যে মন্ত্রে হঠাৎ বদলে গেল টাইগারদের ব্যাটিং
অতিরিক্ত সাহস দেখাতে গিয়েই সিলেটে ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশের। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছিলেন সৌম্য সরকার। আরও বলেছিলেন, মিরপুরে এবার বুদ্ধি খাটিয়েই খেলবেন। আর তাই করে দেখিয়েছেন টাইগাররা। বৃহস্পতিবার দুর্দান্ত ব্যাটিং শৈলী দেখিয়ে স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহই গড়েছিল তারা। তাতে ভর করে দারুণ জয়।
সিলেটে মূলত উইন্ডিজ পেসারদের গতিতেই পরাস্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এদিন তাদের সেই গতিকেই ব্যবহার করে শক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন টাইগাররা। মূলত আগের ম্যাচের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পেরেছিলেন বলেই এমনটা করতে পেরেছিলেন বলে মনে করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আর তার শুরুটা লিটন কুমার দাস করেছেন। ৩৪ বলে খেলেছেন ৬০ রানের দারুণ এক ইনিংস। সৌম্যর ৩২ রানের ইনিংসটাও বেশ কার্যকরী ছিল। শেষে মাহমুদউল্লাহ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের রেকর্ড জুটি। পঞ্চম উইকেটে টাইগারদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯১ রান। যা এসেছে মাত্র ৪২ বলে। অথচ এই দলটিই কিনা সিলেটে মাত্র ১২৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
উইন্ডিজের বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিংয়ের কারণ দর্শীয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বললেন, ‘আমার কাছে মনে হয় গত ম্যাচ থেকে ব্যাটসম্যানরা অনেক শিক্ষা নিয়েছে। প্রথম ম্যাচে যেটা হয়েছে ১৪০ কিমিতে বল আসছে ওটাকে আমরা ১৮০ তে মারতে গিয়েছি। এখন ১৪০ এ আসছে ওটাই আমরা পেসটা ব্যবহার করেছি। আমার কাছে মনে হয় অনেক বিচক্ষণ একটা চিন্তা ব্যাটসম্যানরা করেছে। খুবই সঠিক পরিকল্পনা করেছে। ভেবেছে এই পেসটা ব্যবহার করতে পারলে রান করা সম্ভব। যেটা আজ লিটন করে দেখিয়েছে।’
এদিন নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করে বাংলাদেশ। সফরকারীদের ছুড়ে দেয় ২১২ রানের চ্যালেঞ্জ। তাই শিশিরে কঠিন পরিস্থিতিতে বোলিং করে জয় ছিনিয়ে আনে বাংলাদেশ। তবে এতোটা যে হবে তা ভাবতে পারেননি সাকিবও, ‘খুব ভাল ব্যাট করলে ১৮০ হবে এরকম আমাদের ধারণা ছিল। আমার ব্যক্তিগত ধারণা ছিল। সেখানে ২১১ হয়েছে। আমার কাছে মনে এটা প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে যে আমাদের ২০/৩০ রান বেশি আছে যেটা নিয়ে আমরা খেলতে পারব।’
Comments