হ্যান্ডবল বনাম পিস্তল

Ball & gun
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ক. অধিনায়কের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলা হলো, মাঠে খেলতে নামা যাবে না। খেলতে নামলেও জেতা যাবে না। মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। জিতলে খুন করে ফেলব।

না খেলে তারা দল নিয়ে স্থান ত্যাগ করলেন।

ঘটনাটি গত ৭ এপ্রিলের।

খ. খেলা শুরু হলো। দর্শক ভর্তি মাঠ। যাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিলো, মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে জেতা যাবে না, তারা ১৩-১০ গোলে এগিয়ে। খেলার আর বাকি আছে কয়েক মিনিট। যাদের কাছে পিস্তল আছে, তারা পরাজয় মানবেন কেন! নির্দয়ভাবে পিটিয়ে আহত করা হলো বিজয়ী হতে যাওয়া দলের খেলোয়াড়-শিক্ষক কর্মকর্তাদের।

এবার তারা কোনো রকমে পালিয়ে স্থান ত্যাগ করলেন। আহতরা ভর্তি হলেন হাসপাতালে। ঘটনাটি ১০ এপ্রিলের।

বাংলাদেশে প্রতিদিন এতো ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে যে, সবগুলো সমান গুরুত্ব দিয়ে সামনে আসে না। নুসরাত রাফি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন সারা দেশ বিক্ষুব্ধ, তখনই একটি খেলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অন্য আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের পিটিয়ে আহত করেছেন। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। কিন্তু, এই সংঘর্ষের বিষয় একটু ভিন্ন রকমের তাৎপর্যপূর্ণ। কেনো তাৎপর্যপূর্ণ তা বোঝার জন্যে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া দরকার।

‘বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নস-২০১৯’ প্রতিযোগিতা চলছে। পাবলিক-প্রাইভেট মিলিয়ে ৬৫টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে এই প্রতিযোগিতায়।

হ্যান্ডবলের ভেন্যু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ৭ এপ্রিল খেলা ছিলো জাহাঙ্গীরনগর ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা জাহাঙ্গীরনগরে গিয়ে পৌঁছান। খেলা শুরুর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-খেলোয়াড়দের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন- অভিযোগ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ‘খেলা যাবে না, খেললেও জেতা যাবে না’- এই হুমকির পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ছাত্রদের নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।

এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ফোন করে অনুরোধ করেন, পুনরায় খেলার জন্যে দল পাঠাতে। ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা’র নিশ্চয়তা দেন। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর নামে এই প্রতিযোগিতা, জাহাঙ্গীরনগর থেকে ভেন্যু সরিয়ে নিলে তা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্যে অসম্মানজনক। জাবি উপাচার্যের অনুরোধে ইবি উপাচার্য দল পাঠাতে রাজি হন। ১০ এপ্রিল ছিলো খেলার নির্ধারিত দিন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-খেলোয়াড়রা নির্ধারিত সময়ে জাবির খেলার মাঠে উপস্থিত হলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দলের চিফ অব দ্য মিশন ইলেকট্রনিক এন্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক মাহাবুবার রহমান দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলছিলেন,“মাঠে গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। সেখানে জাবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর বা প্রক্টরিয়াল বডির কাউকে দেখলাম না। আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়লাম। তিনদিন আগে পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। মাঠে উপস্থিত কয়েক’শ দর্শক, জাবির শিক্ষার্থী। ফোনে যোগাযোগ করা হলে খেলা শুরুর ১০ মিনিট আগে জাবির প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষক আসলেন। পুলিশ নেই, নেই ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা’র কোনো ব্যবস্থা। খেলা শুরু হলো। যখন আমরা ১৩-১০ গোলে এগিয়ে, তখন জাবির খেলোয়াড়-দর্শক ছাত্ররা ইবির খেলোয়াড়দের কিল-ঘুষি-লাঠি দিয়ে পেটাতে শুরু করলেন। আমরা শিক্ষকরাও আঘাত পেলাম।”

JU
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলতে এসে মারপিটের শিকার হন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

