‘এদেশে এসে ইলিশ খাওয়া হবে না তা কি হয়?’

Rituparna
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় তারকা। বাংলাদেশেও বেশকিছু সিনেমা করেছেন। তিনি এখন বাংলাদেশে। কয়েকদিন হলো বাংলাদেশে নতুন একটি সিনেমার শুটিং করছেন। নোয়াখালীর একটি প্রত্যন্ত এলাকায় চলছে সেই শুটিং। সিনেমার নাম ‘গাঙচিল’। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল সিনেমাটি পরিচালনা করছেন। সেখান থেকে মুঠোফোনে ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা।

কবে এসেছেন বাংলাদেশে?

এই তো অল্প কয়েকদিন হলো। ‘গাঙচিল’ নামের একটি সিনেমা করার জন্য এসেছি। নোয়াখালী জেলার একটি গ্রামে শুটিং করছি। আগামী ২৯ তারিখে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

কেমন লাগছে বাংলাদেশের গ্রামে শুটিং করতে?

ভীষণ ভালো লাগছে। অসম্ভব সুন্দর একটি গ্রাম। নদী আছে। প্রচুর সবুজ গাছপালা। সবুজটা আমাকে দারুণ আকর্ষণ করছে। নদীটাও। সহশিল্পী হিসেবে ফেরদৌস ও পূর্ণিমাকে পেয়েছি। এজন্য আরও ভালো লাগছে।

বাংলাদেশের ইলিশের কথা তো জানেন, এবার এসে ইলিশের স্বাদ নিয়েছেন?

অবশ্যই। বাংলাদেশে এসে ইলিশ খাওয়া হবে না, তা কি হয়? তাজা ইলিশ আনা হয়েছিলো। সেই ইলিশ খেয়েছি। অনেক স্বাদ। এছাড়াও, কুমিল্লা থেকে রসমালাই আনা হয়েছিলো। খেয়েছি- সত্যি, ভীষণ মজার।

‘গাঙচিল’ সিনেমায় আপনাকে কীভাবে দেখা যাবে?

‘গাঙচিল’-এ আমি অভিনয় করবো বিজলী চরিত্রে। সবটুকু না বলি। এটুকু বলি বিজলী অনেক সুন্দর একটি চরিত্র। কাজ করার সুযোগ আছে। স্পেশাল চরিত্রও বলতে পারেন। দর্শকদের ভালো লাগা দিতে পারার সুযোগ আছে।

যতো দূর জানি ঢাকার আরও একটি সিনেমায় কাজ করবেন…

ঠিকই বলেছেন। ওই সিনেমাটি নায়ক মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত হচ্ছে। নায়ক মান্নার সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক ছিলো। তার স্ত্রী শেলী আমাকে কাজটি করার জন্য বলেছেন। সিনেমার নাম ‘জ্যাম’। আবারও আসতে হবে ওই সিনেমার জন্য।

এদেশের কোন বিষয়টি আপনাকে বেশি আকর্ষণ করে?

এখানকার মানুষের আতিথেয়তা। এখানকার খাবার। বিশেষ করে এখানকার মানুষের আন্তরিকতা ও আতিথেয়তাটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে। এটা ভুলবার নয়।

কলকাতায় আপনি কতোটা ব্যস্ত সিনেমা নিয়ে?

অনেক ব্যস্ত। বেশ কয়েকটি সিনেমা আমার হাতে রয়েছে। সম্প্রতি ওখানে নতুন একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। আমি এদেশেও সিনেমা করতে চাই। শিল্পীর কাজই তো অভিনয় করা। নিজ দেশের পাশাপাশি এখানকার ভালো কিছু কাজে নিজেকে দেখতে চাই।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

8h ago