‘অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজের ভালোলাগাটা বিসর্জন দেইনি’

kumar bishwajit
কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। তার কণ্ঠের গান শ্রোতারা পছন্দ করেন সবসময়। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তার সংগীতে সফলতার সংজ্ঞা, অনুপ্রেরণা আর নতুন কণ্ঠশিল্পীদের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে।

সফলতার সংজ্ঞা কী আপনার কাছে?

আমার কাছে সফলতার সংজ্ঞা হলো একাগ্রতা, অনুশীলন আর পরিশ্রম। যতোটুকু সফলতা পেয়েছি তার পেছনে এসব কিছুর অবদান রয়েছে। এগুলো ছাড়া সফল হতে পারতাম না।

একজন সফল সংগীতশিল্পী বলা হয় আপনাকে।

আমি সফল কী না জানি না। সবকিছুর একটা কেমিস্ট্রি থাকে। সংগীতের একটা কেমিস্ট্রি আছে, কিছু অঙ্ক থাকে। এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করেছি। সেই কারণে এতোটা পথ অতিক্রম করতে পেরেছি। নিজে খুশি না হলে কোনো কাজ করিনি আজ পর্যন্ত। অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজের ভালোলাগাটা বিসর্জন দেইনি।

এই সফলতার পেছনে কাদের অবদান রয়েছে?

যেকোনো কাজে সফল হতে গেলে পরিবারের একটা ভূমিকা থাকে। আমার বেলাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পরিবারের অপার ভালোবাসা পেয়েছি। সংগীতে তারা আমাকে সুযোগ দিয়েছে। ভালো ভালো গান করার বিষয়ে সহযোগিতা করেছে। বিশেষভাবে হ্যাপী আখন্দ, লাকী আখন্দ এবং মো. আবু তাহের, গোলাম মোস্তফা, স্বপন ভট্টাচার্য, আলাউদ্দিন আলী, আল মনসুর আর সাকিনা সরোয়ার সবার কাছে আমার অনেক ঋণ। তারা না থাকলে এখানটায় দাঁড়াতে পারতাম না।

সফল কোন শিল্পীদের নিজের আদর্শ মনে করেন?

যাদের গান শুনে শুনে নিজেকে তৈরি করেছি তাদের সবাই আমার আদর্শ। তাদের গান না শুনলে হয়তো আজকের আমি হতাম না। তাদের গায়কী, গানের ভঙ্গি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। তবে আমি মান্না দে আর কিশোর কুমারের গানের ভীষণ ভক্ত।

সফল হতে হলে তার কী ধরনের গুণাবলি থাকা প্রয়োজন?

সফল হতে বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে। ধৈর্য না থাকলে কোনো কিছু করা যাবে না। সময়কে বুঝতে হবে। সময়কে বুঝে নিজের ঐতিহ্যকে বুকে ধারণা করে এগিয়ে যেতে হবে।

নতুনদের প্রতি আপনার পরামর্শ কী?

খ্যাতির পেছনে দৌড়ালে চলবে না। একান্তভাবে নিজের মনে কাজ করে যেতে হবে। সহজলব্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সময় বলে দেবে কতোদূর যাবে। কাজের মধ্যে ভার্সেটাইলিটি থাকতে হবে।

সফলতাকে কীভাবে পরিমাপ করেন?

‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’, ‘চতুর্দোলায় চড়ে’ গানের সফলতার পর ‘চন্দনা গো’ গানটি শ্রোতারা পছন্দ করেন। তারপর ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’ গানটিও তারা গ্রহণ করেন। সবকিছু ধাপে ধাপে এসেছে। কোনোকিছুর জন্য তাড়াহুড়ো করিনি। এরপর ‘ছোট ছোট আশা’ গানটিও শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। একটি ধারাবাহিকতা রয়েছে সবকিছুর মধ্যে। আর সফলতার পরিমাপ করা যায় না।

Comments

The Daily Star  | English

Why Dhaka has become unliveable

To survive Dhaka, you need a strategy. Start by embracing the absurd: treat every crisis as a plot twist.

12h ago