পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

shakib al hasan
ছবি: রয়টার্স

বড় রান তাড়ায় একমাত্র সাকিব আল হাসান যা লড়াই করলেন। অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তুলে নিলেন আসরে নিজের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। বাকিরা কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারলেন না, পারলেন না বড় ইনিংস খেলতে। ফলে বিশ্বকাপের শেষটা বাংলাদেশের জন্য হলো হতাশায় মোড়ানো।

বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ (৫ জুলাই) লর্ডসে পাকিস্তানের কাছে ৯৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। সরফরাজ আহমদদের ছুঁড়ে দেওয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মাশরাফি বিন মর্তুজারা ৩৫ বল বাকি থাকতেই ২২১ রানে অলআউট।

৯.১ ওভার বোলিং করে মাত্র ৩৫ রানে ৬ উইকেট নেন পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়ায় অনুমিতভাবেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার গেছে এই ১৯ বছর বয়সী পেসারের ঝুলিতে। টাইগারদের হয়ে ৭৭ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাকিব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৩১৫/৯ (৫০ ওভারে) (ফখর ১৩, ইমাম ১০০, বাবর ৯৬, হাফিজ ২৭, সোহেল ৬, ইমাদ ৪৩, সরফরাজ ৩*, ওয়াহাব ২, শাদাব ১, আমির ৮, শাহিন ০*; মিরাজ ১/৩০, সাইফউদ্দিন ৩/৭৭, মোস্তাফিজ ৫/৭৫, মাশরাফি ০/৪৬, সাকিব ০/৫৭, মোসাদ্দেক ০/২৭)।

বাংলাদেশ: ২২১ (৪৪.১ ওভারে) (তামিম ৮, সৌম্য ২২, সাকিব ৬৪, মুশফিক ১৬, লিটন ৩২, মাহমুদউল্লাহ ২৯, মোসাদ্দেক ১৬, সাইফউদ্দিন ০, মিরাজ ৭*, মাশরাফি ১৫, মোস্তাফিজ ১; হাফিজ ০/৩২, আমির ১/৩১, শাহিন ৬/৩৫, ওয়াহাব ১/৩৩, ইমাদ ০/২৬, শাদাব ২/৫৯)।

শাহিনের ৬ উইকেট

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার এখন শাহিন শাহ আফ্রিদির। তার ষষ্ঠ শিকার হলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত ইয়র্কার ঠেকানোর কোনো উপায় জানা ছিল না দ্য ফিজের। ২২১ রানে শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

স্ট্যাম্পড মাশরাফি

১৪ বলে দুই ছক্কায় ১৫ রান করে শাদাব খানের বলে স্ট্যাম্পিং হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২০/৯।

শাহিনের পঞ্চম শিকার মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহকে বোল্ড করে নিজের পঞ্চম উইকেটের দেখা পেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪১তম ওভারে তিন বলের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ১৯ বছর বয়সী শাহিন।

ওভারের প্রথম বলে তিনি  মোহাম্মদ আমিরের ক্যাচে পরিণত করেন সাইফউদ্দিনকে, আর তৃতীয় বলে দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহকে। একাদশে ফেরা মাহমুদউল্লাহ করেন ৪১ বলে ২৯ রান।

১৯৮ রানে ৮ উইকেট খুইয়ে হার দেখছে বাংলাদেশ। ৬ বলের মধ্যে দলের সংগ্রহে মাত্র ১ রান যোগ করতে ৩ উইকেট হারাল টাইগাররা।

ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ১৯৯। ক্রিজে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

রানের খাতা খোলার আগেই আউট সাইফউদ্দিন

শাহিন শাহ আফ্রিদির চতুর্থ শিকার হলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এক বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৯৭ রানে সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

মোসাদ্দেককে ফেরালেন শাদাব

প্রয়োজনীয় ওভারপ্রতি রানের মাত্রাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তার সঙ্গে পাল্লা নিয়ে বাউন্ডারি আদায় করে নিতে পারছিলেন না মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ। তাই আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা চালালেন মোসাদ্দেক। কিন্তু শাদাব খানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়লেন বাবর আজমের হাতে। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ১৬ রান।

৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৭/৬। উইকেটে আছেন মাহমুদউল্লাহ ২৯ ও মাত্রই নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ০ রানে। জয়ের জন্য ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে টাইগারদের দরকার ১১৯ রান।

