মানুষের জীবনের মূল্যে মেয়র শিখছেন!
১. “আমরা চেষ্টা করছি, ভুল তো হতেই পারে। শিখতে গেলে ভুল হবে, তবে এক সময় তো ঠিক হবে। আমার সততার কোনো অভাব নেই। তবে অভিজ্ঞতার অভাব আছে’’- কথাগুলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের।
আপনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু, আপনার অভিজ্ঞতা নেই। ডেঙ্গু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিজ্ঞতা না থাকায় আপনি এডিস মশা নিধন করতে পারছেন না। ‘চেষ্টা’ করছেন। ভুল করছেন, শিখছেন। আপনার শেখার ইচ্ছেয়, আন্তরিকতা-সততার হয়ত ঘাটতি নেই। অভিজ্ঞতা-দক্ষতা না থাকায়, আপনার ভুল করতে করতে শেখার পরিণতিতে মারা যাচ্ছেন মানুষ। আপনারা ১৪ জন বললেও, ইতিমধ্যে মারা গেছেন অর্ধ শতকের বেশি মানুষ।
দুষ্টু শিশুদের কাছে ব্যাঙকে ঢিল ছুঁড়ে মারা একটি খেলা, আর ব্যাঙের জন্যে তা মৃত্যুর কারণ!
অনভিজ্ঞ-অদক্ষ ড্রাইভারকে চালকের আসনে বসিয়ে আপনি নিশ্চয়ই সেই গাড়িতে উঠবেন না। তবে সুযোগ আছে, ড্রাইভিং স্কুল থেকে ড্রাইভার দক্ষ হয়ে আসতে পারেন। মেয়রগিরি শেখার তো কোনো স্কুল বা একাডেমি নেই যে, অর্থ ব্যয় করে দক্ষ হয়ে উঠবেন। মেয়র তো কোনো শিক্ষানবিশ পদ নয়। বিত্তবান কারো সম্মান-ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যেও তো মেয়র পদ নয়। যিনি সারাজীবন শিখেছেন, অভিজ্ঞতা অর্জন করে দক্ষ-যোগ্য হয়ে উঠেছেন, তিনি হবেন মেয়র। যিনি গাড়ি ভালো চালাতে পারেন, তিনি হবেন ড্রাইভার। অদক্ষ চালককে যদি আপনি গাড়ি চালাতে না দেন, মেয়র কেনো অনভিজ্ঞ-অদক্ষ কেউ হবেন?
অদক্ষ একজন কেনো মেয়র পদে থাকবেন? আপনার অদক্ষতার মূল্য হিসেবে কেনো মানুষকে জীবন দিয়ে দিতে হবে!
২. দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ‘১১টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুমুক্ত’- হঠাৎ করে এমন অভিনব দাবি করলেন মেয়র সাঈদ খোকন। যেখানে ঢাকার এডিস মশা নিধন করা গেলো না বলে ডেঙ্গু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লো, সেখানে ঢাকার ভেতরের কিছু এলাকা এডিস মশা মুক্ত করে ফেলা হলো! কোন সে ম্যাজিক্যাল পদ্ধতি? উত্তরে সাঈদ খোকন বলেছেন “পরিকল্পিতভাবে ডেঙ্গুমুক্ত করেছেন।”
কোন সে পরিকল্পনা? উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ আনছেন কেনো, সাঈদ খোকনের থেকে ‘পরিকল্পনা’ না জেনে!
গত ১ আগস্ট যখন সাঈদ খোকন অভিনব দাবি করেন, তখনই ঢাকা কলেজের হোস্টেলে ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান জেনেছিলাম। ঘোষিত ‘ডেঙ্গুমুক্ত’ এলাকার মধ্যে ঢাকা কলেজ অঞ্চলও আছে। প্রখ্যাত চিকিৎসক এবিএম আবদুল্লাহ জানালেন, এভাবে বিশেষ এলাকা ডেঙ্গুমুক্ত করা যায় না। এটা সম্ভব না।
তারপরও সাঈদ খোকন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন “এলাকা যাচাই করে দেখুন।”
প্রথম আলো মেয়রের ‘ডেঙ্গুমুক্ত’ এলাকায় আংশিক অনুসন্ধান করে শতাধিক ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পেয়েছে।
পূর্বে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাকে তিনি বলেছিলেন ‘গুজব’।
এখন ‘ডেঙ্গুমুক্ত’ এলাকায় ডেঙ্গুর সন্ধান বিষয়ে তিনি কী বলবেন? জানার ইচ্ছে সবারই। কিন্তু, এই লেখা চলাকালে মেয়র সাঈদ খোকন ফোন না ধরায়, তা পাঠকদের জানানো গেলো না। যদিও ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে’, ‘আতঙ্কের কিছু নেই’, ‘মহামারি আকার নেয়নি’, ‘ডেঙ্গু রোগ ভালো হয়ে যায়’- তার এমন বহুবিধ কথার সঙ্গে মানুষ পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬৯ জন। মেয়রদ্বয় ও সরকারের তথ্য, মারা গেছেন ১৪ জন। সরকারি হিসেবে ডেঙ্গু ছড়িয়েছে ৬৩ জেলায়, একমাত্র নেত্রকোনা জেলা ছাড়া সারাদেশে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১ হাজার।
সরকারি হাসপাতালে যারা ভর্তি হচ্ছেন, জেলা সিভিল সার্জনরা যে তথ্য জানাচ্ছেন, সরকার সেটাকেই মৃত ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাবি করে প্রচার করছেন। গণমাধ্যমের তথ্যকে আমলে নিচ্ছেন না।
সরকারের এক সংস্থার সঙ্গে আরেক সংস্থার সংযোগ বা সমন্বয় কোনোটিই নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের সমন্বয় নেই। সমন্বয় নেই এক ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যেও।
সরকারের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন ‘ডেঙ্গুমুক্ত’ এলাকার ঘোষণা দিয়েছেন। আর রোগনিয়ন্ত্রণ শাখা বলছে, তাদের জরিপে এমন কিছু উল্লেখ নেই।
