লাইভ আপডেট

পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

Imam-ul-Haq
ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ 

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে বাংলাদেশকে দেখা গেল একদমই বিবর্ণ। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে আগে ব্যাটিং পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন ব্যাটাররা। তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারের বেশি বাকি থাকতে স্রেফ ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। এই অল্প পূঁজি নিয়ে লড়াই করা সম্ভব ছিল না, হয়ওনি। ৬৩ বল বাকি থাকতে এই রান পেরিয়ে ৭ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান।  দলকে জেতাতে ফিফটি করেন ইমাম উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

বাংলাদেশ: ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ (নাঈম ২০, মিরাজ ০, লিটন ১৬, সাকিব ৫৩, হৃদয় ২, মুশফিক ৬৪, শামিম ১৬, আফিফ ১২, তাসকিন ০, শরিফুল ১, হাসান ১*; শাহিন ১/৪২, নাসিম ৩/৩৪, হারিস ৪/১৯, ফাহিম ১/২৭, শাদাব ০/৩৫, সালমান ০/১১, ইফতেখার ১/২০)।

পাকিস্তান: ৩৯.৩ ওভারে ১৯৪/৩   (ফখর ২০, ইমাম ৭৮, বাবর ১৭, রিজওয়ান ৬৩* , সালমান ১২* ;  তাসকিন  ১/৩২, শরিফুল ১/২৪, হাসান ০/৪৬, মিরাজ ১/৫১, সাকিব ০/৩১, শামীম ০/৮) 

ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী। 

রিজওয়ানের ফিফটি 

ইমাম উল হকের পর ফিফটি পেয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ৭১ বলে ফিফটি করে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিন। ৩৮ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১৮০। 

ইমামকে ফেরালেন মিরাজ

ইমাম উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটি ভেঙেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮৪ বলে ৭৮ রান করা বাঁহাতি ওপেনারকে বোল্ড করে দিয়েছেন তিনি। ৩৩তম ওভারে ১৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। ইমামের আউটে ভেঙেছে রিজওয়ানের সঙ্গে তার ৮৫ রানের জুটি। উইকেট পেলে বড্ড দেরি হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ম্যাচ জিততে ১৭ ওভার থেকে স্রেফ ৩৫ রান চাই স্বাগতিকদের।

ইমাম-রিজওয়ানের ব্যাটে জয়ের পথে পাকিস্তান 

বাবর আজমকে আউট করার পর আর কোন সাফল্য পায়নি বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন ইমাম উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাদের ব্যাটে অনায়াসে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। ৩২ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ১৪৮ রান। ইমাম ৬৮ আর রিজওয়ান খেলছেন ৩৯ রান নিয়ে। জুটিতে এসে গেছে ৭৪ রান। 

ইমামের ফিফটি, লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছে পাকিস্তান

কয়েকবার পরাস্ত হলেও উইকেট ছুঁড়ে না দিয়ে দলকে টানছেন পাকিস্তান ওপেনার ইমাম-উল হক। ৬১ বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছক্কা মেরে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি। তার ফিফটিতে ২৫ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ১১৪। ৬৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত আছেন ইমাম, ৩৪ বলে ২০ করে তার সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান। 

এবার রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেলেন ইমাম

আগের দুবার তাকে আউট করতে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। এবার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আম্পায়ার আঙুল তুলেছিলেন। কিন্তু এবার রিভিউ নিয়ে রক্ষা পেয়ে গেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। ৩৯ রানে বেঁচে রান বাড়াচ্ছেন তিনি। ১৯তম ওভারে দলের রান ২ উইকেটে ৮৯।

তাসকিনের বলে বোল্ড বাবর 

দারুণ ছন্দে থাকা পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল হলেন না। তাসকিন আহমেদের বলে ইনসাইড এজড হয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ১৬তম ওভারে ৭৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। ২২ বলে ১৭ করে ফিরে গেছেন বাবর। 