সাকিবের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ

৭৭ বলে ৬৪ রান করে উইকেটের পেছনে সরফরাজ আহমেদের হাতে ধরা পড়লেন সাকিব আল হাসান। তার উইকেটটিও নিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। সাকিবের বিদায়ে ভীষণ বিপদে পড়ল বাংলাদেশ।

আউট হওয়ার আগে এবারের আসরে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয়শো রান পূরণ করেন সাকিব। আট ইনিংসে ৮৬.৫৭ গড়ে তার রান ৬০৬। রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনিই সবার উপরে।

দলীয় ১৫৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৩৩ ওভার শেষে দলের স্কোর ১৬১/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ ৮ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ১৭ ওভারে টাইগারদের চাই ১৫৫ রান।

বিদায় নিলেন লিটন

উইকেটে থিতু হয়ে বিদায় নিলেন লিটন দাসও। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যখনই তার জুটি জমে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তখনই সাজঘরে ফিরলেন তিনি। হলেন শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার। ফের স্লোয়ার বলে সাফল্য পেলেন এই বাঁহাতি বোলার।

লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৩২ রান। তিনি আউট হওয়ায় ভাঙল বাংলাদেশের ৬৫ বলে ৫৮ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

২৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৩৯ রান। ক্রিজে সাকিব ৫৭ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ আছেন ১ রানে।

সাকিবের হাফসেঞ্চুরি

এবারের আসরে আট ম্যাচের সবকটিতে ব্যাটিং করে একটি বাদে প্রতিটি ইনিংসেই পঞ্চাশের বেশি রান করার কীর্তি দেখালেন সাকিব আল হাসান। ২৬তম ওভারে ৬২ বলে ফিফটি পূরণ করলেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি পূরণের পথে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই তারকা হাঁকান পাঁচটি চার।

বাংলাদেশের দলীয় একশো

২৩তম ওভারে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলল। ইমাদ ওয়াসিমের ওই ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে দলের সংগ্রহ শতরান পার করান সাকিব আল হাসান। পাকিস্তান দলীয় সেঞ্চুরি পূরণ করেছিল ২২তম ওভারে। তবে বাংলাদেশ তিন উইকেট হারালেও, তারা হারিয়েছিল মাত্র একটি উইকেট।

মুশফিকের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ

ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। বাঁহাতি পেসারের ডেলিভারিটি টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়।

১৯ বলে ১৬ রান করে বিদায় নিলেন মুশফিক। দলীয় ৭৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম তিনটি জুটির কোনোটিই জমল না। বড় লক্ষ্য তাড়ায় যে ভিত দরকার ছিল, তা পেল না বাংলাদেশ।

১৮ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৯ রান। ক্রিজে ৩১ রান করা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বাঁধতে এলেন লিটন দাস।

টিকলেন না তামিমও

বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটাও তামিম ইকবালের মনের মতো হলো না। সাদামাটা একটি আসর কাটানো এই বাঁহাতি তারকা ২১ বল খেলে মাত্র ৮ রান করলেন।

দলীয় ৪৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হলো বাংলাদেশের। শাহিন শাহ আফ্রিদির স্লোয়ার বল তামিমের প্যাড ছুঁয়ে আঘাত করে উইকেটে।

১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৯ রান। ক্রিজে ১৮ রান করা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দিলেন মুশফিকুর রহিম।

আমিরই ফেরালেন সৌম্যকে

সেই মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়েই সাজঘরে ফিরলেন সৌম্য সরকার। কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন সুযোগ। পয়েন্টে ক্যাচ দিলেন ফখর জামানের হাতে। তাতে বিশ্বকাপে সৌম্যর আরেকটি সম্ভাবনাময় ইনিংসের অকালমৃত্যু হলো। ২২ বলে ৪ চারে ২২ রান করেন বাঁহাতি তারকা।

ষষ্ঠ ওভারে দলীয় ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৬ ওভার শেষে টাইগারদের স্কোর ২৭/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী ফর্মের তুঙ্গে থাকা সাকিব আল হাসান।

শুরুতেই জীবন পেলেন সৌম্য

মোহাম্মদ আমিরের প্রথম ও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটের পেছনে একেবারে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু বল হাতে জমাতে পারেননি হারিস সোহেল। ব্যক্তিগত ৬ রানে জীবন পেলেন বাঁহাতি সৌম্য।

