মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ঋণসীমা স্থগিতের বিল পাস

হাত মেলাচ্ছেন বাইডেন-ম্যাকার্থি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
হাত মেলাচ্ছেন বাইডেন-ম্যাকার্থি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ভোটের মাধ্যমে ২০২৫ এর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে বিদ্যমান ঋণসীমা (ঋণ নেওয়ার সর্বোচ্চ পরিমাণ) স্থগিত রাখার প্রস্তাব সহ একটি বিল পাস হয়েছে। দেশটির আইনপ্রণেতারা ট্রেজারি বিভাগের ঋণখেলাপি হওয়ার বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে এই জরুরি উদ্যোগ নেন।

গতকাল বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

এরপর এই বিল সিনেটে পাস হতে হবে। তবেই তা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তিনি এই বিলে সাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হবে। উল্লেখ্য, সিনেটে 'দ্রুত ভোট' ঠেকাতে একজন আইনপ্রণেতার আপত্তিই যথেষ্ট। চূড়ান্ত ভোট কবে সম্পন্ন হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

৫ জুনের মধ্যে ঋণ সীমা বাড়াতে বা স্থগিত করতে না পারলে প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে বিশ্বের শীর্ষ দেশটি। ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, তারা সময়মতো ও প্রয়োজন অনুযায়ী দেশটির ঋণ পরিশোধ করার সক্ষমতা হারিয়েছে।

গত ২৫ মে ট্রেজারি বিভাগের হাতে নগদ অর্থ ছিল ৩৮ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। যা নগদ অর্থের সর্বনিম্ন পর্যায় হিসেবে নির্ধারিত ৩০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ঋণ খেলাপি হলে তা সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সূত্রপাত ঘটাতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

ঋণসীমার বিলটি কট্টর বামপন্থী ও কট্টর ডানপন্থীদের সমালোচনার মুখে পড়লেও শেষ পর্যন্ত হাউজে বড় ব্যবধানে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দ্বিপাক্ষিক সমর্থন নিয়ে পাস হয়।

১৪৯ জন রিপাবলিকান ও ১৬৫ জন ডেমোক্র্যাট সহ মোট ৩১৪ জন হাউস সদস্য এই বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে ছিলেন ৭১ জন রিপাবলিকান ও ৪৬ জন ডেমোক্র্যাট (মোট ১১৭)।

২০২৫ পর্যন্ত ঋণসীমা স্থগিত হলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ঋণখেলাপি হওয়ার হুমকি দূর হবে।

ভোটের আগেই ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও হাউস রিপাবলিকানদের মধ্যে সমঝোতা ও চুক্তির বিষয়টি সপ্তাহান্তে জানানো হয়। এটি ছিল জো বাইডেন ও হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির জন্য একটি বড় পরীক্ষা।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

7h ago