দুটি রিভিউ হারালো বাংলাদেশ  

একাদশ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে পরাস্ত হয়েছিলেন ইমাম-উল হক। আম্পায়ার এলবিব্লডিউর আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু বল ট্রেকিং প্রযুক্তিতে দেখা যায় পিচড আউট সাইড হয়ে তা গিয়েছে ইমামের পায়ে। বাংলাদেশ নষ্ট করে রিভিউ। ১৪তম ওভারে একই পরিস্থিতিতে আবার রক্ষা পান ইমাম। এবার বোলার ছিলেন তাসকিন। ওভার দ্য উইকেটে বাঁহাতি ব্যাটারকে বল করে এলবিডব্লিউ পাওয়ার ব্যর্থ চেস্টা করে বাংলাদেশ। ইমামের পায়ে লাগলেও আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়ে দেখা যায় এবারও বলের পিচড ছিল বাইরে।  

ফখরকে ফেরালেন শরিফুল 

সতর্ক শুরুর পর প্রথম উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। দশম ওভারের প্রথম বলে শরিফুল ইসলামের শিকার হয়েছেন ফখর জামান। শরিফুলের ভেতরে ঢোকে বল ফ্লিকের মতো খেলতে গিয়ে পায়ে লাগান তিনি। আম্পায়ারের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেও রক্ষা হয়নি তার। ৩১ বলে ২০ রান করে ফেরেন পাকিস্তানের ওপেনার। ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। 

ফ্লাড লাইট সমস্যায় খেলা বন্ধ

পঞ্চম ওভারের পর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের তিনটি ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে গেছে। আলো কম থাকায় খেলাও তাই বন্ধ আছে। 

ফখর-ইমামের সতর্ক শুরু

ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে দুইশোর নিচে গুটিয়ে দিয়ে সতর্ক শুরু করেছে পাকিস্তান। দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল হক নতুন বল দেখেশুনে খেলছেন। খুব একটা চাপ না থাকায় তাড়াহুড়োর প্রয়োজন দেখছেন না তারা। ৫ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান বিনা উইকেটে ১৫। 

Haris Rauf
ছবি: এএফপি

৩ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে দুইশোর আগেই থামল বাংলাদেশ

শুরুর মতো শেষটাও হলো একই। দলীয় ৪৭ রানে চার উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। শতরানের জুটিতে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপর তড়িঘড়ি ব্যাটিং করতে গেলে ফের ধস নামে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। শেষ চারটি উইকেট হারায় মাত্র তিন রানের ব্যবধানে। ফলে দুইশও করতে পারলো না টাইগাররা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ (নাঈম ২০, মিরাজ ০, লিটন ১৬, সাকিব ৫৩, হৃদয় ২, মুশফিক ৬৪, শামিম ১৬, আফিফ ১২, তাসকিন ০, শরিফুল ১, হাসান ১*; শাহিন ১/৪২, নাসিম ৩/৩৪, হারিস ৪/১৯, ফাহিম ১/২৭, শাদাব ০/৩৫, সালমান ০/১১, ইফতেখার ১/২০)।

নাসিমের তৃতীয় শিকার শরিফুল

লেজটা দারুণভাবেই ছাঁটাই করলেন নাসিম শাহ। ৩৯তম ওভারে বল করতে এসে জোড়া শিকার করেন তিনি। আফিফ হোসেন কে বিদায় করার পর শরিফুল ইসলামকে বোল্ড করে দেন এই পেসার। মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর রীতিমতো ধস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। মাত্র ৩ রানে হারায় শেষ চারটি উইকেট। 

নাসিমের শিকার আফিফ

মুশফিকুর রহিমের বিদায়ে লেজ বেরিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। এর ঠিক পরের বলে আউট হন তাসকিন আহমেদও। উইকেটে একমাত্র বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ছিলেন আফিফ হোসেনই। কিন্তু তবে আউট হয়েছেন আনাড়ির মতো করেই। নাসিমের কিছুটা বাড়তি বাউন্সের বলে পুল করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন তিনি। মিডঅনে সহজ ক্যাচ তুলে নেন ফাহিম আশরাফ। ১১ বলে ১২ রান করেন তিনি।

প্রথম বলেই আউট তাসকিন

মুশফিকের বিদায়ের পর উইকেটে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে গেলেন তাসকিন আহমেদ। হারিস রউফের কিছুটা বাড়তি বাউন্সের বলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। তাতে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রউফ। ইনিংসের দ্বিতীয় গোল্ডেন ডাক পেলেন তাসকিন। 