১০ এপ্রিলের এই ঘটনাটি গণমাধ্যমে খুব একটা গুরুত্ব পায়নি। ‘একাত্তর টেলিভিশন’ সেদিন রাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিলো এবং সেখানে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিলো। মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে আরও ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু। টেলিফোনে হাসপাতাল থেকে আহত দুজন খেলোয়াড়কে পাশে নিয়ে সংযুক্ত হয়েছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক শাহ আলম কচি। টেলিফোনে সংযুক্ত হয়েছিলেন জাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ খ ম ফিরোজ-উল-হাসান। তাদের কিছু প্রশ্ন করার সুযোগ হয়েছিলো।

একটি প্রশ্নের উত্তরে শাহ আলম কচি বলছিলেন, “৭ এপ্রিল আমরা খেলোয়াড়দের নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আমাদের ছাত্রদের পিস্তল দেখিয়ে খেলতে নিষেধ করে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়।”

পিস্তল দিয়ে কি কোনো খেলা ছিলো, শুটিং জাতীয়...?

“না, হ্যান্ডবল খেলা ছিলো। পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখায়, আমরা যাতে না খেলি। খেললেও যাতে না জিতি। হুমকির পর আমরা চলে আসি। পরবর্তীতে জাবি উপাচার্যের অনুরোধে ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার নিশ্চয়তায় ইবির ভিসি ১০ এপ্রিল আবার আমাদের খেলতে পাঠান। আমরা যখন ১৩-১০ গোলে এগিয়ে ছিলাম, তখন আমাদের মারধর শুরু করে। খেলোয়াড়-শিক্ষক কেউ-ই রেহাই পাইনি। আমাদের পরিচালক মো. সোহেল, চিফ অব দ্য মিশন সিনিয়র অধ্যাপক মাহাবুবার রহমানসহ কেউই রেহাই পাননি।”

আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা কিছুটা রসিকতা করছিলাম। আপনার খেলোয়াড়রা যদি জেতার অবস্থায় না থাকতো, এতো গোল না করতো, তবে তো মার খেতে হতো না। জাবি হ্যান্ডবল খেলায় জিততে না পারলেও, তাদের কাছে তো পিস্তল ছিলো, এবং আপনাদের তা জানাও ছিলো, তারপরও কেনো জিততে গেলেন...!

এই রসিকতার মাঝে শাহ আলম কচি সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি করলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের রক্ষার জন্যে কিছুই করেনি। তারা এই মারধরে ছাত্রদের আরও উৎসাহ জুগিয়েছে।”

এই পর্যায়ে যুক্ত হলেন জাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান। তিনি বলছিলেন, “প্রথমেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করে নিচ্ছি। আমরা তাদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছি। ৪০ মিনিটের খেলায় ৩০ মিনিটের দিকে দুজন খেলোয়াড়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হ্যান্ডবলের মাঠটা খুব ছোট, প্রায় হাজারখানেক দর্শক ছিলো। আমরা জাবির শিক্ষকরা ঝামেলা হতে পারে তেমন স্পটগুলোতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু হুট করে আমাদের দিকের দুই তিন’শ দর্শক মাঠে ঢুকে যায়।”

দর্শক মানে আপনাদের ছাত্ররা, তাই তো?

“হ্যাঁ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। দু’একজন হয়তো শিক্ষার্থী নাও হতে পারে।”

কিন্তু, আপনারা তো অবগত ছিলেন, এই দলকে তিনদিন আগে একবার পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিলো।

“জি, উনারা আমাদেরকে বলেছিলেন। সেটা অবশ্য খেলার সময় নয়, খেলার আগে...।”

খেলার আগে পিস্তল ঠেকানোর প্রসঙ্গ এসেছে। খেলা কি পিস্তল নিয়ে ছিলো?

“(হাসতে হাসতে) না, এটি আসলে, ঘটনাটি পিস্তল ঠেকানোর ঘটনা না।”

আপনি নিশ্চিত যে পিস্তল ঠেকানোর ঘটনা না?

“আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। এমন কোনো তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো জায়গা থেকে আমাদেরকে কেউ দিতে পারেনি।”

কেউ একজন এসে আপনাকে বলবেন যে, আমি পিস্তল ঠেকিয়ে ছিলাম, বিষয়টি কি এমন?