সাধারণ বিবেচনাবোধকে সক্রিয় করলেও বোঝা যাওয়ার কথা যে, এভাবে বিশেষ কয়েকটি এলাকা ডেঙ্গুমুক্ত করা যায় না।
‘প্রয়োজন’ হলে তিনি নাকি মশার কার্যকর ওষুধ প্লেনে করে নিয়ে আসবেন। ‘প্রয়োজন’ শব্দের অর্থ কী? ‘প্রয়োজন’ কবে হবে? বাকি জেলাটিতে ডেঙ্গুরোগ ছড়ানোর পর ‘প্রয়োজন’ হবে? একটি জেলার জন্যে অপেক্ষাপর্ব চলছে?
৩. গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় শ্যামলীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়েছিলাম। ক্যাশ কাউন্টারের সামনে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে আসা রোগীর ভিড়। হইচই চলছে। ডেঙ্গু পরীক্ষার ‘মেডিসিন’ নেই, পরীক্ষা করা যাবে না। কেউ কেউ অন্য একাধিক হাসপাতাল ঘুরে এখানে এসেছেন। কেউ অন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন। ‘মেডিসিন’ নেই মানে ডেঙ্গু পরীক্ষার ‘কিট’ নেই। গত দুই দিনে এই সঙ্কটের তীব্রতা আরও দৃশ্যমান হয়েছে।
কিটের সঙ্কটের অবস্থা যদি ঢাকাতেই এমন হয়, সারাদেশে কেমন হতে পারে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, পাঁচ লাখ কিট বিদেশ থেকে আসছে। মালয়েশিয়া ভ্রমণ সম্পন্ন না করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে মূলত সাংবাদিকদের কারণে। অসম্পূর্ণ ভ্রমণ বিষয়ে জানতে চাওয়ায়, প্রথম সুযোগেই সাংবাদিকদের ধমক দিয়েছেন। ধমক দেওয়ার ব্যাপারটি সম্ভবত তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। কারোরই ভুলে যাওয়ার কথা নয় যে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাবা কর্নেল (অব.) মালেক ছিলেন স্বৈরাচার এরশাদের সময়ে ঢাকার মেয়র। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় কর্নেল মালেক যখন মেয়র, তখন চলেছে ভয়াবহ নিপীড়ন-নির্যাতন। সামরিক স্বৈরাচার আমলের ‘ধমক-দাপট-নিপীড়ন’র কথা কারো ভুলে যাওয়ার কথা নয়। তার ছেলে হিসেবে জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের ধমক দিবেন, সেটিই হয়তো স্বাভাবিক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন “সারাদেশে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করা হচ্ছে”। তিনি দেশবাসীকে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দৈনিক পত্রিকার অর্ধেক পাতা জুড়ে রঙিন বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। ঢাকা শহরে তার ছবিসহ ২৫-৩০টি বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে। মানুষ এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরছেন ডেঙ্গু রোগ সনাক্তের জন্যে। সরকারি হাসপাতালগুলোর সিঁড়ি-বারান্দা সর্বত্র ডেঙ্গু রোগীতে ভরে গেছে।
৪. আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ডেঙ্গু নিয়ে প্রতিদিন কথা বলছেন। কথা বলছেন সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ আরো অনেক নেতা-মন্ত্রী কথা বলছেন।
মশা মারার ওষুধ ‘অকার্যকর-আংশিক অকার্যকর-আংশিক কার্যকর-পুরোপুরি কার্যকর-পুরোপুরি অকার্যকর’- বারবার কথাগুলো আলোচনায় আনছেন তারা। কোনটা যে সঠিক, যারা বলছেন তারাও নিশ্চিত নন।
আদালত জানতে চাইছেন, মশার কার্যকর ওষুধ আমদানি করবে কে, মন্ত্রণালয় না সিটি করপোরেশন? প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যে স্থানীয়সরকার সচিবকে আদালতে যেতে হয়েছে। সন্তোষজনক উত্তর মেলেনি। আদালত বলেছেন, ওষুধ সিটি করপোরেশনকেই আমদানি করতে হবে। উত্তরের মেয়র বলেছেন, দুই-এক দিনের মধ্যে মশার কার্যকর ওষুধের নমুনা আসবে। সেই নমুনা পরীক্ষায় কার্যকর প্রমাণের পর ওষুধ আমদানি করা হবে।
ওষুধ যে কোন প্রক্রিয়ায় আসবে, কবে আসবে, আদৌ আসবে কী না, সম্পূর্ণ ধোঁয়াশা বিরাজমান।
গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, ভারত থেকে নমুনা ওষুধ এনেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেলো, যে ওষুধের নমুনা আনা হয়েছে তা পানিতে মিশিয়ে দিতে হয়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওষুধ ছিটানোর মেশিন আছে নয়’শর মতো। যার কমপক্ষে অর্ধেক অকেজো হয়ে পড়ে আছে। পানি মিশ্রিত ওষুধ ছিটানো যায় এমন সচল মেশিনের সংখ্যা একশটির মতো। বাকি সচল মেশিনগুলো ডিজেল মিশ্রিত ওষুধ ছিটানোর উপযোগী। তাহলে পানি মিশ্রিত ওষুধ আনা হলো কেনো? কেনো মোট মেশিনের অর্ধেকের বেশি অকেজো?
ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা বলছেন ‘সম্মিলিতভাবে’ ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে। অথচ দুই সিটি করপোরেশন এক সঙ্গে ‘সম্মিলিতভাবে’ মশার কার্যকর ওষুধ আনার উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়নি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আনা নমুনা ওষুধেও মশা মরছে না।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আবার কবে কোন ওষুধ আনবে? উত্তর সিটি করপোরেশন কবে কোন নমুনা ওষুধ আনবে? পরীক্ষায় মশা না মরলে আবার নতুন নমুনা ওষুধ আনা হবে, পরীক্ষা হবে...! ঢাকা নিয়ে পরীক্ষা -নিরীক্ষা-বক্তৃতা চলছে, সারাদেশের মানুষ নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায়ও নেই।
সাঈদ খোকন বলেছেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তার এলাকা সম্পূর্ণ ডেঙ্গুমুক্ত করে ফেলবেন।
মশা বিষয়ে জাপান থেকে পিএইচডি করে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশারের পর্যবেক্ষণ, “এডিস মশা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে।’’
তবে যে ম্যাজিকে ‘১১ ওয়ার্ড ডেঙ্গুমুক্ত’ করেছেন, সেই ম্যাজিকে কিছুই যদিও অসম্ভব নয়।
৫. দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন থাকেন উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়। প্রতিদিন তিনি গাড়ির বহর নিয়ে পরিদর্শনে বের হচ্ছেন। নির্মাণাধীন ভবনে জমানো পানি পাওয়ায় একজনকে সাতদিনের জেলদণ্ড দিয়েছেন। নগরবাসীকে হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন।
উত্তরের মেয়রও হুমকির পথ বেছে নিয়েছেন। বলেছেন “বাড়িতে বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত যাবে।”
ডেঙ্গুর ভয়াবহতার কথা গত মার্চ মাস থেকে জানতেন মেয়রদ্বয় ও মন্ত্রী। কিছুই করেননি। যাদের কারণে ডেঙ্গু ঢাকার সর্বত্র ছড়িয়ে গেলো, সারাদেশের ছড়ালো, তাদের কিছু হবে, আশা-প্রত্যাশার কারণ নেই।
৬. দেশের মানুষের ক্ষমতা বা অধিকার বিষয়ে জাপানের একটি ঘটনা দিয়ে লেখা শেষ করি।
জাপানের পুনর্গঠন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমামুরা ভূমিকম্প-সুনামিতে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত তোহকু অঞ্চল চকচকে-ঝকঝকে করে গড়ে তুলতে সময় নিয়েছিলেন মাত্র ৬ মাস। খরচ হয়েছিলো ২৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে এসে মন্ত্রী ইমামুরা বলেন-
“ভূমিকম্প ও সুনামি টোকিওতে হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বাড়তো, খরচ বহুগুণ বেশি হতো। তোহকু-তে হওয়ায় ভালো হয়েছে।”
কয়েক মিনিটের মধ্যে গণমাধ্যমে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল। ‘তোহকু-তে হওয়ায় ভালো হয়েছে’-একথায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করলেন জাপানিরা। তার বিরুদ্ধে জাপানিদের ক্ষোভ, মন্ত্রী অর্থের দিকেই শুধু গুরুত্ব দিয়েছেন। মানুষের প্রতি তিনি সংবেদনশীল নন। এমন মানুষ মন্ত্রী থাকতে পারেন না।
প্রধানমন্ত্রী অ্যাবে তখন ছিলেন একটি ডিনার পার্টিতে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জানানো হলো। তিনি তখনই উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন।
পরদিন সেই সফল মন্ত্রী ইমামুরা পদত্যাগ করেন।
s.mortoza@gmail.com
Comments