রউফের শিকার হলেন মুশফিক

দলের বিপদে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন মুশফিকুর রহিম। ফিফটি তুলে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। হারিস রউফের বলে এগিয়ে এসে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। ৮৭ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬৪ রান করেন মুশফিক।

ফিরে গেলেন শামিম

উইকেটে নেমে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। আগের ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে দারুণ এক ছক্কা হাঁকান নিজের চিরাচরিত শটে। তবে পরের ওভারে ইফতখার আহমেদকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন এই ব্যাটার। মিড-উইকেটে সহজ ক্যাচ লুফে নেন ইমাম উল হক। ২৩ বলে ১৬ রান করেন আফিফ। মুশফিকের সঙ্গে ২৭ রানের জুটি গড়ে আউট হন তিনি।

Mushfiqur Rahim

মুশফিকের ফিফটি

অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পর ফিফটি তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। ওয়ানডেতে এটা তার ২৭তম হাফসেঞ্চুরি। ফাহিম আশরাফের বলের বলে ফাইন লেগে ঠেলে দুই রান নিয়ে অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। ৭১ বলে ৪টি চারের সাহায্যে করেন এই রান।

সাকিবের বিদায়ে ভাঙল জুটি

দলের বড় বিপদে প্রতিরোধ গড়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১০০ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। তবে এর পরপরই আউট হয়ে গেছেন অধিনায়ক। ফাহিম আশরাফের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন তিনি। ৫৭ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব।

Mushfiqur Rahim & Shakib Al Hasan
ছবি:বিসিবি

সাকিব-মুশফিক জুটিতে সেঞ্চুরি

৪৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে বড় বিপদেই পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের চাকাও রেখেছেন সচল। এরমধ্যেই তুলে নিয়েছেন জুটির শতক। ১২০ বলে আসে তাদের জুটির সেঞ্চুরি। যেখানে দুই ব্যাটারেরই অবদান ৪৮ রান করে।

সাকিবের অর্ধশতক

বাংলাদেশের বড় দুরবস্থায় মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলের চাপ উতরে ইনিংস মেরামত করতে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে রানের গতি সচল রেখে নিজেও তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। ৫৩ বলে অর্ধশতক স্পর্শ করেন অধিনায়ক। যেখানে ৭টি চার মেরেছেন তিনি।

বাংলাদেশের দলীয় সেঞ্চুরি

মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের ইনিংস মেরামতের কাজটা দারুণভাবেই করছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এরমধ্যেই এসেছে দলীয় সেঞ্চুরি। অথচ দলীয় ৪৭ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে ছিল তারা।

জীবন পেলেন সাকিব

টানা দুই বলে দুটি বাউন্ডারি মেরে রানের মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটির ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন সাকিব। তবে ফিরতে পারতেন পরের বলেই। নাসিম শাহর বল ঘোরাতে গিয়ে বোলারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবে সে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি নাসিম। এ সময়ে ৩২ রানে ব্যাট করছিলেন সাকিব।

সাকিব-মুশফিক জুটির ফিফটি

৪৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের দিকে তাকিয়ে ছিল টাইগাররা। এখন পর্যন্ত দারুণ ব্যাটিং করছেন এ দুই ব্যাটার। এরমধ্যেই গড়েছেন জুটির ফিফটি। ৬৩ বলে আসে এই জুটির ফিফটি।

বাংলাদেশের দলীয় ফিফটি

একাদশ ওভারে এসে দলীয় ফিফটি পূরণ করেছে বাংলাদেশ। ১০.২ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে দলীয় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন টাইগাররা। এদিন শুরু থেকেই পাকিস্তানি পেসারদের তোপে পড়ে টাইগাররা। কোনো ব্যাটারই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আরও একবার উইকেটে থিতু হয়ে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পাওয়ার প্লেতেই চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। চার উইকেটে হারানো দলটি এখন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

