আবারো ইউনেসকোর সদস্য হলো যুক্তরাষ্ট্র

২০১১ সাল পর্যন্ত ইউনেসকোর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির বাজেটের একটি বড় অংশের জোগান দিত। সে বছর ফিলিস্তিনকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পর মার্কিন আইন অনুযায়ী এ প্রক্রিয়ার অবসান ঘটে।
ইউনেসকোর সদর দপ্তর। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইউনেসকোর সদর দপ্তর। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও ঐতিহ্য বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর আবারো এতে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

২০১৭ সালে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইউনেসকো থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। তিনি ইউনেসকোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল-বিরোধী শক্তিদের প্রতি পক্ষপাত দেখানোর অভিযোগ আনেন। ২০১৮ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনেসকোর সদস্য হিসেবে ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি বিশেষ অধিবেশনে ভোটগ্রহণ করা হয়। এই অধিবেশনে উপস্থিত এএফপি সাংবাদিক জানান, ১৩২ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার পক্ষে ও ১০টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। ১৫টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। 

বিপক্ষে ভোট দেওয়ার দেশদের মধ্যে আছে ইরান, সিরিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া। এ দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেন। তারা ভোট প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং এর সংস্কারের আহ্বান জানান।

২০১১ সাল পর্যন্ত ইউনেসকোর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সংস্থাটির বাজেটের একটি বড় অংশের জোগান দিত। সে বছর ফিলিস্তিনকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পর মার্কিন আইন অনুযায়ী এ প্রক্রিয়ার অবসান ঘটে।

পরিশেষে ৬ বছর পর সদস্যপদ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

সাবেক ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী আদ্রে আজুলে ইউনেসকো প্রধান হিসেবে ২০১৭ থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সদস্য হিসেবে ফিরে পেতে উদ্যোগ নেন।

শুক্রবার আজুলে বলেন, 'এটা ইউনেসকো ও বহুপাক্ষিকতার জন্য একটি মহান দিন।'

২০১১ সালের আগ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইউনেসকোর মোট বাজেটের ২২ শতাংশ জোগান দিত। সে বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সিদ্ধান্তে এই অর্থায়ন বন্ধ হয়।

তবে শুধু দাতব্য বা মানবিক কারণে এ সংস্থায় ফিরছে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্চে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইউনেসকোতে যুক্তরাষ্ট্র না থাকায় চীন কোনো ধরনের বাধার মুখোমুখি না হয়েই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত বিধি তৈরি করতে পারছে।

'তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আইন, বিধিমালা ও মানদণ্ড নিয়ে কাজ করছে। আমরা সেখানে অংশগ্রহণ করতে চাই', বলেন ব্লিঙ্কেন।

এর আগেও ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র একবার তাদের সদস্যপদ প্রত্যাহার করেছিল। ২০ বছর অনুপস্থিত থাকার পর ২০০৩ এর অক্টোবরে ফিরে আসে দেশটি।

২০১১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সদস্যপদ বজায় না রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ইউনেসকো বকেয়া সদস্য-ফি হিসেবে ৬১৯ মিলিয়ন ডলার পাবে, যা সংস্থাটির বার্ষিক বাজেটের চেয়েও বেশি।

ইউনেসকো জানিয়েছে, আগামী বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই দেনা পরিশোধ করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

6h ago