এই মুহূর্তটা বাদ দিলে টাইগারদের শুরুটা বেশ ভালো হয়েছে। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ২২ রান। উইকেটে সৌম্য ১৮ ও তামিম ৪ রানে ব্যাট করছেন।

৩১৬ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে পাকিস্তানকে চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ইমাম উল হক ও বাবর আজম ১৫৭ রানের বিশাল জুটি গড়ে উল্টো চাপে ফেলে দেন টাইগারদের। তাদেরকে ফেরানোর পর নিয়মিত বিরতিতে পাকিস্তানের উইকেট তুলে নিতে থাকেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে শেষ দিকে ইমাদ ওয়াসিমের ক্যামিও ইনিংসে তিনশো পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।

বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেটের দেখা পেলেন মোস্তাফিজ। আট ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা মোট ২০টি। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে ২০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। এছাড়া সাইফউদ্দিন নেন ৩ উইকেট। পাকিস্তানের পক্ষে ইমাম ১০০ বলে ১০০, বাবর ৯৮ বলে ৯৬ ও ইমাদ ২৬ বলে ৪৩ রান করেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ৩১৫/৯ (৫০ ওভারে) (ফখর ১৩, ইমাম ১০০, বাবর ৯৬, হাফিজ ২৭, সোহেল ৬, ইমাদ ৪৩, সরফরাজ ৩*, ওয়াহাব ২, শাদাব ১, আমির ৮, শাহিন ০*; মিরাজ ১/৩০, সাইফউদ্দিন ৩/৭৭, মোস্তাফিজ ৫/৭৫, মাশরাফি ০/৪৬, সাকিব ০/৫৭, মোসাদ্দেক ০/২৭)।

মোস্তাফিজের পাঁচ উইকেট

ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরকে সাজঘরে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট নেওয়ার স্বাদ নেন মোস্তাফিজুর রহমান।

দুর্দান্ত ক্যাচে শাদাবকে ফেরালেন মোস্তাফিজ

নিজের বলে নিজেই দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে শাদাব খানকে আউট করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচে এটি তার তৃতীয় উইকেট। শাদাবের ব্যাট থেকে এলো ১ রান।

৪৭.১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৯ রান। সবশেষ ৪৩ রানের মধ্যে দলটির ৫ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ।

সাইফউদ্দিনের ইয়র্কারে বোল্ড ওয়াহাব

পাকিস্তানের দলনেতা সরফরাজ আহমেদ আহত অবসরে যাওয়ায় উইকেটে আসেন ওয়াহাব রিয়াজ। তবে তাকে থিতু হতে দিলেন না মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত ইয়র্কারে উপড়ে নিলেন স্ট্যাম্প। সাইফউদ্দিনের তৃতীয় শিকার ওয়াহাবের সংগ্রহ ২ রান।

৪৭ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৯ রান।

মোস্তাফিজের ১০০তম শিকার সোহেল

হারিস সোহেলকে আউট করে ৫৪তম ওয়ানডেতে শততম উইকেটের দেখা পেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সোহেলের সংগ্রহ ৬ বলে ৬ রান। দলীয় ৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেটের পতন হলো পাকিস্তানের।

৪৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৬ রান। উইকেটে ২ রান করা ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গী মাত্রই নামা অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।

বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্রুততম ও ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের চতুর্থ দ্রুততম (যৌথভাবে) বোলার হিসেবে উইকেটের সেঞ্চুরি পূরণ করলেন মোস্তাফিজ। তার মতোই ৫৪তম ম্যাচে ১০০ নম্বর উইকেটটি দখল করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার শেন বন্ড।

হাফিজকে আউট করলেন মিরাজ

দারুণ আঁটসাঁট বোলিং করেও উইকেট পাচ্ছিলেন না মেহেদী হাসাব মিরাজ। অবশেষে নিজের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে অপেক্ষা ঘুচল তার। বিপজ্জনক মোহাম্মদ হাফিজকে ফেরালেন তিনি। ২ রানের মধ্যে ২ উইকেট খোয়াল পাকিস্তান।

হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২৭ রান। ৪৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪৮ রান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল ও ইমাদ ওয়াসিম।

মোস্তাফিজের বলে হিট উইকেট ইমাম

সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পরপরই সাজঘরে ফিরলেন ইমাম উল হক। মোস্তাফিজুর রহমানের ওভারের পঞ্চম বলে হিট উইকেট হলেন এই বাঁহাতি। ১০০ বল খেলে ঠিক ১০০ রান করলেন তিনি। ইমামের বিদায়ে ভাঙল হাফিজের সঙ্গে তার ৫৯ বলে ৬৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

