একটি সিনেমার গল্প’ ছবির গানের জন্য সংগীত পরিচালক হিসেবে এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রুনা লায়লা। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তার আগে বহুবার এই পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি এবার আশা ভোঁসলে, হরিহরন, রাহাত ফতেহ আলি খান, আদনান সামি’র জন্য গানের সুর করেছেন। গানগুলি ‘রুনা লায়লা ফিচারিং লিজেন্ডস ফরএভার’ শিরোনামে আগামী ১৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। তার আগে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন কিংবদন্তি তুল্য এই শিল্পী।
আপনাকে অভিনন্দন জানাই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পাওয়ার জন্য। এটি আপনার কততম পুরষ্কার?
গানের জন্য বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছি। এবার প্রথম পেলাম সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে। আলমগীর সাহেবের নির্দেশনা, প্রযোজনায় সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেলাম এটা আমার জন্য বিরাট একটা পাওয়া।
তাহলে এবারের পুরষ্কারটা আপনার জন্য বিশেষ।
সত্যিই এটা আমার জন্য একটা বিশেষ পুরষ্কার। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে আমার এই সুর করা গানের জন্য প্রথম এই পুরষ্কারটি পেলাম। সেই সুর করা গানের জন্য আঁখি আলমগীরও এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে।
আপনার একটি চমক সামনে আসছে সেটা হলো, আপনি আশা ভোঁসলে, হরিহরন, রাহাত ফতেহ আলি খান, আদনান সামির জন্য পাঁচটা গানের সুর করেছেন। এই জার্নিটার বিষয়ে শুনতে চাই।
এর আগে চার জন তরুণ শিল্পীর জন্য পাঁচটা গানের সুর করেছিলাম। তারপর এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করলাম। গীতিকবি কবির বকুলের সঙ্গে আলাপ করে বললাম প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে আমাদের একটা মিটিং করিয়ে দাও। এরপর তার সঙ্গে বসে আমার স্বপ্নের প্রজেক্টর কথা বললাম। কিছুদিন পরেই উনি বললেন এটা করা যাবে। আপনি যেভাবে চাইছেন সে ভাবেই হবে। সিটি ব্যাংকের স্পন্সরশিপ পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলাম কাজটি করব।
তারপরই কি শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ করলেন?
শিল্পীদের বিষয়ে আগে থেকেই চিন্তা করে রেখেছিলাম। একটা আশাজি (আশা ভোঁসলে) গাইবেন, আদনান সামির সঙ্গে একটা দ্বৈত গেয়েছি। রাহাত ফতেহ আলি গেয়েছেন একটা, হরিহরন গেয়েছে, একটা একক থাকবে আমার কণ্ঠে। আমি যেটা গেয়েছি সেই গানটা লতাজির জন্য বানিয়েছিলাম। খালি গলায় গেয়ে গানটি উনাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি সেটা পছন্দ করেছিলেন। আমাকে জানিয়েছিলেন গানের সুরটা শুনে আমার আগেকার দিনের কথা মনে পড়ে গিয়েছে। আগে যে ধরনের সুর হতো মিউজিক হতো। যদি আমার শরীর ঠিক থাকে তাহলে আমি অবশ্যই গাইব। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য উনার শরীর ভালো ছিল না। তারপর উনি বললেন, আমি একটা ভয়েস মেসেজ করে দিব। তিনি একটা ভয়েস মেসেজ দিয়েছেন। যখন গানগুলো শেষ হবে তখন সেটা থাকবে। তার মতো এতবড় মাপের মানুষের কাছে থেকে আশীর্বাদ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। গানগুলোর সংগীতায়োজন করেছে রাজা ক্যাশপ। আমি চাই গানগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। এখানে একটা ফাস্ট গানও রয়েছে যেটা আমি আর আদনান সামি গেয়েছি। সেটা শুনেও মানুষ মজা পাবে। বাকি গানগুলো রয়েছে সেগুলো মেলোডিয়াস ক্ল্যাসিক্যাল।
গান নিয়ে আপনার আগামী পরিকল্পনার জানতে চাই।
এই প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে আমি বেশি উৎসাহী। দেখা যাক সেইরকম সুযোগ হলে তাদের নিয়ে কাজ করব। আরও কিছু লিজেন্ডারি শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চাই।
Comments