ওপারে বাংলা বর্ষবরণ চলছে
বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টা আগে পালিত হলেও ভারতীয় পঞ্জিকা অনুসারে আজ সোমবার ভারতের বাঙালিরা পালন করছেন বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নানা আনুষ্ঠানিকতা।
আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, ছাড়াও বাংলাদেশে ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে চলছে নতুন বাংলা বছরকে স্বাগত জানাতে নানা আয়োজন।
রাজ্যটির রাজধানী কলকাতা সহ ২২ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর মিলছে ছোটবড় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হওয়ার।
যদিও নির্বাচনের কারণে কিছুটা ভাটা পড়েছে বাংলা বর্ষ বরণের উৎসবের। কিন্তু তার পরও বাঙালির শ্রেষ্ঠ এই উৎসবে চিরাচরিত বাঙালিয়ানায় ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে সকাল থেকে সর্বত্র।
কলকাতার বাজারগুলোতে উপচে পড়ছে ভিড়। মেয়েরা লাল পেড়ে শাড়ি পরে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। ছেলেদের শরীরের হরেক রকমের পাঞ্জাবি।
এদিন সকালে প্রথম আয়োজন ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শান্তিনিকেতনে। সকালে কলা ভবনের সামনে অম্র-কাননের কবি প্রণামের মধ্যদিয়ে বর্ষবরণের আয়োজনের সূচনা হয়।
কলা ও সঙ্গীত ভবনের ছাত্রছাত্রীদের অংশ গ্রহণে সেখানে দুপুর পর্যন্ত চলে সঙ্গীতানুষ্ঠান, আবৃত্তি এবং নাটিকা।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান, কবিগুরু বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন ১৯০২ সালে। তখন থেকে নিয়মিত এই উৎসব হয়ে আসছে। দেশ বিদেশের বহু পর্যটক এসেছেন শান্তিনিকেতনের বর্ষবরণ উৎসব প্রত্যক্ষ করতে।
সারা বছর আমরা কীভাবে কাটাবো আজই তার অঙ্গিকার হয়ে যায়- যোগ করেন উপাচার্য।
এদিকে গত তিন বছরের মতো এবারও দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর থেকে সকালে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। যাদবপুর সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কয়েক হাজার বাঙালি এই শোভাযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন।
স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পথ অতিক্রম করে যাদবপুর ব্রিজে গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি। বাঘ, ভাল্লুক, লক্ষ্মী-পেঁচা নানা ধরণের মুখোশের অবয়ব মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্থান পায়।
এছাড়াও কলকাতার বাইরে উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ সীমান্তেও আজ ব্যতিক্রমী বর্ষবরণ উদযাপনের খবর মিলেছে। সেখানে কয়েক হাজার বাঙালি পায়ে পা মিলিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন ১৪২৬ বাংলা বর্ষবরণে।
Comments