৪২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪৬ রান।

সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ইমাম

বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ২৩ বছর বয়সী ইমাম উল হক। মোস্তাফিজুর রহমানের করা ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলে তিন অঙ্কে পৌঁছালেন তিনি। ৯৯ বলে সাতটি চারের সাহায্যে বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে শতরান করার রেকর্ড গড়লেন এই বাঁহাতি।

সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার বাবর

দুবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না! পেলেন না সেঞ্চুরি! ৯৮ বলে ৯৬ রান করা বাবর আজমকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরালেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পেলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।

নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হওয়ার আগে ইমাম উল হকের সঙ্গে ১৪৮ বলে ১৫৭ রানের বিশাল এক জুটি গড়েন বাবর। তার বিদায়ে বাংলাদেশ শিবিরে নেমে এলো স্বস্তি। দলের একমাত্র রিভিউটিও নষ্ট করে গেলেন ডানহাতি বাবর।

৩২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮০ রান। উইকেটে ৬৩ রান করা ইমামের সঙ্গী হতে মাত্রই নামলেন মোহাম্মদ হাফিজ।

ফের জীবন পেলেন বাবর

এক ওভারের ব্যবধানে আবার জীবন পেলেন বাবর। মোসাদ্দেকের করা ২৭তম ওভারের পঞ্চম বলটি তার ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে গিয়েছিল। কিন্তু বুঝে উঠতে পারেননি উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম। বল গিয়ে লাগে তার হাঁটুতে। ব্যক্তিগত ৬৫ রানে দ্বিতীয়বারের মতো বেঁচে গেলেন তিনি।

৩০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৬৩ রান। বাবর ৮৬ ও ইমাম ৫৭ রানে উইকেটে আছেন।

বাবরের পর ইমামের হাফসেঞ্চুরি

বাবর আজমের পর ফিফটি তুলে নিলেন ইমাম উল হকও। ৫২ বলে চারটি চারের সাহায্যে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে তিন রান নিয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন এই বাঁহাতি।

বাবরকে জীবন দিলেন মোসাদ্দেক

ইমাম-বাবরের জমে ওঠা জুটি ভাঙতে বোলিং পরিবর্তন করে ইনিংসের ২৬তম ওভারে আক্রমণে আনা হলো মোস্তাফিজুর রহমানকে। তিনি সুযোগও তৈরি করলেন। কিন্তু পয়েন্টে বাবরের তোলা ক্যাচ হাতে জমাতে পারলেন না মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে জীবন পেলেন তিনি।

স্বচ্ছন্দ ব্যাটিংয়ে বাবরের ফিফটি

ক্রিজে যাওয়ার পর থেকেই স্বচ্ছন্দে ব্যাটিং করছেন পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরিও। ৬২ বলে চারটি চারের সাহায্যে ফিফটি ছুঁয়েছেন তিনি।

বাবরের ব্যক্তিগত অর্জনের আগে দলীয় শতরান পূরণ হয়েছে পাকিস্তানের। ২২তম ওভারের তৃতীয় বলে তিন অঙ্কে পৌঁছায় দলটির স্কোর।

ইমাম-বাবরের ব্যাটে এগোচ্ছে পাকিস্তান

ফখর জামানের উইকেট হারালেও শুরুতে বাংলাদেশের বোলারদের তৈরি করা চাপকে জেঁকে বসতে দিচ্ছেন না ইমাম উল হক ও বাবর আজম। পঞ্চাশোর্ধ্ব একটি জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছন তারা। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৬৪ বলে ৬১ রান।

১৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৮৪/১। উইকেটে ইমাম ২৮ ও বাবর ৩৮ রানে ব্যাট করছেন।

প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩৮ রান তুলতে পেরেছিল পাকিস্তান। এরপর রানের গতি বাড়িয়েছেন ইমাম ও বাবর। ৮ ওভারে তারা যোগ করেছেন ৪৬ রান।

ফখরকে ফেরালেন সাইফউদ্দিন

পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হলো না বাংলাদেশকে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে পয়েন্টে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকা ফখর জামান। ৩১ বল খেলে ১৩ রান করেন এই বাঁহাতি।

৭.২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান। উইকেটে ইমাম উল হকের সঙ্গী মাত্রই নামা বাবর আজম।

