চীনে ব্লিঙ্কেন: আলোচনায় যে ৩ বিষয়

আজ রোববার বেইজিং পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স
আজ রোববার বেইজিং পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীনের রাজধানী বেইজিং এসে পৌঁছেছেন। গত ৫ বছরের মধ্যে এটিই কোনো শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিকের প্রথম চীন সফর।

আজ রোববার সকালে ব্লিঙ্কেন চীনে পৌঁছিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্বের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী এই ২ দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন আকাশসীমায় চীনা গুপ্তচর বেলুন শনাক্ত হলে ব্লিঙ্কেন তার পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করেন।

আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত ব্লিঙ্কেন চীনে থাকবেন। তিনি সেখানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং ও শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইর সঙ্গে দেখা করবেন।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠকের সম্ভাবনা আছে।

শুক্রবার দেশ ছাড়ার আগে ব্লিঙ্কেন তার সফরের ৩ মূল লক্ষ্যের কথা জানান।

এগুলো হচ্ছে—পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুষ্ঠু প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও উদ্বেগের বিষয়গুলো নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা এবং ২ দেশের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার সম্ভাব্য খাতগুলোকে চিহ্নিত করা।

সংশ্লিষ্টদের আশা, ব্লিঙ্কেনের সফরের মাধ্যমে আগামী মাসগুলোয় আরও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজন করা সম্ভব হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীও আগামীতে চীন সফরে যেতে পারেন।

এ ছাড়াও, এ বছরের শেষভাগে শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যেও বৈঠক হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন গতকাল শনিবার জানান, তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করতে আগ্রহী।

সমগ্র বিশ্বের নজর এখন ব্লিঙ্কেনের চীন সফরের দিকে। কারণ ২ ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলে এর প্রভাব বৈশ্বিক অর্থনীতি, বাণিজ্য ও পণ্য সরবরাহের ওপর পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মতভেদের উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের মনোভাব। চীন এই স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজ ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা।

তাইওয়ানকে জোরপূর্বক মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার সম্ভাবনাকে কখনোই নাকচ করেনি বেইজিং।

এ ছাড়াও, চীনের বাণিজ্য ও সেমিকন্ডাক্টর খাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিধিনিষেধ ও দেশটির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলোও স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ২ দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

অনেকের আশঙ্কা, ব্লিঙ্কেনের সফর থেকে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন আসবে না।

 

Comments

The Daily Star  | English
Indian media’s propaganda against Bangladesh

What is Indian media’s gain in branding us as a Hindu-hating country?

What has shocked me is their refusal to fact-check what they are writing, broadcasting or televising—a basic duty of any journalist.

12h ago