রউফের গতিতে পরাস্ত হৃদয়

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইন আপে অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে এশিয়া কাপটা ভালো যাচ্ছে না তার। হারিস রউফের গতিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে গেছেন হৃদয়। তার ভেতরের দিকে রাখা বলে ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করেন তিনি। ৯ বলে ২ রান করেছেন হৃদয়।

আবারও ব্যর্থ নাঈম

আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও উইকেটে থিতু হয়েছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না এই ওপেনার। হারিস রউফের বলে পুল করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন তিনি। নিজের বলে নিজেই সহজ ক্যাচ লুফে নেন রউফ। দলীয় ৪৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। ২৫ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২০ রান করেন নাঈম।

ফিরে গেলেন লিটনও

হতাশ করলেন নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় একাদশে ফেরা লিটন দাসও। দারুণ কিছু শটে এদিনও দারুণ সূচনা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির বাড়তি বাউন্সে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। ১৩ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেছেন তিনি।

প্রথম বলেই ফিরলেন মিরাজ

লিটন দাস থাকা সত্ত্বেও আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে সেঞ্চুরি করা মেহেদী হাসান মিরাজে আস্থা রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে এদিন হতাশ করেছেন এই অলরাউন্ডার। নাসিম শাহর করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে রানার খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন তিনি। লেগ স্টাম্পে রাখা বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

এ নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রতিটি ওয়ানডে ম্যাচেই উইকেট পেলেন নাসিম শাহ। এদিন ১৩তম ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন এই পেসার।

ওপেনিংয়ে মিরাজই

হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটে ছিটকে পড়া নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় ফিরেছেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু তাকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়নি। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজেই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেদিন ১১৯ বলে অপরাজিত ১১২ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

শান্তর জায়গায় লিটন

হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। তার ছিটকে যাওয়া বড় ধাক্কা টাইগারদের জন্য। পাকিস্তানের পেসারদের সামনে বিশেষ করে দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা শাহিন শাহ আফ্রিদির বিরুদ্ধে কিছুটা ভালো করে থাকেন বাঁহাতি ব্যাটাররা। তার জায়গায় লিটন কুমার দাসকে অন্তর্ভুক্ত করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ:

মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন কুমার দাস, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শামিম হোসেন পাটোয়ারি, আফিফ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে একজন বাড়তি পেসার পাকিস্তানের

একাদশ আগের দিনই ঘোষণা করে দিয়েছিল পাকিস্তান। বাড়তি একজন পেসার খেলাচ্ছে তারা। একাদশে তারা যুক্ত করেছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফকে। তাকে জায়গা দিতে গিয়ে বাদ পড়েছেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ।

পাকিস্তান একাদশ:

বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, ফখর জামান, ইমাম উল হক, আগা সালমান, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাহিম আশরাফ, নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফ।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস ভাগ্য জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রত্যাশামতোই আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন তিনি। লাহোরের প্রচণ্ড গরম মাথায় রেখেই কোনো চিন্তা না করে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। 

পাকিস্তানে প্রথম জয়ের প্রত্যাশায় বাংলাদেশ

সংস্করণ যেটাই হোক পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের সাফল্য এখন পর্যন্ত শূন্য। এখনও পর্যন্ত ১১টি ওয়ানডে, ৫টি টেস্ট ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে টাইগাররা। এশিয়া কাপে এবার সেই খরা কাটাতে চায় বাংলাদেশ। তবে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফকে নিয়ে গড়া তাদের দুর্ধর্ষ পেস আক্রমণ সামলানোই হবে টাইগারদের মূল চ্যালেঞ্জ।

তবে পেসারদের কাজটাও বেশ কঠিন দেখছেন দলের অন্যতম সেরা তারকা তাসকিন আহমেদ, 'গত ম্যাচের উইকেট ফ্ল্যাট ছিল। (এ রকমই থাকলে) বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিং, আঁটসাঁট বোলিং করা লাগবে। আলগা বোলিংয়ের সুযোগই নেই। পাকিস্তানের ব্যাটিং পৃথিবীর সেরা। সহজ হবে না জানি। কিন্তু নিজেদের ওপর বিশ্বাসও আছে। সেরা বোলিং করতে পারলে ওদেরও অল্পতে আটকাতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

5h ago