পাকিস্তানের সাবধানী শুরু

দেখেশুনে ইনিংস শুরু করেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। আঁটসাঁট বোলিং করে তাদেরকে চাপে রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আরেক প্রান্তে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও শুরুটা ভালো করেছেন।

৬ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২২ রান। উইকেটে আছেন ফখর জামান ১২ ও ইমাম উল হক ১০ রানে।

তবে ফখরকে রানআউট করার একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রো স্ট্যাম্পে লাগলে নিশ্চিতভাবেই সাজঘরে ফিরতেন এই বাঁহাতি।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান

প্রতিযোগিতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। কিন্তু টাইগারদের জন্য এটা মর্যাদার লড়াই। সেই সঙ্গে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করার প্রত্যাশা তো আছেই। দলের কোচ স্টিভ রোডসও জানিয়েছেন, জয় পেতে মরিয়া তার শিষ্যরা।

শেষটা রাঙাতে চাওয়ার ম্যাচে অবশ্য টসে হেরেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টসে জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।

বিশ্বকাপে মাশরাফির শেষ ম্যাচ

নিজের শেষ বিশ্বকাপের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচটি খেলতে নেমেছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টসের সময় নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত তারকা জানিয়ে দেন, তিনি শতভাগ নিশ্চিত যে বিশ্বকাপের মঞ্চে এটাই তার শেষ ম্যাচ।

ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ-মিরাজ

চোটের কারণে আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি ফিরেছেন এ ম্যাচের একাদশে। বাদ পড়েছেন সাব্বির রহমান। আর রুবেল হোসেনকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের জন্য। নেটে ব্যাটিংয়ে চোট পাওয়া মুশফিকুর রহিমও খেলছেন শঙ্কা কাটিয়ে।

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

অপরিবর্তিত পাকিস্তান একাদশ

পাকিস্তানের একাদশে কোনো বদল আসেনি। আফগানিস্তানকে হারানোর ম্যাচের একাদশে থাকা সবাই খেলছেন এ ম্যাচে।

পাকিস্তান: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল, সরফরাজ আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।

বিশ্বকাপের সেরা দশ ব্যাটসম্যানের তালিকায় ঢুকতে সাকিবের চাই ১৯ রান

বিশ্বকাপে ২৮ ম্যাচের সবকটিতে ব্যাটিং করে সাকিব আল হাসান ৪৫.০৮ গড়ে করেছেন ১ হাজার ৮২ রান। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি আছেন ১৩ নম্বরে।

৪০ ম্যাচের ৩৪ ইনিংসে ৩৫.৪৮ গড়ে ঠিক ১ হাজার ১০০ রান নিয়ে দশ নম্বরে আছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। অর্থাৎ মাত্র ১৯ রান করলেই জয়াবর্ধনেকে টপকে সেরা দশে জায়গা করে নেবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব।

ইতিহাস গড়ার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে

আট ম্যাচে খেলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে তালিকার পাঁচে আছে পাকিস্তান। সমান ম্যাচে বাংলাদেশের অর্জন ৭ পয়েন্ট। টাইগাররা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার সাত নম্বরে।

এ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে পয়েন্ট তলিকার পাঁচ নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের একক আসরে চারটি ম্যাচ জেতার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। ২০০৭, ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপের পর এবারও তিনটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে।

সেমিফাইনালে উঠতে পাকিস্তানকে যা করতে হবে

পাকিস্তান যদি বাংলাদেশকে হারায় তবে তাদের পয়েন্ট বেড়ে হবে ১১। নিউজিল্যান্ডের পয়েন্টও ১১। তাছাড়া দুদলের জয়ের সংখ্যা তখন হবে সমান পাঁচটি। তাই সেমিতে খেলতে হলে পাকিস্তানকে টপকাতে হবে কিউইদের রানরেট।

নিউজিল্যান্ডের নেট রান রেট ০.১৭৫। পাকিস্তানের নেট রান রেট -০.৭৯২। কিউইদের রান রেট ছাড়িয়ে যেতে হলে পাকিস্তানকে জিততে হবে রেকর্ড ব্যবধানে। তারা যদি স্কোরবোর্ডে ৩৫০ রান তোলে, তাহলে জিততে হবে ৩১১ রানে! ৪০০ রান তুললে ৩১৬ রানে অথবা ৪৫০ রান তুললে ৩২১ রানে জিততে হবে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

16h ago