“না, না সেটি নয়। আমরা কিন্তু খোঁজ খবর নিয়েছি। তো কেউ গোপন জায়গায় পিস্তলটি ঠেকায়নি, যদি পিস্তল ঠেকিয়ে থাকে।”

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আরও একটি গুরুতর অভিযোগ করছেন, আপনারা শিক্ষকরা তাদের রক্ষা তো করেনই নি, আপনারাই ছাত্রদের মারধরে উৎসাহ যুগিয়েছেন। আসলেই আপনারা উৎসাহ যুগিয়েছেন?

“আসলে শিক্ষকরা চেষ্টা করেছেন থামানোর। আসলে এক সঙ্গে এতো ছাত্র...।”

কিন্তু, আপনারা না ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা’র নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। তো ব্যবস্থা কি নিয়েছিলেন?

“আমরা আসলে... একটু বলি...। প্রতি বছরই কোনো ইভেন্ট হলে হোস্ট ইউনিভার্সিটিতে এরকম ঘটনা ঘটছে। কিন্তু, জাবিতে এমন ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। আমরা খুব কনফিডেন্ট ছিলাম যে, আমাদের ছাত্ররা এমন কোনো ঘটনা ঘটাবে না।”

তিনদিন আগে খেলা হলো না পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার কারণে। ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা’র নিশ্চয়তা দিয়ে তাদের খেলতে আনলেন। আনার পর বলছেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটাবে আপনাদের ছাত্ররা, তা আপনারা মনে করেননি। বিষয়টি কেমন হলো, বুঝতে পারছি না।

“বিষয়টি আসলে এমন না। পিস্তলের বিষয়টি বারবার আসছে, আসলে বিষয়টি এমন নয়...।”

আচ্ছা ধরে নিলাম পিস্তল ঠেকায়নি। তো নিরাপত্তার জন্যে কী করেছিলেন?

“আমরা অনেক শিক্ষক সেখানে উপস্থিত থেকেছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলা, শিক্ষকরা উপস্থিত থাকবেন সেটাই তো স্বাভাবিক। এর সঙ্গে নিরাপত্তার সম্পর্ক কী? আপনারা শিক্ষকরা মারামারি ঠেকাবেন সেই প্রত্যাশা করেছিলেন?

“এক্সাক্টলি। আমরা সেই প্রত্যাশায় ছিলাম। সংখ্যায় বেশি ছিলাম। ফুল প্রক্টরিয়াল বডি ছিলাম। আমরা তাদের পাশে থেকেছি। আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি...।”

শাহ আলম কচি আবারও বললেন, “কথা কাটাকাটির যে কথা বলা হচ্ছে, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমাদের খেলোয়াড়রা ১৩ নম্বর গোল করার সঙ্গে সঙ্গে মারধর শুরু করা হয়েছে।”

খেলাটি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছিলো, ভিডিওচিত্র আছে। যারা মারধর করে ইবির খেলোয়াড়-শিক্ষকদের আহত করলো, তাদের অনেককে ভিডিওচিত্রে দেখা যায়।

ইবির অধ্যাপক মাহবুবার রহমান দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেছেন, “জাবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দোষীদের শাস্তির বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। তারা বলছেন, কাউকে সনাক্ত করা না যাওয়ায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।”

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুহিবুর রৌফ শৈবাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “ওই ঘটনার (হামলার) পরপরই প্রক্টরিয়াল বডি একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে ভিডিও ক্লিপ দেখে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব শীঘ্রই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’’

এই ঘটনাটি নানাবিধ কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় যে, ছাত্ররা মারধর করেছে-শিক্ষকরা উৎসাহ যুগিয়েছে। ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা’ নিশ্চয়তা দিয়ে, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্ররা পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করছেন, আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তা বিশ্বাসই করছেন না। ভিডিওচিত্রে যা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, শিক্ষকরা বলছেন ‘চেনা’ যাচ্ছে না। ঘটনার ছয়দিন পর বলা হচ্ছে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, শিক্ষকদের ইমেজ... নীতি-নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ... বিষয়গুলো কেমন যেনো আপেক্ষিক হয়ে যাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

10h ago